বৃহস্পতিবার, জুলাই ১০, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

এশিয়া কাপে ব্যক্তিগত সাফল্যে ভাস্বর বাংলাদেশ

শেষটা ভালো হলো না, এশিয়া কাপ জিতে ইতিহাস গড়তে পারল না মাশরাফির দল। কিন্তু তাতে কী! এবারের এশিয়া কাপ স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত সাফল্যে। পুরো টুর্নামেন্ট দাপটের সঙ্গে খেলে ভারত রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঠিকই; কিন্তু ব্যক্তিগত পুরস্কারের হিসাব করতে বসলে শক্তিশালী ‘টিম ইন্ডিয়া’র চেয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন একজন বাংলাদেশি। বাছাইপর্ব বাদে শুধু মূলপর্বের হিসাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার, সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড়, সবচেয়ে বেশি ক্যাচও স্বাগতিক ক্রিকেটারদের দখলে।

এবারের এশিয়া কাপে দুজন ব্যাটসম্যানের ভূমিকা চমকপ্রদ। সাব্বির রহমান আর মাহমুদউল্লাহ। এতদিন মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ পালন করতেন ইনিংস গড়ার দায়িত্ব। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে ছয় বা সাত নম্বরে নেমে ‘ফিনিশারে’র ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। সাব্বিরের ভূমিকা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। আগে পরের দিকে ব্যাট করলেও এবার তিনি নেমেছেন টপ অর্ডারে। তাতে অবশ্য বাংলাদেশই লাভবান। নতুন ভূমিকায় দুজনই সফল।

সাব্বির প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন ভারতের বিপক্ষে ৪৪ রানের ইনিংস দিয়ে। সেদিন দল হেরে গেলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাঁর ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের ওপরেই নির্মিত হয়েছিল বাংলাদেশের জয়। ফাইনালেও অপরাজিত ৩২ রান পরিস্থিতির বিচারে যথেষ্ট মূল্যবান। সাব্বিরই ত্রয়োদশ এশিয়া কাপের সেরা ব্যাটসম্যান। পাঁচ ম্যাচে ৪৪ গড়ে ১৭৬ রান করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন তিনি।

মাহমুদউল্লাহর পারফরম্যান্স এককথায় অসাধারণ। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে রান পাননি, আউট হয়ে যান ৭ রান করে। তবে পরের চার ম্যাচে তাঁকে কেউ আউট করতে পারেননি। আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে লিগ পর্বের পরের তিন ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর রান ছিল ৩৬, ২৩ ও ২২। ফাইনালে তো অসাধারণ খেলেছেন। মাহমুদউল্লাহ নামার আগে রানের জন্য ভীষণ লড়াই করতে হচ্ছিল বাংলাদেশকে। তবে তিনি নামার পর পাল্টে যায় পরিস্থিতি। মাত্র ১৩ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে লড়াকু স্কোর এনে দেওয়ার কৃতিত্ব তাঁরই। পাঁচ ম্যাচে ১২১ রান করা মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং গড়ও ১২১। সত্যিই অবিশ্বাস্য।

আল-আমিন হোসেনের পারফরম্যান্সও চমকপ্রদ। গত বছর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিশ্বকাপের মাঝপথ থেকে দেশে ফিরে আসার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, তাঁর ক্যারিয়ার শেষ। বছরের শেষ দিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরলেও তেমন সাফল্য পাননি। কিন্তু এশিয়া কাপে সেই আল-আমিনই সেরা বোলার। পাঁচ ম্যাচে ১২.১৮ গড়ে ১১ উইকেট নিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। লিগপর্বে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচেই তিনটি করে উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে ফাইনালে নিয়ে যেতে বড় অবদান ছিল আল-আমিনের।

সেরার তালিকায় আরেকজন বাংলাদেশির নামও আছে এবারের এশিয়া কাপে। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ছয়টি ক্যাচ নিয়েছেন সৌম্য সরকার। এতগুলো ব্যক্তিগত সাফল্যের কারণে ২০১৬ সালের এশিয়া কাপকে মনে রাখতেই হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।বিস্তারিত পড়ুন

বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বরিশাল

বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথমবিস্তারিত পড়ুন

  • শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন
  • আজীবন সম্মাননা পেলেন টেন্ডুলকার
  • কিস্তিতে খেলোয়াড়দের বকেয়া শোধ করবে ‘দুর্বার রাজশাহী’
  • টানা ৮ ম্যাচ জেতার পরও এলিমিনেটরে হেরে রংপুরের বিদায়
  • বড় জয়ে সেরা আটে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখল রিয়াল
  • নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
  • প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
  • নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
  • ভারতের বিপক্ষে ১৩৩ রানের বিশাল পরাজয় বাংলাদেশের
  • আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭
  • বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে হামলার হুমকির পর এবার বয়কটের ডাক
  • বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে থাকবেন তামিম!