এ মৃত্যুতে বাবা হিসেবে আমি গর্বিত
দেশের জন্য আমার সন্তানের এ মৃত্যুতে বাবা হিসেবে আমি গর্বিত। বললেন রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে নিহত সেতা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন তানভীরের বাবা। তিনি (ক্যাপ্টেন তানভীর) হতাহতদের উদ্ধারে সেখানে কর্মরত ছিলেন। ক্যাপ্টেন তানভীরসহ ৪ সেনা সদস্য এ দুর্ঘটনায় মারা যান।
বুধবার বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকেন্দ্রীয় মসজিদে তাদের জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকসহ নিহতদের সহকর্মীরা, স্বজনরা এবং আরো অনেকে অংশ নেন।
জানাজার সময় ক্যাপ্টেন তানভীরের বাবা বলেন, ২০১১ সালে যখন আমার ছেলে সেনাবাহিনীতে কমিশন্ডপ্রাপ্ত হন তখন তাকে বলেছিলাম তোমাকে দেশের জন্য উৎসর্গ উৎসর্গ করে দিলাম।
আমি জানতাম না আমার ২৭ বছর বয়সী ছেলে এতো দ্রুত দেশের জন্য নিজেকে উৎর্গ করবে।
ক্যাপ্টেন তানভীরের বাবার এ কথায় উপস্থিত সেনারা তাদের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি।সবাই কেঁদেছেন। জানাজায় উপস্থিত শত শত সেনাসদস্য এই এক কথায় আবেগ ধরে রাখতে পারেননি।
জানাজা শেষে মেজর মোহাম্মদ মাহফুজুল হক ও ক্যাপ্টেন মো: তানভীর সালাম শান্তর লাশ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। কাল (বৃহস্পতিবার) বনানীর সামরিক কবরস্থানে তাদের দাফন হবে। এছাড়া কর্পোরাল মোহাম্মদ আজিজুল হক ও সৈনিক মো: শাহিন আলমের লাশ হেলিকপ্টারে নিজ নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সামরিক মর্যাদায় তাদের দাফন হবে।
টানা তিন দিনের প্রবল বর্ষণে সোমবার থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস শুরু হয়। এতে করে সমগ্র এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক করতে এবং পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য করতে বিভিন্ন সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা সোমবার থেকেই উদ্ধারকার্যে অংশগ্রহণ নেন।
মঙ্গলবার ভোরে রাঙামাটির মানিকছড়িতে একটি পাহাড় ধসে মাটি ও গাছ পড়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে রাঙামাটি জোন সদরের নির্দেশে মানিকছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। সকালে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর সময় কার্যস্থলের সামনে পাহাড়ের একটি বড় অংশ উদ্ধারকারীদলের ওপর ধসে পড়ে।
এতে তারা মূল সড়ক থেকে ৩০ ফিট নিচে পড়ে যান। পরে একই ক্যাম্প থেকে আরো একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে মেজর মাহফুজুল হক, ক্যাপ্টেন তানভীর সালাম শান্ত, কর্পোরাল আজিজুল হক ও সৈনিক শাহিন আলমকে মৃত এবং ১০ সেনা সদস্যকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আনা হয়েছে।
পাহাড় ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫১ জনের মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন