এমপি লিটন হত্যাঃ আরও ছয়জন গ্রেপ্তার
৮ দিন পেরিয়ে গেলেও গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডের কুল কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও তদন্ত সংশ্লিষ্টরা কেউ মুখ খুলছেন না।
সাংবাদিকরা পুলিশের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য চাইলে তারা যথাযথ সহযোগিতাও করছেন না। আজ শনিবার বিকেলে এমপি লিটন হত্যার ঘটনায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের গাইবান্ধা আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে শুনানি না হওয়ায় তাদের ফের জেলহাজতে পাঠানো হয়। এ নিয়ে মোট গ্রেপ্তারকৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ জনে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে এখনও তারা অন্ধকারেই রয়েছেন। আর এ কারণেই তারা তদন্তের অজুহাত দেখিয়ে মুখ খুলছেন না। এমনকি আজ শনিবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর পরেও সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের সম্পর্কে তথ্য দিতে গড়িমসি করেছে সুন্দরগঞ্জ পুলিশ। নানা অজুহাতে তারা সময়ক্ষেপন করেছেন। অবশেষে আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে সেই তথ্য সংগ্রহ করতে হয় সাংবাদিকদের।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, লিটন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ এ পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে ছয়জনকে আজ শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী। আজ যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয় তারা হলেন- জামায়াতের অর্থের যোগানদাতা সোনারায় ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে হাজী ফরিদ উদ্দিন, রামভদ্র গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে হযরত আলী, রামজীবন ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সামিউল হক, শান্তিরাম ইউনিয়নের খামার পাঁচগাছি গ্রামের একরামুল হকের ছেলে হাদিসুর রহমান, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর হাতিবান্ধা গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে জিয়াউল হক ও সোনারায় ইউনিয়নের পূর্ব শিবরাম গ্রামের মো. সাবু খন্দকারের ছেলে নবীনুর রহমান। তাদের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
এ বিষয়ে কোর্ট পুলিশের জিআরও শাহ আলম সন্ধ্যার পর সাংবাদিকদের জানান, শুনানি না হওয়ায় শনিবার তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। আগামীকাল রবিবার ওই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের তদন্তে দীর্ঘ সুত্রতা ও মামলার অগ্রগতি বিষয়ে নিরবতা নিয়ে আওয়ামী লীগসহ প্রগতিশীল সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও উত্কণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সাধারণ মানুষের মধ্যেও চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। পাশাপাশি প্রকৃত খুনিরা চিহ্নিত ও কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায়ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, এমপি লিটনের মত একজন প্রভাবশালী নেতা নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় অপরাধীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। স্থানীয় ব্যবসায়িরা বলছেন, উপজেলায় আতঙ্ক এবং অস্থরিতা সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বামনডাঙ্গার ব্যবসায়ি জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের পর বন্দর এলাকায় লোক সমাগম না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। কারণ সাধারণ মানুষ খুব বেশি বাইরে না থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন