হুমায়ূন স্মরণ
এ সময়ে আপনাকে প্রয়োজন ছিল

উনিশে জুলাই হুমায়ূন আহমেদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁর কী পরিচিতি লেখা যায় সেটা নিয়ে যে কেউ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যাবে। তিনি সুসাহিত্যিক, সুলেখক, জনপ্রিয় লেখক, নির্মাতা, কিংবদন্তি লেখক, নন্দিত কথাসাহিত্যিক, বাংলা সাহিত্যে ধূমকেতু কিংবা ঝড়ের পাখির মতো উদিত হওয়া অন্যতম তারুণ্যের মনকে কমপক্ষে দুই দশক বইয়ের মধ্যে ডুবিয়ে রাখার মতো জাদুকরি মন্ত্রণাদানকারী বরপুত্র অধ্যাপক ড. হুমায়ূন আহমেদ।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সে জন্য তাঁর প্রতিটি লেখাতেই বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিশেষ করে নেত্রকোনা এলাকার স্থান-কাল-পাত্র চিত্রায়িত হতে দেখা গেছে। যেমন ‘গৌরীপুর জংশন’ তাঁর এমন একটি সাহিত্যকর্ম। তাঁর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাটক-সিনেমার শুটিংও হয়েছে এসব এলাকাকে ঘিরে। যেমন ‘অয়োময়’ নাটকের শুটিং হয়েছে ময়মনসিংহের রাজবাড়িতে। হঠাৎই নন্দিত এ কথাসাহিত্যিক আমাদের ছেড়ে চলে যান না ফেরার দেশে, ২০১২ সালের ১৯ জুলাই।
মাত্র ৬৪ বছর বেঁচেছিলেন তিনি, মহাকালের বিচারে এ সময় এত কম এবং তিনি সেই কম সময়ের মধ্যেই জয় করে গেছেন কোটি বাঙালির হৃদয়-মন। তিনি একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন তিনি নিজেও হানাদারদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিলেন এবং তাদের গুলির হাত থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। তাঁর বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন, যিনি সে সময় পিরোজপুরে এসডিপিও হিসেবে কর্মকালীন অবস্থায় ১৯৭১ সালে পাকবাহিনীর সৈন্যদের হাতে শহীদ হন। কাজেই তাঁর চেতনা, সব লেখালেখিতেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিস্তৃত ছিল। টেলিভিশন নাটক, সিনেমা, গল্প, উপন্যাসসহ তিনি প্রায় ২০০টির ওপরে বই লিখেছেন। সিরিয়াস লেখা হিসেবে ১৯৭২ সালে ‘নন্দিত নরকে’ উপন্যাস রচনা করে প্রথমে সব মহলে তাঁর নাম ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন। তার পরপরই ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ইত্যাদি সাহিত্যকর্মের জন্য বামপন্থী ঘরানার লেখক হিসেবে পরিচিত আহমদ শরীফ, আহমদ ছফা প্রমুখ নামকরা লেখকদের নজর কাড়েন। তখন লেখকশিবিরের পুরস্কার পান ১৯৭৩ সালে।
এরপর তিনি আর থেমে থাকেননি। একে একে তিনি রচনা করেন ‘গৌরীপুর জংশন’, ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’, ‘এই সব দিনরাত্রি’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘ঘেঁটুপুত্র কমলা’ ইত্যাদি সাহিত্যকর্ম রচনা করে সারা দেশে বিশেষ করে নতুন ও তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সমর্থ হন তিনি। তারই সূত্রধরে তিনি অনেক পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি পদক, ১৯৯৪ সালে একুশে পদক, ২০১২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
নওয়াজেশ আলী খান, মুস্তাফিজুর রহমান, আতিকুল হক চৌধুরীর মতো নাট্য নির্দেশকদের প্রযোজনায় ‘ঢাকায় থাকি’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘এই সব দিনরাত্রি’, ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’ ইত্যাদি নামকরা নাটকের মাধ্যমে ধারাবাহিক টেলিভিশন নাটক জনপ্রিয় করেছিলেন তিনি। সপরিবারে দেখার উপযোগী নাটক তৈরি করে সেখানে হাস্যরসও যেমন থাকত, তেমনি থাকত বিশেষ ধরনের কোনো না কোনো শিক্ষণীয় কিছু। আশির দশকে দেশে বিটিভিই ছিল একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম। তখন টেলিভিশনে হুমায়ূন আহমেদের নাটক মানে সেদিন রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার ফাঁকা হয়ে যেত। সেসব নাটকে তিনি যেসব চরিত্র চিত্রণ করতেন এবং সংলাপ সৃষ্টি করতেন, তখন সেগুলো মানুষের মুখে মুখে ফিরত।
‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে জনপ্রিয় চরিত্র ‘বদি’র (যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আজকের সংস্কৃতিমন্ত্রী, বিশিষ্ট জনপ্রিয় অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর এমপি) ফাঁসি না দেওয়ার জন্য রাস্তায় মিছিল পর্যন্ত হয়েছে। তবে তাঁর লেখায় কোনো না কোনোভাবে মুক্তিযুদ্ধ এবং এর বিরোধী হিসেবে রাজাকারের সহিংসতা স্থান পেয়েছে। ১৯৭৫ পরবর্তীকালে যখন রাজাকারদের বিভিন্নভাবে পুনর্বাসনের কাজ চলছিল, তখন কেউ রাজাকারদের বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস করত না। কিন্তু তখন তিনিই প্রথম ‘বহুব্রীহি’ নামক টিভি নাটকে একটি টিয়া পাখির মুখের বুলি হিসেবে ‘তুই রাজাকার, তুই রাজাকার’ জনপ্রিয় সংলাপ হিসেবে মানুষের মুখে মুখে তুলে দিতে পেরেছিলেন। সেই নাটকেরই আরেক চরিত্রের মাধ্যমে তিনি গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করার কথাও বলেছিলেন। আসলে সুকৌশলে এটি ছিল রাজাকারদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর তাঁর প্রথম পরীক্ষামূলক ধাপ। তিনি সত্যিই সফল হয়েছিলেন সেই পরীক্ষার মাধ্যমে।
তাঁর লেখা গল্প, উপন্যাস ইত্যাদি বেশির ভাগগুলো দিয়েই হয় টিভি নাটক, না হয় সিনেমা বানানো হয়েছে। আগেই বলেছি, মুক্তিযুদ্ধের ওপর ছিল তার অন্যরকম আকর্ষণ। সুযোগ পেলেই বিষয়টি টেনে আনতেন সুকৌশলে তাঁর লেখায়। ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমণি’ তৈরি করেন। তার আগপর্যন্ত দেশে ‘ওরা এগারো জন’ ছিল মুক্তিযুদ্ধের ওপর একমাত্র চলচ্চিত্র। তখন সেই ‘আগুনের পরশমণি’ ছবিটি পায় ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা।
তারপর তিনি ২০০৪ সালের আবার ‘শ্যামল ছায়া’ নামে মুক্তিযুদ্ধের আরেকটি চলচ্চিত্র বানান। চলচ্চিত্রে তখন দুর্যোগ চলছিল, গ্রাস করেছিল অশ্লীলতা। তখনই তিনি হাল ধরলেন এ শিল্পের। সেই সঙ্গে দর্শকদের আবারও সিনেমা হলমুখী করতে পেরেছিলেন তিনি। আরো পুরোপুরি সৃজনশীলতায় তাঁকে সঁপে দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার লোভনীয় চাকরি থেকে তিনি স্বেচ্ছায় ইস্তফা দেন। তিনি তাঁর সাহিত্যপাঠ, নাটক-সিনেমা দেখার জন্য একটি দর্শক ও পাঠকবলয় তৈরি করতে পেরেছিলেন, আর তার বেশির ভাই ছিল দেশের তরুণসমাজ।
ছাত্রজীবন থেকেই অন্যরকম মেধাবী হুমায়ূন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। মাত্র ছয় মাস শিক্ষকতার পর সেখান থেকে ঢাকা কলেজে এবং অবশ্য তিনি তাঁর নিজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে শিক্ষকতায় ফিরে আসেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখালেখি এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডেকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পলিমার কেমিস্ট্রিতে উচ্চতর পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফেরেন। রত্নগর্ভা মা আয়েশা ফয়েজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষাবিদ ভাই জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আরেক ভাই কবি আহসান হাবীব, স্ত্রী লেখিকা গুলতেকিন খান ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন সবাই নিজ গুণে এবং পরিচয়ে গোটা দেশবাসীর কাছেই সুপরিচিত।
বর্ষাকে ভালোবাসা, বৃষ্টিকে ভালোবাসা, জোছনাকে ভালোবাসা ইত্যাদি তাঁর চারিত্রিক পছন্দের বিষয় ছিল। সেগুলোকে কেন্দ্র করে তিনি তাঁর চলচ্চিত্রের জন্য কিছু গান রচনা করে সেগুলোতে আবার নিজেই সুরারোপ করেছেন, যা খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো- ‘যদি মন কাঁদে, তুমি চলে এসো এক বরষায়…’, ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে, যা যা তুই উড়াল দিয়ে যা…’, ‘এক যে ছিল সোনার কন্যা…’, ‘আমার ভাঙা ঘরের ভাঙা বেড়া…’, ‘ও কারিগর দয়ার সাগর ওহে দয়াময়, চাঁদনি পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয়…’ ইত্যাদি।
গল্প, উপন্যাস, নাটক, সিনেমার জন্য নিজেই গান রচনা করে আবার সঙ্গে সঙ্গে সবার সঙ্গে বসে শুনে শুনে মজা পেতেন তিনি। তাঁর রচিত ২০০টি বইয়ের মধ্যে প্রতিটি বই সে সময়ে ‘বেস্ট সেলার’ ছিল। বই মেলায় লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে তরুণরা তাঁর বই কিনেছে। বলা হয়, তিনি বই বিক্রি করে রীতিমতো জমিদার বনে গিয়েছিলেন। সে জন্য যেখানে মন যা চেয়েছে, মনের খোরাকের জন্য তা-ই তিনি করতে পেরেছেন।
তিনি সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সমুদ্রবিলাস নামে একটি অবকাশকেন্দ্র তৈরি করেছেন, যা পর্যটকদের জন্য একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে এখন। ঠিক তেমনি ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলার পিরুজালিতে প্রায় ৪০ বিঘা অর্থাৎ ১৪ একর জায়গা নিয়ে তৈরি করেছেন ‘নূহাশপল্লী’ নামের এক বিরাট দৃষ্টিনন্দন খামারবাড়ি। সেখানে সম্পূর্ণ দেশি-বিদেশি বিরল প্রজাতির গাছ-গাছালি দিয়ে প্রাকৃতিক একটি পরিবেশ তিনি সৃষ্টি করেছেন মনের মাধুরী মিশিয়ে। এ নূহাশপল্লীই এখন দেশের অন্যতম নামি-দামি শুটিং স্পট কিংবা পিকনিক স্পটগুলোর মধ্যে অন্যতম। লিখে সৎ উপার্জনের মাধ্যমে আর্থিকভাবে উন্নতি লাভ করার তিনিই শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। অনেকে ঠাট্টা করে বলে থাকেন, রবীন্দ্রনাথ জমিদার হিসেবে লিখেছেন, আর হুমায়ূন আহমেদ লিখতে লিখতে জমিদার হয়েছেন।
সমুদ্রবিলাস, বৃষ্টিবিলাস, গাজীপুরের অদূরে নূহাশপল্লী জমিদারি আমেজের আয়োজনের অংশ বলে মনে করেন তাঁর কাছের অনেক রসিক সাহিত্যিক সহৃদরা। তিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে কালজয়ী হিমু ও মিসির আলীর মতো চরিত্র সৃষ্টি করেছেন। এখনো রাস্তায় রাস্তায় রাত-বিরাতে হলুদ পাঞ্জাবি পরে তরুণ প্রজন্মের অনেককে হিমু সেজে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এতেই বোঝা যায় তিনি কীভাবে তরুণদের মনের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলেন। বিজ্ঞানের নিরস রাসায়নিক সমীকরণে প্রশিক্ষিত এ অনন্যসাধারণ কথাসাহিত্যক কীভাবে একজন সরস, সফল লেখক হয়ে উঠলেন তার উদাহরণ বিরল। তিনি তারুণ্যকে বই পড়াতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, তাঁদের করেছিলেন সিনেমা হলমুখী। তাঁদের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধব্যক্তিত্ব ছিলেন।
আমি নিজেও হুমায়ূন আহমেদের যে কোনো বইয়ের ভক্ত ছিলাম সেই বয়সে। মনে আছে, নিজে কিনে এবং বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে চুরি করেও তাঁর বই পড়েছি। বাংলাদেশে সব শ্রেণি-পেশা ও বয়সের মানুষই তাঁর লেখার ভক্ত, তবে মূলত এর মধ্যে ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী কিশোর-যুবক তারুণ্যই সবচেয়ে বেশি। একটি কথা এখানে আমি আমার ধারণা থেকে বলছি, বর্তমান ভার্চুয়াল যুগে এই তরুণদের আসক্তির আগে আশি ও নব্বইয়ের দশকে যে তারুণ্য হুমায়ূন আহমেদের জাদুকরি লেখাগুলো পড়ার ভেতরে একধরনের সম্মোহনের মধ্যে ডুবে ছিল। আর তাই তাদের ভেতর তখন জঙ্গিবাদ কিংবা মাদকাসক্তি এতটা বিস্তার লাভ করতে পারেনি।
ডিজিটাল ব্যবস্থার অনেক সুফল রয়েছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কথাটি হচ্ছে কে কীভাবে একে ব্যবহার করছে তার ওপর নির্ভর করছে এর সুবিধা-অসুবিধা। কিন্তু বর্তমানে হুমায়ুন আহমেদের মতো কোনো সম্মোহনী লেখা আর তরুণদের ওভাবে টানতে পারছে না। সে জন্যই হয়তো তরুণদের মধ্যে একটি বিশেষ অংশ মগজ ধোলাইয়ের মাধ্যমে ধর্মীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। নির্দয় ও নির্মমভাবে যেখানে সেখানে মানুষ মারছে। এখানেই কেন জানি মনে হয় আজ এসব নির্মূলে হুমায়ূন আহমেদ কিংবা তাঁরই মতো অন্য কারো সেই জায়গাটি দখলে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তিনি এবং তাঁর লেখার আকর্ষণ যুবসমাজের মধ্যে মন্ত্রমুগ্ধের মতো কাজ করেছে।
কিন্তু তিনি বিগত ১৯ জুলাই ২০১২-তে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার পর ২৪ জুলাই তাঁর সবচেয়ে প্রিয় জায়গা নূহাশপল্লীর লিচুতলায় তাঁকে সমাহিত করা হয়। তিনি বর্ষা পছন্দ করেন, তাই হয়েতো এই ভরা বর্ষাকালেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাই তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভক্ত ও অনুরাগীরা বৃষ্টি-বর্ষা-বাদল মাথায় নিয়েই ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত এবারের (২০১৬) চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে। তাঁর এ মৃত্যুবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া বিস্তারিত ও বিশেষ বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তবে এবার তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে একটি বিষয়ে সবাইকে সচেতন করা যেতে পারে। আর তা হলো, তাঁর লেখনীগুলো এবং কর্মজীবন সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের যুবসমাজের তারুণ্যের কাছে আরো বেশি করে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে হবে। তাহলেই তারুণ্য আবারো জেগে উঠতে পারে।
লেখক : ডেপুটি রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আহা চিকুনগুনিয়া !
ঈদের দিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে মেঝেতে পা দিয়ে আমিবিস্তারিত পড়ুন

‘দৃষ্টিশক্তি থাকা, কিন্তু জীবনে লক্ষ্য না থাকা অন্ধত্বের চেয়েও খারাপ’
চক্ষু, কর্ন, জিহবা, নাসিকা, ত্বক – মানুষের এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়েরবিস্তারিত পড়ুন

ধর্ষিতা মেয়েটির গল্প
পারিনি সেদিন নিজেকে শোষকদের হাত থেকে রক্ষা করতে, পারিনি সেদিনবিস্তারিত পড়ুন