ওবামার চার রাজ্য নিজের করে বাজিমাত ট্রাম্পের
২০১২ সালের নির্বাচনে পেনসিলভেনিয়া, আইওয়া, ফ্লোরিডা এবং ওহিও অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনি হেরে গিয়েছিলেন ডেমোক্রেট প্রার্থী বারাক ওবামার কাছে। কিন্তু ২০১৬ সালে এসে এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ফলাফলেই দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ওবামার জেতা চারটি রাজ্যই এবার ছিনিয়ে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এবারের নির্বাচনে প্রচার চলাকালেই এই চারটি রাজ্যকে ব্যাটেলগ্রাউন্ড বলে পরিচিতি পেয়েছিল। বলা হচ্ছিল, প্রেসিডেন্ট হতে হলে এগুলোর সবগুলোতেই জিততে হবে ট্রাম্পকে। সঙ্গে আরও অন্য শর্ত পূরণ করতে হবে। বাজিমাত করা ট্রাম্প যা দেখিয়েছেন, তা কল্পনাতেও আসেনি বহু মানুষের। অথচ এই চারটি রাজ্যের ফলাফল উল্টো হলেই অনুমেয় সহজ জয়টি পেতে পারতেন হিলারি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ওহিও শুরু থেকেই ফলাফল নির্ধারনী স্টেট বলেই পরিচিত। সাধারণত এই রাজ্যে যে প্রার্থী জিতে তিনিই শেষ পর্যন্ত হোয়াইট হাউজে যান। ওহিও স্টেটে ১৮টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। এই অঙ্গরাজ্যে পাবলিক ভোটের ৫২ শতাংশ পেয়ে ৪৩ শতাংশ সমর্থন পাওয়া হিলারির চেয়ে সুস্পষ্ট ব্যবধানে জিতে গেছেন ট্রাম্প।
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেট ফ্লোরিডা। এখানে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ২৯টি। এই রাজ্যে ট্রাম্পের চেয়ে এক লাখ ৩২ হাজার ৩৩৯ ভোট কম পেয়েছেন হিলারি। শতকরা হিসেবে এটা এক শতাংশের কিছু বেশি। অথচ ২০১২ সালের নির্বাচনে ফ্লোরিডায় খুব সহজেই মিট রমনিকে হারিয়ে আধিপত্য পেয়েছিলেন হিলারির দল বারাক ওবামা।
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য আইওয়া। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি এই অঙ্গরাজ্য থেকেই ককাসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এখানে রয়েছে ছয়টি ইলেকটোরাল ভোট। ৫২ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পের পক্ষে এবং ৪২ শতাংশ ভোটার হিলারির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ২০১২ সালে এই রাজ্যেও রিপাবলিকানদের ভরাডুবি হয়েছিল।
পেনসিলভেনিয়াতে ইলেকট্রোরাল ভোট আছে ২০টি। এখানেও ট্রাম্প আর হিলারির পাবলিক ভোটের সংখ্যা বেশ কাছাকাছি। ট্রাম্প যেখানে ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, সেখানে হিলারির বাক্সে পড়েছে ৪৮টি। কিন্তু একটি ভোট বেশি পেলেই যেখানে ইলেকটোরাল ভোটের সব যায় বিজয়ীর বাক্সে, সেখানে পাবলিক ভোটের হিসাব এখন কষবে কে?
গুরুত্বপূর্ণ এই চার রাজ্যের মোট ৭৩টি ইলেকটোরাল ভোটই উল্টে দিতে পারতো ভোটের পাশা। এর মধ্যে যদি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়া ফ্লোরিডা এবং পেনসিলভানিয়ায় হিলারি এক ভোটেও জিতে যেতেন, তাহলে হোয়াইট হাউজে যাওয়া প্রথম নারী হয়ে ইতিহাস রচনা করতে পারতেন বিল ক্লিনটনের সহধর্মিনী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন