এবার মাশরাফির অ্যাওয়ে চ্যালেঞ্জ
২০১৫ সালটা স্বপ্নের মতো কাটিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৬ সালটাও খারাপ যায়নি। ঘরের মাঠে টানা ছয়টি সিরিজ জয়ের পর ইংলিশদের কাছে হারলেও গত দুই বছরে প্রাপ্তি অনেক। আর বিশ্বকাপ বাদে এর সবটুকুই এসেছে ঘরের মাঠে। প্রায় আড়াই বছর পর আবার দেশের বাইরে সিরিজ খেলতে যাচ্ছেন টাইগাররা। ডিসেম্বরে বক্সিং ডে ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের নতুন চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেয়ে দেশের বাইরে এটাই মাশরাফি বিন মর্তুজার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। আর এবার এ নতুন চ্যালেঞ্জ জয় করতে চান চান সীমিত ওভারের অধিনায়ক।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ড সফর নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা শেষ বছর অধিকাংশ ম্যাচই হোমে খেলেছি। অধিকাংশ ম্যাচও জিতেছি। আমরা দেড়-দুই বছর আগে যে লক্ষ্য নিয়েছি হোমে কমপক্ষে ৮০ ভাগ ম্যাচ জেতা। আল্লাহর রহমতে আমরা সে জায়গায় সফলতা পেয়েছি। এখন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ যে দেশের বাইরে গিয়ে খেলা। এটা চ্যালেঞ্জিং, অনেক প্রতিষ্ঠিত দলের জন্যও এটা চ্যালেঞ্জিং। সেক্ষেত্রে আমাদের জন্য আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং।’
দেশের মাটিতে সিরিজ জয় যতটা সহজ হয়েছে দেশের মাটিতে কাজতা ততটাই কঠিন। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বাউন্সি উইকেটে কাজটা আরও কঠিন জানেন মাশরাফি। ঘরের মাঠে ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্স সেখানে কোন কাজে আসবে না বলে জানান তিনি। তবে দেশের মাটিতে জয়ের সুখস্মৃতির আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে এবার নিউজিল্যান্ডে জিততে মরিয়া অধিনায়ক।
‘নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার থেকেও ভিন্ন। মনে করি একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে আসছে। আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেভাবে খেলেছি, আমরা যদি মোমেন্টামটা ওখানে নিতে পারি, বিশেষ করে ভালো খেলার স্মৃতিগুলো যদি ওখানে নিতে পারি, জাতীয় দলে যেভাবে খেলেছি ওই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যদি খেলতে পারি তাহলে মনে হয় ভালো ফল আসবে। ভিন্ন কন্ডিশন হলেও আশা করছি ভালো হবে।’
তবে কাজটা খুব কঠিন জানেন মাশরাফি। যেমনটা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল বাংলাদেশে এসে সংগ্রাম করেছে তেমনি বাংলাদেশকেও সেখানে সংগ্রাম করতে হবে বলে জানান অধিনায়ক। এর আগে ২০১০-১১ ও ২০১২-১৩ সালে দুইবার বাংলাদেশ সফর করেছিল কিউইরা। আর দুইবারই ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয় তারা।
‘প্রতিষ্ঠিত দলগুলোরও বাইরে জেতা কঠিন হয়ে যায়। নিউজিল্যান্ড এখানে যখন আসবে তখন অবশ্যই এটা তাদের জন্য কঠিন। আমরা যখন যাব তখন আমাদের জন্য কঠিন। সব কিছুই আলাদা। তারপরও আমরা চাইব অধিকাংশ ম্যাচ জিততে। তবে এটা বলাও যেমন কঠিন করাও ততটাই কঠিন। আমরা চেষ্টা করব মানিয়ে নিতে। ওই রকম পরিস্থিতিতে এখনও আমরা নতুন। তবে আমাদের মাইন্ড সেট আপ এখন ভিন্ন। এখন আমরা যেখানেই খেলি সেখানেই জিততে হবে সেটা চাওয়া থাকে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন