এ যেন অন্য এক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার

ব্যাট-বল আর নির্দিষ্ট সময় করে মাঠে যাওয়া। যেন গদ-বাঁধা একটি ছকের মধ্যে আবদ্ধ ছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০০৬ সালের আগস্টে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের। তারপর থেকে তিন ধরণের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের কার্যকরী সদস্যে পরিণত হতে খুব একটা সময় নেননি তিনি। শুধু বাংলাদেশ নয়, ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিত মুখ এখন সাকিব, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশ জাতীয় দলে যেমন খেলে থাকেন ঠিক তেমনি বিশ্ব ক্রিকেটে সমানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। খেলা আর খেলা। তাই যেন অনেকটা হাঁপিয়ে উঠেছিলেন সাকিব। তাই স্ত্রী-কন্যার মুখ দর্শন করতে গত ২৬ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো মাকে সঙ্গে করে যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন সাকিব।
কন্যা আলাইনা হাসান অব্রির পরশে যেন অন্যরকম হয়ে গেছেন বিশ্বসেরা বাঁহাতি অলরাউন্ডার। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলেছেন সাকিব। এমনটি তাকে আগে কখনো দেখা যায়নি। তবে কি পিতৃত্বের স্বাদ পেয়েই বদলে গেলেন সাকিব। এমনটা বলাবলি করেছেন মিডিয়া কর্মীরা।
মাস দুয়েক আগে কন্যা সন্তনের জনক হয়েছেন বিশ্বসেরা এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। আর তাতেই যেন সাকিবের গদ-বাঁধা জীবনের ছকটাও অনেকখানি বদলে গেছে। অকপটে এটাও স্বীকার করেছেন সাকিব। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে কন্যাকে কিভাবে বেবি সিটিং করেছেন। আর এ কাজে তার স্ত্রী শিশিরও পাশে ছিলেন বলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেননি সাকিব।
আগামীকাল শুক্রবার সাকিব কন্যা আলাইনা হাসান অব্রির বয়স দুই মাস পূর্ণ হবে, তাই যেন চোখে মুখে কেমন খুশি খুশি একটি ভাব বারবারই খেলা করছিল বাবার। যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন বেবি সিটিংয়ের সময়ে সদ্যজাত কন্যার প্রতিটি ছোঁয়াই যে তিনি প্রাণভরে উপভোগ করেছেন তা বুঝতেও ভুল হলনা মিডিয়ার কর্মীদের। এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন ‘বেবি সিটিং করতে মজাই লাগে। আমি ও শিশির দু’জন মিলেই এ কাজটি করেছি। আমার মেয়ের ডায়পারও আমি বদলে দিয়েছি।’
গত ১৫ ডিসেম্বর শেষ হয়েছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসর। এরপর ভিসা জটিলতার কাজ শেষ করে গত ২৬ ডিসেম্বর ছুটি কাটাতে মাকে সঙ্গে করে আমেরিকায় উড়াল দেন সাকিব। যদিও ওই সময় একমাত্র ছোট বোনকে নিয়ে আমেরিকায় যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় বোনকে আর যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে যাওয়া হয়নি সাকিবের। তবে সদ্য জন্ম নেওয়া কন্যা ও স্ত্রীর সঙ্গে ছুটির পুরো সময়টা যে অসাধারণ কেটেছে তা বোঝা গেল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের কথাতেই।
নিজের মেয়ের হাত ধরে তৃপ্ত হয়েছেন সাকিব। ঠিক তেমনি তৃপ্ত হয়েছেন কন্যা অব্রির প্রতিটি কার্যকলাপেও। এ বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘ও (অব্রি) আমার কোলেই বেশি থেকেছে। আমি যখন যেভাবে শুয়ে থেকেছি, সেও সেভাবে শুয়ে থাকতে চেয়েছে। ও খুব শান্ত-স্বভাবের হয়েছে। কোনোরকম কান্নাকাটি করে না। কোনো কিছু খাবার পর আবারো ঘুমিয়ে পড়ে। অনেক সময় ওকে বুকে করে আমিও ঘুমিয়েছি।’
মেয়ের বেবি সিটিংয়ের পর প্রসঙ্গ আসে মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে। বড় হয়ে কী হবেন অব্রি? বাবার মতো ক্রিকেটার নিশ্চয় হবে। উত্তরে সাকিব বলেন, ‘মেয়েতো, তাই ক্রিকেট না, টেনিস কিংবা গলফ খেলবে সে। তবে ও বড় হয়ে ভালোই বলতে পারবে সে কি হবে।’
মেয়ের প্রসঙ্গ শেষে শেয়ার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন বিভিন্ন দেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে সাক্ষাত নিয়ে। পাশাপাশি আমেরিকায় শীতের তীব্রতা ও বরফের চাদরে সব-কিছু সাদা হয়ে যাওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের গল্পও শোনালেন সাকিব। বললেন, ‘মাতো প্রথমবারের মতো ওখানে গেছে, তাই বরফে সবকিছু ঢাকা থাকায় উনি বেশ খানিকটা অবাকও হয়েছেন। তবে এখানে থাকলে মা কিছুটা অসুস্থ্ থাকতেন। তবে ওখানে গিয়ে মা খুব ভালো আছেন। আগের মতো মায়ের আর বেশি-বেশি করে ওষুধ খেতে হচ্ছে না।’
বুধবার আমেরিকা থেকে ফিরেছেন সাকিব। তবে ওইদিন দীর্ঘ-ভ্রমণজনিত কারণে আর অনুশীলন করেননি বিশ্বসেরা এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। কিন্তু আগেরদিন জাতীয় দলের ঢাকায় অনুশীলন পর্ব শেষ হয়ে গেছে। শুক্রবার খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে মাশরাফি বাহিনী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।বিস্তারিত পড়ুন

বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথমবিস্তারিত পড়ুন

শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন
রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার ৫ নম্বর সড়কে আওয়ামী লীগ সভাপতিবিস্তারিত পড়ুন