ওবায়দুল কাদের: কালো টাকা বন্ধ করা ইসির বড় চ্যালেঞ্জ
আগামী নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করা নির্বাচন কমিশনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে মাস্টরদা সূর্য সেন হলের সুবর্ণ জয়ন্তীর উদ্বোধনকালে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের নেতৃত্বে থাকলে কোনো প্রভাবিত হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি গত ৩৬ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে দেখছি। জীবন সংগ্রাম তার অত্যন্ত কঠিন, ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য তার কণ্ঠস্বর অত্যন্ত কঠোর। ভেতরে তিনি উদার আকাশের মতো। নির্বাচনে হেরে গেলেও তিনি জনমতকে প্রভাবিত করবেন না। জনগণ যদি না চায় জোর করে ক্ষমতায় থাকার মন মানসিকতা নেই। তিনি নেতৃত্বে থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করা। নির্বাচনে কমিশনের বেধে দেয়া টাকার চেয়ে বেশি খরচ করা কিভাবে বন্ধ করবে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ছাত্র নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকাল ছাত্রনেতাদের হলের থাকার প্রবণতা কমে আসছে। আমরা যখন রাজনীতি করতাম তখন দিনে মধুতে বসে সন্ধ্যায় বিভিন্ন হলের ক্যান্টিনে যেতাম। পাশাপাশি আমরা যখন মফস্বলে প্রোগ্রামে যেতাম তখন বাস আর ট্রেনে করে যেতাম। সেই দিনগুলো হারিয়ে গেছে। কিন্তু আজকালের ছাত্রনেতারা বিমানে করে যাওয়ার জন্য টিকেট নিতে অনুরোধ করে। যেটা আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি। আমাদের আবার সেইসব অস্তিত্ব ও মূল্যবোধের কাছে ফিরিয়ে যেতে হবে।
রাজনীতিতে শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনীতিতে এখন সৌজন্যবোধ, শ্রদ্ধাবোধ নেই। এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে সামাজিক অনুষ্ঠান, জানাজায় অংশ নিতেও চিন্তা করতে হয় আমার রাজনীতির ক্ষতি হবে কি না। এটা তো রাজনীতি না। বঙ্গবন্ধু যখন চট্টগ্রামের লালদিঘীতে জনসভায় যেতেন তখন ফজলুল কাদের চৌধুরীর বাসায় চা খেতেন, তাতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব কি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে?
শিক্ষকদের আত্মসম্মানবোধ ছাত্রনেতাদের কাছে বিকিয়ে না দিতে তিনি বলেন, আজকে শিক্ষক রাজনীতিতে ছাত্ররাজনীতি এবং ছাত্ররাজনীতে শিক্ষক রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আমি বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেছি শিক্ষকরা ছাত্রনেতাদের তোষামোদ করছেন, খুশি করার জন্য অস্থির হয়ে আছেন। ছাত্রনেতারা শিক্ষেকদের রুমে এসে হুমকি দিচ্ছেন। শিক্ষকরাও এটি মেনে নিচ্ছেন। এই ছাত্রনেতাদের কাছে নিজের আত্মসম্মানবোধ বিকিয়ে দিবেন না। শিক্ষকদের একটা আত্মমর্যাদা আছে। আপনারা নিজের আত্মসম্মানবোধের দিকে একটু নজর দিবেন। এটি না থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ভরিতে এবার ১,৯৯৪ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনবিস্তারিত পড়ুন
সংস্কার হলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কত কমানো সম্ভব জানালো সিপিডি
মূল্য নির্ধারণ কাঠামোর সংস্কার হলে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১১বিস্তারিত পড়ুন
রাজশাহীতে সমন্বয়ককে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ
রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় এক সমন্বয়ককে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগবিস্তারিত পড়ুন