‘ওরা আমাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়েছিল’
ওরা আমাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়েছিল। পরে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে। সিলেটের আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এ কথা জানিয়েছেন নববধূ শাপলা দেবনাথ। তিনি আদালতকে জানান, ‘মেডিকেল এলাকায় যাওয়ার পর অপহরণকারীরা লেনদেন নিয়ে দেন-দরবার শুরু করে। এ সময় আমি গাড়িতে বসে কাঁদছিলাম। স্থানীয় লোকজনের নজরে বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে তারা পুলিশকে অবগত করেন।’ রোববার সন্ধ্যায় সিলেটের মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালতে উদ্ধার হওয়া শাপলার জবানবন্দি গ্রহণের পর তাকে নিজ জিম্মায় মুক্তি দেয়া হয়। এরপর শাপলা দেবনাথ স্বামী নিখিলেস দেবনাথের সঙ্গে দিরাইয়ে শ্বশুর বাড়ি চলে যান। এখন স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করছেন শাপলা।
কোম্পানীগঞ্জের জীবনপুর গ্রামের মাস্টার শিলন চন্দ্র নাথ জানিয়েছেন, শাপলা এখন স্বামীর বাড়িতেই আছে। হিন্দু বিয়ের রীতি অনুযায়ী গতকাল চার দিনের অনুষ্ঠান হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন শাপলার পিতা কোকিল দেবনাথ সহ আত্মীয়স্বজন। অপহরণের পর দুই পরিবারের মধ্যে এ নিয়ে কোনো বিরোধ হয়নি বলে জানান তিনি। শনিবার রাত ৮টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের জীবনপুর গ্রামের কোকিল দেবনাথের মেয়ে শাপলা দেবনাথকে বিয়ে করে নিজ বাড়ি দিরাইয়ে ফিরছিলেন নিখিলেস দেবনাথ। পথিমধ্যে টুকেরবাজারের তেমুখী এলাকায় পৌঁছামাত্র জকিগঞ্জের বড়গ্রামের সুশান্ত দেবনাথ তার সঙ্গীদের নিয়ে শাপলাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। শাপলা জানিয়েছেন, তাকে বরের গাড়ি থেকে তুলে নেয়ার পর ওরা দক্ষিণ সুরমা হয়ে ফের নগরীতে প্রবেশ করে। এ সময় তিনি গাড়িতে বসেই অঝোরে কাঁদছিলেন। তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য বার বার অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু ওই সময় তাকে গালিগালাজ করা হয়। এক পর্যায়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় এসে তারা গাড়ি থামায়। ওই সময় সুশান্তের কাছে টাকা দাবি করেন তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দেন-দরবার শুরু হয়। স্থানীয় লোকজনের নজরে বিষয়টি আসে। কেউ কেউ গাড়ির পাশে এসে বিষয়টি বুঝার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, সুশান্তের বাড়ি জকিগঞ্জে। ওই এলাকায় শাপলার এক তালতো ভাইয়ের বাড়ি। আত্মীয়ের সূত্র ধরে শাপলার সঙ্গে সুশান্তের পরিচয়। প্রায় দুই বছর আগে সুশান্ত কোম্পানীগঞ্জের জীবনপুরে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে শাপলার সঙ্গে সুশান্তের পরিচয় হয়। সুশান্তকে চিনেন শাপলার পরিবারের সদস্যরা। সুশান্ত পেশায় গাড়িচালক। সে নগরীর চৌহাট্টা স্ট্যান্ডে গাড়ি চালাতো। ঘটনার দিন সুশান্ত তার বন্ধু রবিউলের সঙ্গে ১৫ হাজার টাকায় চুক্তি করেছিল। অপহরণের সময় তারা সহযোগিতা করবে- এমন চুক্তিতে সুশান্তের সঙ্গে তারা যায় তেমুখী এলাকায়। শাপলাকে তুলে আনার পর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় তারা গাড়ি থামায়। এবং সুশান্তের সঙ্গে টাকার লেনদেন নিয়ে দেন-দরবার শুরু করে। আর এই দেন-দরবারের সময় শাপলার গলায়, কানে থাকা স্বর্ণালংকার খুলে নেয়া হয়। শাপলা এ সময় বাধা দিলে তাকে মারধর করা হয়। জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, আদালত থেকে শাপলা তার পিতার সঙ্গে চলে গেছে। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন