ওবায়দুল কাদেরের সংশয় অত্যন্ত দুঃখজনক : রিজভী
স্বয়ং রাষ্ট্রপতি যেখানে ইসি গঠনে বিএনপির প্রস্তাবকে গঠনমূলক ও সাধুবাদ জানিয়েছেন সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘সংশয়’ থাকাটা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া প্রস্তাবে কোথাও কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। সার্চ কমিটি কিংবা নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসাবে দল সমির্থত কাউকে করার ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়নি। বরং বিএনপির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন হতে হবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ। প্রয়োজনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে আরো যাতে নিরপেক্ষ করা যায় সে ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। এতে নীতি নৈতিকতার ব্যত্যয় কোথায় ঘটলো তা বোধগম্য নয়।
তিনি বলেন, সংবিধানে নির্দেশনা আছে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে আইন তৈরি করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও সরকারের যদি সৎ ইচ্ছা থাকে যে আমরা একদলীয় শাসন কায়েম করবো না, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর অন্তর্গত তাগিদ থাকে, তাহলে অবশ্যই একটি শক্তিশালী সার্চ কমিটি এবং নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। এখানে সংশয়ের কথা বললে দিনকে দিন আওয়ামী লীগ মানুষের কাছে কলঙ্কিত হবে।
‘রাজনৈতিকভাবে বেঁচে থাকতে বিএনপি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে গিয়েছে’ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের দেওয়া এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই নীতি ও আর্দশের ওপর পরিচালিত হয় না। তারা মুক্তিযুদ্ধ নয়, চেতনাকে বড় করে দেখে। তারা চেতনার ব্যবসা করে। আর সেই চেতনাকে বিশ্বাস করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করেছে।এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও স্বাধীনতার ঘোষককে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে রিজভী বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আর মাত্র দুই দিন বাকী। নির্বাচন ঘিরে শেষ মুহূর্তে যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। নাসিক নির্বাচনকে ভয়ভীতিমুক্ত, সুষ্ঠু ও অবাধ করতে সকল দাবি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক উপেক্ষিত হওয়ার কারণেই সন্ত্রাসীদের ক্রমাগত দৌরাত্ম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই এই সরকারের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নির্বাচন পুরনো চেহারায় ফিরে যায় কী না, সেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন