এসবই আমাকে অনুপ্রাণিত করে: মাশরাফি
একজন দলনেতা হিসেবে কতটা পরিণত মাশরাফি বিন মুর্তজা? উত্তরটা বলার দরকার হয় না। কারণ, এটা হয়তো সবারই জানা। ভাঙা-গড়া একটা দলকে নেতৃত্ব দিয়েও সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যান। তার চেয়েও বড় কথা, বাংলাদেশ জাতীয় দলকে কোন পর্যায়ে তুলে দিয়েছেন তিনি। টাইগারদের সমীহ জাগিয়ানা পারফরম্যান্সের পূর্ণতা পেয়েছে তো এই কাণ্ডারির হাত ধরেই।
২০১৫ সালটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য কেটেছে দুর্দান্ত। যার কারিগর মাশরাফি। গত বিপিএলে তাকে দলে ভিড়িয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ার্স। সেখানে গিয়ে কথা শুনতে হয়েছে! জবাবটা মাঠেই দিয়েছেন। ছাপ ছিল শিরোপা জয়ের পর উল্লাসেই।
এত কিছু দেখার পরও মাশরাফির জীবনের নাটকের অবসান নেই। গল্পের ক্ষুদ্রাংশ যোগ হলো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্লেয়ার্স ড্রাফটে। ডিপিএলে ‘আইকন’ ক্রিকেটার হিসেবেই তার নাম তোলা হয়। দুর্ভাগ্যবশত, আইকনের ছয় ক্রিকেটারের তালিকা শেষ। মাশরাফিকে কোনো দলই ডাকছে না! ‘এ প্লাস’ গ্রেডের ক্রিকেটারদের দল বাছাইয়েরও শেষ পর্যায়।
টুর্নামেন্টের ১২টি ক্লাবের মধ্যে মাশরাফিকে ১০টি ক্লাবই চায়নি! কী আর করার? লটারিতে ১১ নম্বরে থাকা কলাবাগান রাজি হয়েছে মাশরাফিকে নিতে। শেষ পর্যন্ত মাঝারি গড়নের দলেই নাম লেখান বাংলাদেশের অধিনায়ক। তার ক্ষেত্রে এমন উপেক্ষা বড্ড বেমানানই। তবে এসব নিয়ে মাথা ব্যথা নেই মাশরাফির। জানালেন, এমন ঘটনাগুলোই নাকি তার জীবনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে!
বিপিএলে কুমিল্লার দলে যাওয়ার অভিজ্ঞা শেয়ার করেন মাশরাফি। বলেন, ‘দেখুন, বিপিএলে কুমিল্লা দলে নেওয়ার পর আমাকে নিয়ে কথা উঠেছিল। আমি আমলে নেইনি। রাগও করিনি। মাথায় ছিল, মাঠে খেলেই নিজেকে প্রমাণিত করার চেষ্টা করেছি। এসবই আমাকে অনুপ্রাণিত করে থাকে।’
আলাদিনের চেরাগের মতো যেখানেই হাত দেন মাশরাফি, সেখানেই সফল! সাদামাটা দল নিয়েও বুক চিতিয়ে লড়াই করার মতো সাহসী নেতা তিনি। ‘কষ্ট করলেই কেষ্ট মেলে’, ‘সবুরে মেওয়া ফলে’ এসবই হয়তো প্রভাবিত করে মাশরাফিকে। নইলে তার এতো ধৈর্য্য কোত্থেকে আসে? মিডিয়ার সামনে অতটা ক্ষোভও ঝাড়েন না। তবে মনে মনে যে তিনি ফুসতে থাকেন, তা প্রমাণ দেন মাঠেই।
এমনই কয়েকটি উদাহরণ টানলেন মাশরাফি। বললেন, ‘বিপিএলের প্রথম নিলামেও আমি আনসোল্ড ছিলাম। শেষ দিকে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স আমাকে নেয়ার আগ্রহ দেখায়। আগের বারের ঢাকা লিগেও ঘটে একই ঘটনা। কেউ যখন নিচ্ছে না, মোহামেডান আমার দিকে হাত বাড়ায়। আল্লাহর রহমতে সব জায়গাতেই ভালো খেলেছি। মোহামেডান যখন একদমই ভালো করছিল না, টানা চারটি ম্যাচ জিতে আমরা সুপার লিগে খেলেছিলাম।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন