এ্যানীকে পুনরায় গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ
কোনো সুনির্দিষ্ট মামলা ছাড়া ও বিনা পরোয়ানায় সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে গ্রেপ্তার না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে কোনো সুনির্দিষ্ট মামলা ছাড়া ও বিনা পরোয়ানায় তাকে গ্রেপ্তার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
এ বিষয়ে করা এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সুমন।
আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, গাজীপুরের এসপি হারুন-অর রশিদ, কাশিম পুর কারাগারের জেলারসহ মোট ১৩ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সব মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরেও কারামুক্ত হতে পারছেন না শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এরকম একটি প্রতিবেদন বাংলামেইল২৪ডটকমসহ দেশের জাতীয় কয়েকটি দৈনিকে প্রকাশিত হয়। সে প্রতিবেদনগুলো সংগ্রহ করে কোনো সুনির্দিষ্ট মামলা ছাড়া ও বিনা পরোয়ানায় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তার না করতে নির্দেশনা চেয়ে গত রোববার হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বিএনপির এ নেতা।
শুনানি করে আদালত গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন।
এ্যানী চৌধুরীর আইনজীবী জহিরুল ইসলাম সুমন জানান নাশকতা, মানহানি, দুদকের মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে এ নেতার বিরুদ্ধে মোট ৯৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন যাবত তিনি কারাগারে রয়েছেন।
তিনি বলেন, সব মামলায় আমরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনাদেশ পাই। কিন্তু কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় জেল গেট থেকে তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার নথি থেকে জানা যায়, রাজধানীর শাহবাগ, পল্টন, রমনা ও মতিঝিল থানায় গাড়ী ভাংচুর, নাশকতা ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০১৫ সালে মোট ১০টি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা,কক্সবাজারসহ তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়।
এসব মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। সর্বশেষ দুদকের মামলায় গত ৪ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ বহাল রাখলেও পরের দিন বেইলবন্ড কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু কারাগার থেকে কারামুক্তির সময় জেলগেট থেকে তাকে শ্যোন এরেস্ট দেখায় পুলিশ। পরবর্তীতে পল্টন থানার আরো দুইটির মামলায়ও তাকে শ্যোন এরেস্ট দেখানোর আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন। সরকার বিরোধী আন্দোলনে দায়ের হওয়া শাহবাগ থানার ৫ মামলায় এ্যানী ২০১০ সালে ২ মাস, ২০১২ সালে রাজধানীর তেজওগাঁও ও শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় ৩ মাস কারাভোগ করেন এ্যানি চৌধুরী।
২০১৩ সালে পল্টন, রমনায় গাড়ী ভাংচুরের অভিযোগে ৫ মামলায় দেড়মাস কারাভোগ করেন বিএনপির এ নেতা। সর্বশেষ নাশকতা, দুদকসহ দশ মামলায় দেশের আদালত থেকে জামিন পেলেও শ্যোন অ্যারেস্ট হওয়া ২ মামলায় কারাগারে সাবেক এই ছাত্রদল সভাপতি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি ১০ মামলায় স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণের পর থেকে তিনি কারাগারে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন