ঐতিহাসিক টেস্টে শেষ পর্যন্ত হারের বিষাদেই শেষ করলো বাংলাদেশ
ভারতের হায়দরাবাদে একমাত্র ঐতিহাসিক টেস্টে শেষ পর্যন্ত সেই হারের বিষাদেই শেষ করলো বাংলাদেশ। ভারত ও সফরকারী বাংলাদেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক একমাত্র টেস্ট ম্যাচে প্রত্যাশিতভাবেই জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক ভারত। ভারতের কাছে রানে হেরে ঐতিহাসিক টেস্ট শেষ করলো বাংলাদেশ।
হারানোর আছে সামান্যই। তবে পাওয়ার আছে অনেক। সেজন্য সামনে কঠিন এক চ্যালেঞ্জ। হায়দ্রাবাদে ড্র করতে হলেও বাংলাদেশকে গড়তে হবে ইতিহাস। ৭ উইকেট নিয়ে পাড়ি দিতে হবে দুর্গম পথ। এমন রেকর্ডের সামনে দাড়িয়ে হায়দরাবাদ টেস্টে পরাজয় এড়াতে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পঞ্চম দিনে পুরো ৯০ ওভার ব্যাট করতে হতো বাংলাদেশকে। হাতে ছিল আর ৭ উইকেট। তবে কিছুই হল না। ৪৫৯ রানের টার্গেট ছিল পাহাড়সম। তবে সেই পাহাড়সম রান তারা করতে গিয়ে ২৫০ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ফলে ২০৮ রানে জয় তুলে সিরিজ নিশ্চিত করে স্বাগতিক ভারত।
টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে বাংলাদেশের হাতে ছিল ৭ উইকেট ও ৯০ ওভার। এই সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাকিব আল হাসান সাজঘরে ফেরায় ভালোই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। রবিন্দ্র জাদেজার বলে চেতেশ্বর পুজারার হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ২২ রানে আউট হন সাকিব। পরে মুশফিক- মাহামুদুল্লাহর জুটিতে ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৩ রানের মাথায় মুফিকের একটি উচ্চবিলাশী শটে সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়। অশ্বীনের বলে জাদেজার সহজ ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফিরে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক।
এরপর সাব্বির রহমানও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। ইশান্ত শর্মার বলে এলবিডব্লিউর শিকার হওয়ার আগে ২২ রান সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর আশা দেখিয়েছিলেন দীর্ঘ ১৯ মাস পর টেস্ট ফর্মে ফেরা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে ইনিংসটাও বেশি বড় করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৬৪ রান করে ফেরার পর জয় কিংবা ড্রর আশা শেষ হয়ে যায়।
সর্বশেষ ২০১৫ সালে রিয়াদ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬৭ রান করেছিলেন তিনি। এরপর নয় ইনিংসে তিনি ১০ থেকে ৪০ রানের মধ্যে আউট হয়েছেন।
এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ২৩ রান করে জাদেজার বলে আউট হলে পরাজয়টা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তাইজুলকে জাদেজা এবং তাসকিনের উইকেটটি তুলে নেন অশ্বিন। তবে ৭০ বল খেলে ৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন কামরুল ইসলাম রাব্বী।
ভারতের হয়ে জাদেজা ও অশ্বিন উভয়েই ৪টি করে এবং ইশান্ত শর্মা ২টি উইকেট লাভ করেন।
প্রথম ইনিংসে ২৯৯ রানে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৫৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। এতে বাংলাদেশের সামনে ৪৫৯ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্য দাঁড়ায়।
একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতের ৬৮৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৩৮৮ রানে গুটিয়ে যায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন