ওবায়দুল কাদের: দেশ বিক্রির প্রমাণ না দিলে খালেদাকে ক্ষমা চাইতে হবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সে দেশের সঙ্গে যে সব চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে তার মধ্য দিয়ে কীভাবে দেশ বিক্রি হয়েছে খালেদা জিয়ার কাছে তার জবাব চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দেশ বিক্রির প্রমাণ দিতে না পারলে খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে চাওয়ারও দাবি জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি ও সমঝোতা হয়েছে সেটা কোনো গোপন বিষয় নয়। এগুলো লাইন বাই লাইন পড়ে দেখুন কোথায় দেশ বিক্রি হয়েছে। কোথায় বাংলাদেশের সর্বভৌমত্ব নষ্ট হয়েছে। জাতির কাছে এর জবাব দিতে হবে। যদি অভিযোগের প্রমাণ দিতে না পারেন তাহলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
রোববার (০৯ এপ্রিল) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, পাকিস্তানের কাছে যাদের বিবেক বিক্রি, ইসলামাবাদের কাছে যাদের অন্তর বিক্রি তারা এসব কথা বলবে। পার্বত্য শান্তি চুক্তি নিয়ে তারা বলেছিলো ফেনী থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। তারা ক্ষমতায় থেকে ভারতের কাছ থেকে কিছুই আদায় করতে পারেনি। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে দাবি আদায় করবো। জাতীয় স্বার্থে, দেশের জনগণের স্বার্থে আমরা যে কোনো চুক্তি করবো। কে কী বললো তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। বিদেশি কোনো শক্তির মাধ্যমে আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমাদের ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সে দেশের সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারত সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে সম্মান দিয়েছেন সে জন্য আমি অভিনন্দন জানাই। এই সম্মান শুধু শেখ হাসিনার নয়, এই সম্মান দেখানো হয়েছে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে। আমরা আশা করবো বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতির কথা ভেবে নরেন্দ্র মোদি অবিলম্বে তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানি বণ্টন চুক্তির উদ্যোগ নেবেন। আমাদের দেশের জনগণের অনুভূতি বন্ধু দেশ ভারতের সরকার মূল্য দেবে। এগুলো সমাধানের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়া চীনের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করেছিলেন। তার মানে এই নয় চীনের কাছে বাংলাদেশ বিক্রি হয়ে গিয়েছিলো। শেখ হাসিনা অন্ধকারে কোনো চুক্তি করেননি, তিনি কোনো গোপন চুক্তি করেননি। বিএনপি এখন নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের কথা বলে আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছে। সহায়ক সরকারের কোনো দাবি মেনে নেওয়া হবে না। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান শেখ হাসিনাই হবেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ, গোলাম সরোয়ার মামুন, দেবাশীষ বিশ্বাস, মোবাশ্বের চৌধুরী প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন