বাছাইপর্বের খেলায় আপাতত বিরতি। আগামী মার্চে আবারও শুরু হবে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্ব। তখন মেসি বাহিনীর সামনে থাকবে আরও ছয়টি ম্যাচ। যা দলটিকে সেরা চারে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু প্রথম বাধা হয়ে দাঁড়াবে সেই চিলি। টানা দুইবার এই চিলির জন্যই কোপা থেকে ছিটকে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। এই চিলির জন্যই আজ সেরা চারে উঠতে পারেনি মেসি বাহিনী। আগামী ২৩ মার্চ এই ইতিহাসকে সঙ্গী করেই মাঠে চিলির বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা।

কলম্বিয়াকে গতরাতের ম্যাচে ৩-০ গোলে হারিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছে আর্জেন্টিনা যা নিঃসন্দেহে দলটির জন্য স্বস্তিদায়ক। তবে একটি কারণে কিছুটা অস্বস্তি এখনো রয়ে গেল বাউজার শিষ্যদের। কলম্বিয়াকে হারিয়েও সেরা চারে জায়গা করে নিতে পারেনি আর্জেন্টিনা। কিন্তু বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে হরে সেরা চারেই যে উঠতে হবে মেসিদের।

উরুগুয়ে এবং ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে যথাক্রমে চিলি এবং ইকুয়েডরের জয় মেসিদের হিসাব গরমিল করে দিয়েছে। গতরাতে সানচেজের জোড়া গোলে ৩-১ ব্যবধানে উরুগুয়েকে হারিয়ে দিয়েছে চিলি। অন্যদিকে, ভেনেজুয়েলা ৩-০ গোলে হেরেছে ইকুয়েডরের কাছে। তাই আপাতত পাঁচ নম্বরে থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে।

বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে সরাসরি চারটি দল বিশ্বকাপে খেলবে। ফলে আর্জেন্টিনারও মূল লক্ষ্য সেরা চারে থাকা। কলম্বিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর আর্জেন্টিনার জন্য সেই সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেল। অন্যদিকে দিনের শেষ খেলায় পেরুকে হারিয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ব্রাজিল। ১২ ম্যাচে উরুগুয়ের পয়েন্ট ২৩। সমান ম্যাচে ইকুয়েডর-চিলির পয়েন্ট ২০। এবং ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ৫ নম্বরে আর্জেন্টিনা। তবে চিলিকে হারাতে পারলে আর্জেন্টিনার সামনে সেরা দুই-তিনের মধ্যে উঠে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। তাই বাউজার ভাষায় ‘জীবন দিয়ে’ আগামী ৬টি ম্যাচ জয়ের জন্য খেলতে হবে মেসিদের।