এমপি লিটন এসএসসি, স্ত্রী মাস্টার্স পাস
কারাবান্দ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের এমপি লিটন কলেজে পা রাখতে না পারলেও স্ত্রী সাইদা খুরশিদ জাহান স্মৃতি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মনোনয়নপত্রের তথ্য অনুযায়ী, এসএসসি পাস করার পর লিটনের আর পড়ালেখা হয়ে উঠেনি।
তার স্ত্রী মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। লিটনের অপকর্মের কথা অস্বীকার করেছেন তার স্ত্রী স্মৃতি। তার স্ত্রী ক্ষমতাসীন দলের গাইবান্ধা জেলার মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, সাত ভাই-বোনের মধ্যে লিটন ষষ্ঠ। আনন্দ গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের পরিচালক লিটন। ধানমন্ডির একটি বাড়ির মালিক লিটন। গাইবান্ধার বাড়িটি ১২ বিঘা জমি নিয়ে।
সুন্দরগঞ্জের বিমানদাঙ্গা বাজারে ৬তলা বিশিষ্ট আশরাফ কোল্ড স্টোরেজ নামে একটি হিমাগার রয়েছে তার। লিটনের মা আলতাফুন নেসা ফ্যামিলি প্লানিংয়ে চাকরি করেন। লিটনের বাবা আশরাফ আলী ১৯৫০ সালে মুসলিম লীগের কর্মী ছিলেন।
লিটনের এক বোন যুগ্ম সচিব অন্যজন আনন্দ বিল্ডার্সের মালিক। তার এক বোন ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার স্ত্রী। অন্যজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। লিটনের ভাইদের মধ্যে একজন কানাডা বিশ্ববিদ্যালয়রের অধ্যাপক অন্য ভাই মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু লিটন পরিবারের অভিশাপ বলে জানান এলাকাবাসী।
রামভদ্র সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন সর্দার। পিতৃতুল্য এই শিক্ষককে ২০১৪ সালের ৮ আগস্ট শুক্রবার লিটন চড় মেরেছিলেন। স্যানিটেশনের জন্য সরকারি বরাদ্দ নিয়ে এমপি লিটনের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের মতপার্থক্য থাকায় ৫০ বছর বয়সী এই শিক্ষককে চড় মারেন লিটন। লিটনের বাবাও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ছিলেন। কীভাবে একজন শিক্ষককে চড় মারতে পারলেন তিনি।
গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি লিটন। আগে আলোচনায় চলে না আসলেও ২ অক্টোবর ৯ বছরের শিশু সৌরভকে গুলি করে আলোচনায় চলে আসেন।
স্থানীয়রা জানান, লিটনের আগে থেকেই এলাকায় কুখ্যাতি রয়েছে। শিক্ষকদের মারধর, স্বইচ্ছায় আকাশের দিকে ফাঁকা গুলি ছোঁড়া, মদ পান করে রাস্তায় ঘোরাঘুরি ও সরকারি স্কুলে চাকরি দেয়ার কথা বলে উৎকোচ গ্রহণ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল্লাহ আল মামুন লিটনের বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে তার এলাকায় পিয়ন পোস্টে চাকরির জন্য ৬৪ জনের কাছ থেকে ২ থেকে ৪ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। ২০১৪ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর লিটন ফাঁকাগুলি ছুঁড়ছেন বলে অভিযোগ তার।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার, এমপি লিটন ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে তার স্ত্রী সাইদা খুরশিদ জাহান স্মৃতিকে নিয়োগ দেন। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বামী ও স্ত্রী দুজনই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। পরে স্বামীকে নির্বাচনের সুযোগ দিয়ে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন স্মৃতি। স্বামী এমপি হলেও খবরদারি করতেন স্ত্রী স্মৃতি। তথ্যসূত্র : ডেইলি স্টার
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় শয়নকক্ষ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পান্নাবিস্তারিত পড়ুন
গাইবান্ধায় সাড়ে তিন বছরের শিশু ধর্ষণের চেষ্টায় যুবক গ্রেপ্তার
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় সাড়ে তিন বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টাবিস্তারিত পড়ুন
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
এল. এন. শাহী, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার ফুলছড়িতে যৌতুকের দাবীতেবিস্তারিত পড়ুন