সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

এবার বদর প্রধান নিজামীর পালা

মানবতাবিরোধী অপরাধ এরই মধ্যে চূড়ান্ত সাজা হয়েছে পাঁচজনের। এর মধ্যে সবাই পেয়েছেন সর্বোচ্চ সাজা। দণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে, একজন ভোগ করছেন আমৃত্যু কারাদণ্ড। আর ট্রাইব্যুনালে প্রাণদণ্ড হয়েছে আরও বেশ কয়েকজনের, যাদের মধ্যে পলাতক তিনজন ছাড়া সবাই সাজা মওকুফ চেয়ে আপিল করেছেন উচ্চ আদালতে।

উচ্চ আদালতে করা আপিলের মধ্যে বিভাগে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর আপিল শুনানি এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর শুরু হওয়া এই শুনানির এরই মধ্যে তিন কার্যদিবস পার হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির যে দণ্ড হয়েছে তার পেপার বুক উপস্থাপন শুরু করেছে আসামিপক্ষ। পেপারবুক উপস্থাপন শেষে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমান থাকবে মামলাটি।

আপিল বিভাগ থেকে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে ১৫ দিনের মধ্যে রায় পর্যালোচনার আবেদন করা যাবে। রিভিউয়ে দণ্ড বহাল থাকলেই তা কার্যকর করা যাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর আপিল শুনানি শেষ হবে।

ট্রাইব্যুনালে বিচার

বুদ্ধিজীবী গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, সম্পত্তি ধ্বংস, দেশত্যাগে বাধ্য করা, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র ও সংঘটনে সহযোগিতার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত বছরের ২৯ অক্টোবর নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালে দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৩ নভেম্বর আপিল করেন নিজামী । সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ায় রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেনি রাষ্ট্রপক্ষ।

ট্রাইব্যুনালে নিজামীর বিরুদ্ধে দেয়া রায়ে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘তিনি (নিজামী) যে মাত্রায় হত্যা, গণহত্যা ঘটিয়েছেন, তাতে সর্বোচ্চ সাজা না দিলে তা হবে ন্যায়বিচারের ব্যর্থতা।”

জামায়াতের আমির নিজামী একাত্তরে ছিলেন জামায়াতেরই ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি। এই সংগঠনের নেতৃত্বে গঠিত খুনি বাহিনী আলবদলের সংগঠক হিসেবে নিজামী ও তার সে সময়ের ডেপুটি আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ তখন সারা দেশ চষে বেড়িয়েছেন। সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করেছেন বাহিনীতে যোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে এবং স্বাধীনতাকামীদের খুন করতে। মুযক্তিযুদ্ধ চলাকালে ছাত্রসংঘের সভাপতি হিসেবে নিজামীর মেয়াদ শেষ হলে এই পদে আসীন হন মুজাহিদ।

২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেপ্তার করার পর একই বছরের ২ অগাস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উপস্থাপন করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। ২৮ মে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে জামায়াত আমিরের বিচার শুরু হয়।

আলবদর প্রধানের বিরুদ্ধে মোট ১৬টি অভিযোগ আনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এর মধ্যে বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, সম্পত্তি ধ্বংস, দেশত্যাগে বাধ্য করা, আটক, নির্যাতনসহ আটটি অভিযোগ প্রমাণ হয় তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে বুদ্ধিজীবী গণহত্যাসহ চার অভিযোগে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। বাকি চারটি অভিযোগে নিজামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আট অভিযোগে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

যেসব অপরাধে নিজামীকে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো: সাঁথিয়ার বাউশগাড়ি, ডেমরা ও রূপসী গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষকে হত্যা, ৩০-৪০ জন নারীকে ধর্ষণ; করমজা গ্রামে নয়জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, বাড়িঘরে লুটপাট-অগ্নিসংযোগ; ধুলাউড়ি গ্রামে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৫২ জনকে হত্যা এবং মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ঊষালগ্নে অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা।

নিজামীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, ‘শত শত নিরস্ত্র মানুষ, অসংখ্য বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত এই চার অপরাধ ছিল একাত্তরের বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘণের ঘটনা। বুদ্ধিজীবী হত্যা ও নিরস্ত্র মানুষকে গণহত্যা ছিলো ‘ভয়ানক’। এটা মানব সভ্যতার মর্যাদাহানিকর অপরাধ হিসাবে মূল্যায়িত হওয়ার দাবি রাখে’।

আরও চারটি অভিযোগে নিজামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে আছে পাবনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওলানা কছিমুদ্দিনকে অপহরণ করে হত্যা; মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর ক্যাম্প খুলে মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র ও সহযোগিতা; পাবনার বৃশালিখা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ সেলিমের বাবা সোহরাব আলীকে স্ত্রী-সন্তানদের সামনে হত্যা; ঢাকার নাখালপাড়ার পুরোনো এমপি হোস্টেলে আটক মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন বিচ্ছু জালাল, বদি, রুমি (শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ছেলে), জুয়েল ও আজাদকে হত্যার পরামর্শ দেওয়া।

বাকি আট অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে না পারায় এসব অভিযোগ থেকে নিজামীকে খালাস দেয় ট্রাইব্যুনাল।

রায়ে বলা হয়, একাত্তরে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ও আল-বদর বাহিনীর প্রধান নিজামী নিজে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় অংশগ্রহণ করেন। বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় নিজামীর ভূমিকা প্রচ্ছন্ন ও সরাসরি। রায়ের বলা হয়, ‘অভিযুক্ত তার কৃতকর্মের ফল সম্পর্কে সচেতন ছিলেন এবং বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের হত্যায় তিনি আলবদর সদস্যদের উৎসাহ, সত্যায়ন, অনুমোদন এবং নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন।”

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর

সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ

দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন

  • কোকেনের সবচেয়ে বড় চালানে জড়িতদের নাম পেয়েছে ডিএনসি
  • বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের ৭২ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ায় নানা আলোচনা
  • মূল্য ৭ কোটি: পঞ্চগড়ে কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার
  • নারায়নগঞ্জে কলেজ ছাত্রী যৌন হয়রানি ও লাঞ্চনার শিকার
  • বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট নিয়ে আদেশ
  • জাতীয় শোক দিবসে রাজধানীতে বাড়তি নিরাপত্তা
  • মানবতাবিরোধী অপরাধ: আজহার-কায়সারের আপিল শুনানি ১০ অক্টোবর
  • নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলা: হাইকোর্টের রায় ২২ আগস্ট
  • আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ড পাওয়া রাজাকার হাফিজ গ্রেপ্তার
  • সেলিম ওসমান অসুস্থ, চার্জ শুনানি হল না
  • স্ত্রী-শাশুড়িসহ তুফান ফের রিমান্ডে
  • এই রায়ে আমি ব্যথিত: অ্যাটর্নি জেনারেল