এসপি মিজানের নকল সারের ৪ কারখানা (ভিডিওসহ)
ফসল উৎপাদনে বহুল ব্যবহৃত টিএসপি বা ট্রিপল সুপার ফসফেট সার নকল করার চারটি বড় কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটি কারখানা রয়েছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আর অন্য দুটি ঢাকার অদূরে হেমায়েতপুরে।
দৈনিক কালের কণ্ঠ’র এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই চারটি কারখানায় প্রতিদিন এক হাজার টন নকল টিএসপি সার তৈরি করা হচ্ছে, যার দাম প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর এসব সার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে সরকারি টিএসপি সারের বস্তায় ভরে। কিছু সার বিক্রি হচ্ছে ‘তিউনিসিয়া টিএসপি’ নামেও। আর এ নকল টিএসপি সার বানিয়ে রমরমা কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিশের রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) ঢাকার কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। অনুসন্ধানকালে ওই নকল টিএসপি সার বানানোর সব কটি ধাপের ভিডিও চিত্রও ধারণ করা হয়েছে।
ভারত থেকে আমদানি করা চুন দিয়ে বানানো হয় ওই নকল টিএসপি সার। কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, এক প্রকার এসিড দিয়ে নরম করা হয় চুন। এরপর মণ্ড আকারের সেই চুন চালুনির ওপর ফেলা হলে দানা আকারের কিছু বেরিয়ে আসে। সেই দানা বড় আকারের হাঁড়ির মধ্যে ফেলে বিদ্যুতের সাহায্যে হাঁড়িটি ঘুরিয়ে এবং মাঝেমধ্যে এক ধরনের তরল দ্রব্য স্প্রে করে দানা মৃসণ করা হয়। হাঁড়ি থেকে নামিয়ে দানা শুকানোর পর তা বস্তায় ভরা হয়।
সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) কারখানায় উত্পাদিত ‘বাংলা টিএসপি’ সারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশে। ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা বাংলা টিএসপি সারের সরকার নির্ধারিত মূল্য এক হাজার ১০০ টাকা। এই দামে কৃষকের টিএসপি সার পাওয়ার কথা থাকলেও সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণে কৃষককে তা কিনতে হয় এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়। আর এ সুযোগে নকল টিএসপি সার বানানোর গোপন কারখানা গড়ে তুলেছে একটি চক্র। সার ব্যবসায়ীরা নকল টিএসপি প্রতি বস্তা ৭০০ টাকায় কিনে বিক্রি করে থাকে এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকায়। কিন্তু এত দাম দিয়ে কেনা নকল টিএসপি সার ফসল উত্পাদনে কোনো ভূমিকাই রাখে না, উল্টো মাটির গুণাগুণ নষ্ট করে দেয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের দুই জেলায় এসপি মিজানুর রহমানের নকল সারের চারটি কারখানা চালাতে সক্রিয় রয়েছেন দুই ব্যক্তি। তাঁরা হলেন সাঈদুর রহমান সাঈদ ও ইমাম হোসেন। রাজধানীর আদাবরে সাঈদুর রহমানের একটি অফিস রয়েছে। মেঘনা মিশ্র ফার্টিলাইজার নামে একটি কারখানাও আছে তাঁর। বিভিন্ন জেলায় নকল সার পাঠানোর সময় ট্রাকের চালানপত্র করা হয় এ কারখানার নামে। ওই চার কারখানায় নকল সার ছাড়াও বানানো হয় নকল কীটনাশকসহ বিভিন্ন ধরনের নকল কাঁচামাল, যা কৃষি উত্পাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করতে কাজে লাগে। কীটনাশকসহ কৃষি উত্পাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ উত্পাদনের একটি বড় প্রতিষ্ঠান এসপি মিজানের ওই নকল কারখানা থেকে কাঁচামাল কিনে থাকে বলে জানা গেছে।
উঁচু প্রাচীর ঘেরা কারখানা সাভারে : সাভার থানার হেমায়েতপুরের আলীপুর ব্রিজসংলগ্ন ৫৩ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এসপি মিজানের বাগানবাড়ি। চারপাশ উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। রয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাইরে কোনো সাইনবোর্ড নেই। সার ব্যবসায়ী সেজে গত ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার ওই বাড়িতে ঢুকতেই হাজারো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় এই প্রতিবেদককে। ইকবাল নামের একজন জানতে চান, ‘কার রেফারেন্সে এসেছেন?’ একজন সার ব্যবসায়ীর নাম বলার পরও বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর কারখানায় ঢোকার অনুমতি দেন। সেখানে ঢুকে দেখা যায়, চারতলা বাড়ির পাশেই টিনশেডের বিশাল কারখানা। সেই কারখানায় ৯টি হাঁড়িতে করে বানানো হচ্ছে নকল টিএসপি সার। পরে তা সরকারি টিএসপি সারের বস্তায় ভরে তার মুখ সেলাই করতেও দেখা যায়। কর্মরত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন ওই কারখানায় অন্তত ২০০ টন নকল টিএসপি সার বানানো হয়। পরে ট্রাকে করে তা পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সার ব্যবসায়ীদের কাছে। একটি চালানপত্রে দেখা যায়, ঢাকা মেট্রো ঙ-১৪৩৭৫০ নম্বর ট্রাকটির ওই সারের চালান নিয়ে ভোর ৪টায় সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে কারখানা ত্যাগ করার কথা।
সার ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে দেখা করে নিরাপত্তা নিয়ে বাড়াবাড়ির কারণ জানতে চাইলে কারখানার অন্যতম দেখভালকারী শাহাদত বলেন, ‘আপনি র্যাব-পুলিশের লোক কি না এটা তো আমাদের আগে জানতে হবে। যদি র্যাবের লোক হয়ে আমাদের এখানে ঢুকে পড়েন তাহলে তো সর্বনাশ। এ কারণেই আমরা সতর্ক থাকি। ’ কারখানাটি কার জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মূলত এটি এসপি সাহেবের। তবে এটি দেখেন সার ব্যবসায়ী ইমাম হোসেন সাহেব। এসপি সাহেব সপ্তাহে এক দিন আসেন এখানে। ’
একই পরিস্থিতি দেখা যায় হেমায়েতপুরের মুশুরিখোলা কারখানায় গিয়ে। ওই কারখানাটি পরিচালনা করেন মো. সাঈদুর রহমান সাঈদ। জানা গেছে, সারা দেশে নকল সার বিক্রি করার একটি বিরাট চক্র রয়েছে সাঈদুর রহমান সাঈদের। ওই চক্রকে ম্যানেজ করার জন্য তিনি রাজধানীর আদাবর থানার উল্টো দিকে একটি ভবনের চারতলায় একটি অফিস ভাড়া নিয়েছেন।
একজন নকল সার ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সাঈদের অফিসে গেলে দেখা পাবেন দেশের সব নকল সার ব্যবসায়ীর। সেখান থেকেই সার বিক্রির অডার্র ঠিক হয়। মেঘনা ফার্টিলাইজার নামে সাঈদের একটি মিশ্র সার কারখানা রয়েছে। ওই কারখানার নামে চালানপত্র করে নকল সার বিভিন্ন জেলায় পাঠায়। ’
টুঙ্গিপাড়ায় উঁচু দেয়ালের আড়ালে কী হয় জানে না স্থানীয় বাসিন্দারাও : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতির মধুমতী নদীর ওপর লেবুতলা ব্রিজের সঙ্গেই এসপি মিজানের নকল সারের বিশাল কারখানা। চারপাশে উঁচু দেয়াল তুলে কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই দেয়ালের আড়ালে কী হয় তা জানে না স্থানীয় মানুষও। সার ব্যবসায়ীর পরিচয় দিয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সেখানে ঢুকে দেখা যায় ভেতরে দক্ষিণে একটি দোতলা ভবন। ভবনের ওপরের তলায় টিনের চালা। নিচতলায় নকল সার তৈরির বিভিন্ন উপকরণ। প্রাচীরের উত্তর দিকে মধুমতী নদী ঘেঁষে একটি বিশাল টিনশেড। সেখানে গিয়ে নকল সার তৈরি করতে দেখা যায়। রয়েছে সার মসৃণ করার চারটি হাঁড়ি। এ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় চারটি কনভেয়ারও দেখা যায়। এসব কনভেয়ার দিয়ে নকল সার তৈরির কাঁচামাল টানা হয়।
জানা যায়, কারখানাটি পরিচালনা করেন মো. সাঈদুর রহমান সাঈদ। ওই কারখানার উত্তর-পশ্চিম পাশে আরেকটি নকল সারের কারখানা। সেটি পরিচালনা করেন ইমাম হোসেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, হাঁড়ি থেকে নামানো নকল টিএসপির দানা খোলা মেঝেতে শুকানোর জন্য ফ্যান চালু করে রাখা হয়েছে। তবে কঠোর নিরাপত্তার কারণে টুঙ্গিপাড়ার দুই নকল সার কারখানায় কর্মরত শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
যেভাবে তৈরি হয় নকল সার : ভারত থেকে আমদানি করা হয় চুন। ওই চুন এক প্রকার এসিড দিয়ে নরম করা হয়। টুঙ্গিপাড়ার নকল সার কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, মেঝেতে বেশ কিছু স্থান জুড়ে চুনের গুঁড়া রাখা। সেই চুনের মধ্যে তরল জাতীয় কিছু ঢালা হয়। এতে তীব্র ঝাঁজালো গন্ধ বেরিয়ে আসে। কর্মরত শ্রমিকরা জানান, চুনের মধ্যে সালফিউরিক এসিড দিয়ে চুন নরম করা হচ্ছে। এরপর মণ্ড আকারের সেই চুন নেটের ওপর ফেলা হয়। আর নেটের ওপাশ থেকে টিএসপি সারের মতো দানা আকারের কিছু বেরিয়ে আসে। পরে সেই দানা বড় হাঁড়ির মধ্যে ফেলে বিদ্যুতের সাহায্যে হাঁড়িটি ঘোরানো হয়। একজন শ্রমিক সেখানে দাঁড়িয়ে একটি তরল স্প্রে করেন মাঝেমধ্যে। শ্রমিকরা জানান, এ প্রক্রিয়ায় দানা অনেক মৃসণ হয়। হাঁড়ি থেকে দানা নামানোর পর সেটি আবার শুকাতে হয়। এরপর তা ভরা হয় বস্তায়। কারখানায় যন্ত্রের মাধ্যমে নকল টিএসপির বস্তা সেলাই করতেও দেখা গেছে। ওই বস্তাগুলো ‘তিউনিসিয়া টিএসপি’র।
নকল সার বানিয়ে বিক্রি করার বিষয়ে জানতে চাইলে এসপি মো. মিজানুর রহমান গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে বলেন, ‘আমি কোনো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নই। যে কারখানাগুলো নিয়ে অভিযোগ এসেছে সেগুলো ভাড়া দেওয়া। সাঈদ নামে একজন ওই কারখানাগুলো চালায়। এসব কারখানায় আমি যাই না। আর গত দুই-তিন মাসে আমি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার কারখানাতেও যাইনি। ’ স্থাপনার মালিক হিসেবেও অবৈধ ব্যবসার দায় তিনি নেবেন কি না জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। কোনটা বৈধ আর কোনটা অবৈধ সেটি আমি জানি না। তবে অবৈধ কিছু করলে তার দায় আমি নেব না। ’
নকল সারের কারখানা চালানোর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাঈদুর রহমান বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়। সরেজমিন প্রত্যক্ষ করে নকল সার তৈরির ভিডিওচিত্র ধারণ করার বিষয়টি উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি পিকনিকে এসেছি পরিবার নিয়ে। এখন গাড়িতে। গাড়ি থেকে নেমে আপনাকে ফোন দেব। ’ কিন্তু পরে সাঈদুর রহমান নিজে তো যোগাযোগ করেনইনি, এমনকি তাঁর নম্বরে আবার কল করা হলে তা তিনি রিসিভও করেননি।
জানতে চাইলে ইমাম হোসেন বলেন, ‘আপনি যখন সরেজমিন সব দেখে এসেছেন, আপনার কাছে কিছু গোপন করার নেই। এ কারখানাটি এখন আমি চালাই না। এটি এসপি সাহেবের কাছ থেকে সাঈদুর রহমান খান নামের একজন লোক নিয়ে সেটি চালায়। সাঈদের সঙ্গে এসপি সাহেবের পরিবারের একজন আছেন। এটা তাঁদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমি শুধু এসপি সাহেবের টুঙ্গিপাড়ার রাইস মিলটি দেখি। ’
কী কারণে এ ব্যবসা ছাড়লেন জানতে চাইলে ইমাম হোসেন বলেন, ‘আসলে এগুলো (নকল সার তৈরি) হতো মিশ্র সার কারখানার নামে। চার মাস আগে মিশ্র সার কারখানার অনুমোদনটি নবায়ন হয়নি। এ কারণে আমি আর এ ব্যবসায় নেই। তবে যদি কোনো সার ব্যবসায়ী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাহলে আমি তাঁকে সাঈদ সাহেবের কথা বলে দিই। ’
কে এই এসপি মিজান : বারবার সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছেন এসপি মিজানুর রহমান। তবে প্রতিবারই তিনি রক্ষা পেয়ে যান। সর্বশেষ গত বছরের ২৫ আগস্ট ‘তৈরি হচ্ছে এসপির আলিশান বাড়ি, বেগার খাটছে ৬০ পুলিশ’ শিরোনামে কালের কণ্ঠে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে নিজের বাড়ি বানানোর কাজ করার অভিযোগ ওঠে আলোচিত এসপি মিজানের বিরুদ্ধে। পুলিশকে ব্যক্তিগত কাজে খাটানোর অভিযোগ থেকে সে যাত্রায় বেঁচে যান এসপি মিজান।
জানা গেছে, বাগেরহাট জেলার এসপি থাকাকালে মিজানুর রহমান ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলিশ কর্মকর্তাদের নামে জমি দখল করেছিলেন। ঘটনাটি নিয়ে তখন ব্যাপক সমালোচনা হওয়ায় তাঁকে বাগেরহাট থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চট্টগ্রামের দুই সার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা জোর করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
জানা গেছে, চাকরিজীবনে একাধিকবার মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তিনি পার পেয়ে গেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি নিজের পরিচয় দিতেন দলটির প্রভাবশালী নেতা আমানউল্লাহ আমানের ভগ্নিপতি হিসেবে। বাস্তবে তিনি আমানউল্লাহ আমানের চাচাতো বোনকে বিয়ে করেছেন।
ভিডিও দেখুন…
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেবিস্তারিত পড়ুন
কমলা হ্যারিসের ভোটের প্রচারণায় বাজবে এ আর রহমানের গান
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসেরবিস্তারিত পড়ুন
উপদেষ্টা আদিলুর: পূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না
দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেবিস্তারিত পড়ুন