এ বছর বিশ্বের শীর্ষ মজুরিপ্রাপ্ত মডেলরা
৩০.৫ মিলিয়ন ডলার আয় নিয়ে গিজেলে বুন্দচেন এখনো বিশ্বের শীর্ষ মজুরিপ্রাপ্ত মডেল। আর কেন্দাল জেনার ও নবাগতা গিগি হাদিদ ইনস্টাগ্রামে অসংখ্য ফলোয়ারের সুবাদে প্রতিদিন কয়েক কোটি ডলারের আয় নিয়ে তৃতীয় ও পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছেন।
৩৬ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান মডেল গিজেলে বুন্দচেন ২০০২ সাল থেকেই বিশ্বের আর যে কোনো মডেলের চেয়ে অনেক বেশি আয় করছেন।
বুন্দচেনের পরেই আছেন আরেক ব্রাজিলিয়ান মডেল আদ্রিয়ান লিমা। তার আয় ২০ মিলিয়ন ডলার।
২০১৫ সালের ১ জুন থেকে ২০১৬ সালের ১ জুন পর্যন্ত বিশ্বের শীর্ষ ২০ মডেলের মোট আয় ছিল ১৫৪ মিলিয়ন ডলার। ইনস্টাগ্রামে তাদের মোট অনুসারীর সংখ্যা ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি।
তবে গত কয়েক বছরে সবচেয়ে বেশি আয় করছেন তৃতীয় স্থানে থাকা জেনার। ২০১৬ সালে তার আয় ১৫০% বেড়ে ১০ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। জেনারের ইনস্টাগ্রাম অনুসারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৪৪ লাখ। যা সবার চেয়ে বেশি। আর এই বিশাল সংখ্যক অনুসারীর সুবাদেই তিনি এস্টি লডার এবং কেলভিন ক্লেইন এর মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গে মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করতে সক্ষম হয়েছেন। কারণ কম্পানিগুলো সামাজিক গণমাধ্যমে তার খ্যাতিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করতে চাইছে।
জেনারের সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে থাকা কার্লি ক্লসও ২০১৫ সাল থেকে তার আয় দ্বিগুন বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন। লরিয়েলসহ প্রায় ১৮টি ব্র্যান্ডের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের কাজ করছেন তিনি।
তাদের পরেই রয়েছে নবাগতা হাদিদ ও ব্রিট রোসি হান্টিংটন-হুইটলি। এরা দুজনেই ৯ মিলিয়ন ডলার আয় করে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছেন। এখনো ২২ বছর পূর্ণ না হওয়া এই দু্ই মডেলের ইনস্টাগ্রাম অনুসারীর সংখ্যা ২২ মিলিয়ন।
আমেরিকান ভোগের গত দুই সংখ্যাতেই স্থান পেয়েছিলেন দুই মডেল; গিগি হাদিদ আগস্ট আর কেন্দাল জেনার সেপ্টেম্বর সংখ্যায়। আর এই দুজনকে নিয়েই বিশ্ব মডেলিংয়ের জগতে এখন হইচই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
আইএমজি মডেলস এর প্রেসিডেন্ট ইভান বার্ট বলেন, এখন হলো মডেল, ইউটিউব আর সামাজিক গণমাধ্যম তারকাদের যুগ।
চলতি বছরের আরেকজন সাঁড়া জাগানো মডেল ছিলেন হলিউড বক্সঅফিস কাঁপানো সিনেমা ম্যাড ম্যাক্স: ফিউরি রোড এবং ট্রান্সফরমারস: ডার্ক অফ দ্য মুন খ্যাত মডেল হান্টিংটন-হুইটলি।
চলতি বছরের শীর্ষ ২০ মডেলের এক তৃতীয়াংশই নবাগতা। এই তালিকায় ভিক্টোরিয়াস মডেল- লিলি আলদ্রিজ, জেমস টুকস এবং ২০ বছর বয়সী টেইলর হিলও রয়েছেন। টেইলর সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে ৪ মিলিয়ন ডলার আয়ের মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
শীর্ষ আয়কারী মডেলদের তালিকায় ভিক্টোরিয়াস সিক্রেট অ্যাঞ্জেলসরাই ৩০% স্থান দখল করে রেখেছেন।
৫ মিলিয়ন ডলার আয় নিয়ে ১৩ নম্বরে থাকা কেট মসই একমাত্র মডেল যাকে নিয়ে ফিচার করেছে ফোবর্স। ফোবর্সের ১৯৯৯ সালের ১০০ সেলিব্রিটির তালিকায়ও তিনি স্থান পেয়েছিলেন। ওই তালিকায় ছিলেন আরো চার মডেল- ক্লডিয়া শেফার্ড, সিন্ডি ক্রফোর্ড, ক্রিস্টি টুর্লিংটন এবং নিকি টেইলর।
এ বছর শীর্ষ আয়কারী মডেলদের তালিকার ৩০ শতাংশই ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ব্রিটেন ও ব্রাজিলের আছেন তিনজন করে। নেদারল্যান্ডের আছেন দুইজন।
আর শীর্ষ আয়কারী মডেলদের তালিকায় প্রধানত শেতাঙ্গদেরই ছড়াছড়ি ছিল। ফ্যাশন স্পটের এক জরিপে দেখা গেছে, ২০১৬ সালের বসন্তকালে প্রিন্ট মিডিয়ার বিজ্ঞাপনের ৭৮.২% ছিল শেতাঙ্গদের দখলে। কালোদের দখলে ছিল ৮.৩% আর এশিয়ানরা ৪% এবং ল্যাটিন আমেরিকান মডেলরা মাত্র ১.৭% বিজ্ঞাপনে স্থান পেয়েছেন।
পুরুষ মডেলরা ফোবর্সের এই তালিকায় স্থান পাননি। কারণ নারী মডেলদের চেয়ে তাদের আয় অনেক কম। একমাত্র এই মডেলিং শিল্পেই নারীরা আয়ের দিক থেকে পুরুষদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ফোবর্স আয়ের অনুপাতে পুরুষ মডেলদের শীর্ষ তালিকা করেছিল সর্বশেষ ২০১৩ সালে। সে বছর সিন ও’পেরি ১.৫ মিলিয়ন ডলার আয় নিয়ে তালিকার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছিলেন।
সূত্র: ফোবর্স
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন