এ কেমন উপেক্ষার শিকার নাসির
খুব বেশিদিন আগের কথাও নয়, যখন নাসির হোসেনকে বিবেচনা করা হতো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে। অনেক ম্যাচেই দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে দলকে জেতানোর জন্য ‘ফিনিশার’ তকমাটাও লাগানো হতো ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের গায়ে। কিন্তু এখন রীতিমতো প্রহসনই করা হচ্ছে নাসিরকে নিয়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিনিয়তই দারুণ নৈপুণ্য দেখানো সত্ত্বেও ডাক পাচ্ছেন না জাতীয় দলে। ক্রিকেটবিশ্বের অন্যতম বড় প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলেও জায়গা মেলেনি নাসিরের।
২০১৫ সালে বাংলাদেশের সাফল্যমণ্ডিত বছরটিতে নাসির ছিলেন দলের নিয়মিত সদস্য। বিশ্বকাপের পর খেলেছিলেন পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে। চারটিতেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন নাসির। কিন্তু এর পরই নির্বাচকদের সুনজর থেকে ধীরে ধীরে সরে গেছেন তিনি।
দীর্ঘদিন পর গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আবার দলে নেওয়া হয়েছিল নাসিরকে। সেখানে একটি ম্যাচে ভালো নৈপুণ্যও দেখিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। প্রথমে ব্যাট হাতে ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পর বল হাতেও নিয়েছিলেন একটি উইকেট। ১০ ওভার বল করে দিয়েছিলেন মাত্র ২৯ রান। সেই ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে অবশ্য সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি। আউট হয়ে গিয়েছিলেন মাত্র চার রান করে। পরে বল হাতে নিয়েছিলেন একটি উইকেট।
এ বছরের শুরুতে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া লিগেও নাসির ছিলেন দারুণ ধারাবাহিক। প্রায় প্রতি ম্যাচেই খেলেছেন নজরকারা সব ইনিংস। ভালো নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন ইমার্জিং এশিয়া কাপেও। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও হাসছে নাসিরের ব্যাট। গাজী গ্রুপের হয়ে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচে মাঠে নেমে খেলেছেন ১০৬ ও ৪১ রানের দুটি অপরাজিত ইনিংস।
নাসিরের এই ধারাবাহিকতাকে পুরোপুরি উপেক্ষাও করতে পারেননি বাংলাদেশের নির্বাচকরা। আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে রাখা হয়েছে নাসিরকে। কিন্তু বাদ দেওয়া হয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে। এখানেই থেকে গেছে শুভঙ্করের ফাঁকি।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বাংলাদেশের মতো দক্ষিণ আফ্রিকাও একটি প্রস্তুতিমূলক সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এই ইংল্যান্ড সিরিজ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি—দুটির জন্যই অভিন্ন দল ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলই ১৫ সদস্যের। অন্যদিকে বাংলাদেশের ত্রিদেশীয় সিরিজের দল ১৮ সদস্যের। আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ১৫ সদস্যের। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে নাসিরসহ চার ক্রিকেটারকে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে প্রস্তুতিমূলক সিরিজে সব দলই চাইবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিজেদের সম্ভাব্য সেরা একাদশটি নির্বাচন করতে। কিন্তু নাসির যদি ত্রিদেশীয় সিরিজে আদৌ খেলার সুযোগ পান এবং সেখানে ভালো নৈপুণ্য দেখান, তাহলে তাঁকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অন্তর্ভুক্ত করার কোনো সুযোগ কি থাকবে বাংলাদেশের? বরং সত্যিই যদি এমনটি ঘটে, তাহলে শুধু আফসোসই বাড়বে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। আহা! এমন দারুণ ফর্মে থাকা নাসির যদি থাকতেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে! এমন হাহাকার হয়তো ঘুরে বেড়াবে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে। এহেন দল নির্বাচনকে উপেক্ষা ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন