“ও জোর করে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলো, এখন আমার ননদকে…”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানিয়েছেন নিজের সমস্যার কথা।
“আমি মা বাবার একমাত্র মেয়ে। বলতে পারেন খুব আদরের। মা বাবা দুজনই চাকুরীজীবী। মায়ের চাকুরির সুবাদের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরা হয়। তেমনি যখন হাই স্কুলে উঠি তখন মায়ের সাথে পটুয়াখালী চলে যাই। ওখানে গার্লস স্কুলে ভর্তি হই। আমি একটা লোককে মামা বলতাম যিনি আম্মুর সাথেই জব করে পুলিশে। উনার ছোট ভাইয়ের কাছে পড়াতাম আমি। খুব ভালোবাসতো তারা আমাকে। যার কাছে পড়তাম তার কাছে একটা ছেলেও পড়তো। আমরা একসাথে পড়তাম। আমি তখন ক্লাস ৬ এ আর সে ক্লাস ৯ এ। ছেলেটা আমাদের বাসায় এসেই পড়তো। আমি ওকে ভাইয়ের মতই দেখতাম। ওর বাবাও পুলিশে জব করত। আমি জানতাম না যে ও আমাকে মনে মনে পছন্দ করত।
আমি যখন ক্লাস ৭ এ পড়ি তখন ও আমাকে প্রপোজ করে। স্বাভাবিকভাবে আমি এসব তখন বুঝতাম না। খুব হেসে খেলেই বিষয়টা নিয়েছিলাম। ও আমাকে প্রতিদিন একটি করে চিঠি লিখতো, আমি পড়তাম। আমাকে বলতো লিখত, আমিও লিখতাম। কিন্তু কেমন আছো, কী কর, কী খাও এসবই লিখতাম। কারণ আমার মধ্যে ভালোলাগা বিষয়টা আসতো না। এভাবে অনেকদিন গেলো। যখন ক্লাস ৮ এ উঠলাম তখন আমিও একটু একটু করে ওকে পছন্দ করতে লাগলাম। ভালো লাগতে লাগলো ওকে। ওদের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো ছিলোনা। তাই জানতাম আমার পরিবার থেকে ওকে কোনদিন মেনে নিবেনা। তবুও ভালোবাসতে শুরু করলাম মন দিয়ে, সে-ই ছিলো আমার পুরো পৃথিবী। ও আমাকে যে চিঠিগুলো দিতো সেগুলোকে পড়ে পুড়িয়ে ফেলতে বলত। আমিও পুড়িয়ে ফেলতাম আর ভাবতাম আমার দেয়া চিঠিগুলো ও পুড়িয়ে ফেলছে। কিন্তু না, ও রেখে দিত।
একদিন বাসায় জেনে গেল। আমাকে খুব মারলো, দুই দিন খেতে দিলোনা, স্কুলও বন্ধ করে দিলো। তবুও আমি ওর কথা মুখে আনিনি। ওর কথা বললে যদি ওকে কিছু বলে তাই। কিন্তু ওকে চাপ দেয়ার সাথে সাথে ও আমার লেখা চিঠিগুলো সবাইকে বের করে দিলো। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেল। আবার এক বছর পর আমার এক বান্ধবীর মাধ্যমে ওর সাথে আবার যোগাযোগ হয়। ও তখন কলেজে পড়ে আর আমি ক্লাস ১০ এ। ওর সাথে আবারো সম্পর্ক হল। ও ইন্টার শেষ করে ঢাকাতে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছিলো। এর মধ্যে একদিন আমাকে বলল, “আমি পটুয়াখালী আসবো তোমার সাথে দেখা করতে”। আমিতো খুব খুশি। আমার স্কুলে তখন বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছিলো। আমি গেলাম ওর সাথে দেখা করতে আমার এক ফ্রেন্ডকে নিয়ে। কিন্তু বুঝিনি যে ফ্রেন্ডকে নিয়ে যাওয়া আমার জীবনে অভিশাপ হবে। ও আমার সাথে কথা বলল। আমার ফ্রেন্ডকে পরিচয় করিয়ে দিলাম। আমার ফ্রেন্ড যে ওকে পছন্দ করতো আমি এটা জানতাম না। আমার ফ্রেন্ড ওর কাছ থেকে ওর ফোন নম্বর নিলো কিন্তু আমি কিছু মনে করিনি তখন। আমরা চলে এলাম। মেয়েটা ওকে প্রায় ফোন দিত। আমি তখনও কিছু মনে করিনি। করবোই বা কেন? ফ্রেন্ড কি কখনও ফ্রেন্ডের প্রেমিককে কেড়ে নিতে পারে? কিন্তু হয়ত তাই হয়েছিলো। বান্ধবী আমার বিভিন্ন দোষ ওকে বলত। আমার নামে অনেক খারাপ কথা ওকে বলত। আমি বুঝতাম। কিন্তু ওকে আমি আমার নিজের জীবন থেকেও বেশি ভালোবাসতাম। জীবনের প্রথম ভালোবাসা বলে কোন মুল্যে, কখনও আমি ওকে হারাতে চাইতাম না। এটা ও বুঝে গিয়েছিলো। হয়ত তখন আমার বান্ধবীর সাথে ওর কোন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো। আমার প্রেমিক আমাকে খুব সন্দেহও করত, আমাকে কখনই পড়ালেখার জন্য উৎসাহ দিতনা। বরং, পড়ার সময় ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করত। তাও মেনে নিয়েছিলাম আমি।
আমার এসএসসি’র টেস্ট শুরু হল। এর মধ্যে ও একদিন ঢাকা থেকে পটুয়াখালী আসলো। এসে আমাকে বলল ও আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। আমি ওকে মানা করলাম, বললাম বিয়ের পর হবে, আমি তো আছি, চলে তো যাবোনা। কিন্তু সে আমাকে বলল, এটা না হলে সে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। ওকে ছাড়া বাঁচবো কী করে এটা ভাবতে লাগলাম। কী করবো বুঝতে পারলাম না। তারপর বলেই ফেললাম যে আমার দ্বারা সম্ভব নয়। আম্মু জানলে খুব কষ্ট পাবে। ও বাসা থেকে বের হয়ে গেল। যাওয়ার সময় বলল, আমাকে একটু এগিয়ে দিয়ে আসো। আমি গেলাম ওর সাথে। গলির মধ্য দিয়ে যখন যাচ্ছি ঠিক গলির মাঝে একটা কন্সট্রাকশনের কাজ চলছিলো। ও আমাকে জোর করে ওখানে নিয়ে জোর করে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলো। আমি খুব কেঁদেছিলাম। ও চলে গেল, আমি কাঁদতে কাঁদতে বাসায় এলাম। বাসায় এসেও কাদলাম। জ্বর চলে এলো। পরের দিন আমি ওকে ফোন করলাম আমার সাথে দেখা করার জন্য। কিন্তু ও বলল ও বরিশাল চলে গেছে, কিন্তু ওর এক বন্ধু বলল ও নাকি যায়নি। আমার ওই বান্ধবীর সাথে দেখা করতে গিয়েছে। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। অসুস্থ শরীর নিয়ে দেখতে গেলাম সত্য কিনা। গিয়ে দেখলাম সত্যি। ফিরে এলাম বাসায়।
ও আমার কাছে অনেক মিথ্যা বলতো। এমন কি ও ঢাকায় কোথায় পড়তো আমি তাও জানতাম না। জানার দরকারও ছিলোনা কারণ আমি তাকে ভালোবাসি। ও যেমনই হোক, ভালোবাসি। ওই দিনের পর থেকে ও যখনি ঢাকা থেকে আসতো আমাদের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক হত। আমি মেনে নিয়েছিলাম। কারণ আমি ওকে হারাতে পারবোনা। আমার এসএসসি পরীক্ষা শেষ হল। আমার আম্মু পটুয়াখালী থেকে খুলনা চলে এলেন। আমি খুলনাতে এইচএসসি ভর্তি হলাম। ও খুলনা আসতো কিন্তু আসার টাকা আমাকে দিতে হত। ও বাইরে আমার সাথে দেখা করতে চাইতো না। আমার আম্মু অফিসে থাকলে ও বাসায় আসতে চাইতো, কিন্তু আমি চাইতাম না। আমার এই শারীরিক সম্পর্ক ব্যাপারটা আর ভালো লাগতো না। কিন্তু ভাবলাম আমার জীবনে আর কি-ই বা আছে। মেনেই নেই, কারণ ও ছাড়া কেউ তো আমাকে বিয়েও করবেনা। এভাবে চলতে থাকে মাসের পর মাস। আসতো, থাকতো আর বলতো পিল খাবা, সমস্যা হবেনা। ইমার্জেন্সি পিল খেতাম, যা শরীরের জন্য খুব খারাপ। এমনকি ঔষধটাও আমাকেই কিনতে হত। ও কিনে দিতো না।
এভাবে পৌনে দুই বছর কেটে গেল। আর ফোনে বিজি থাকলে অনেক বিশ্রী ভাষায় গালি দিত। তবুও ওকে ছাড়িনি কারণ ভালবাসতাম। কিন্তু ওতো আমাকে একটুও ভালোবাসেনি। একটা সময় এমন ভাবে ঔষধ খেতে খেতে আমার পিরিয়ডে সমস্যা শুরু করলো। তাও সে থামতো না। এগুলো নাকি ওর ভালো লাগতো। মেনে নিলাম। একটা সময় জানলাম ওর সাথে আমার পটুয়াখালীর সেই বান্ধবীর সম্পর্ক চলছে। বুঝলাম অনেক বড় ধোঁকা দিয়েছে আমাকে। ওকে ডাকলাম, জিজ্ঞেস করলাম, ও অস্বীকার করলো। আমি বললাম তোমার সাথে সম্পর্ক রাখবোনা। ও তখন বলল, ঠিক আছে, আমি চলে গেলে যদি তুমি ভালো থাকো তবে আমি চলে যাবো, কিন্তু শেষ বারের জন্য সেক্স করতে চাই। এটা শুনে খুব ঘৃণা হল নিজের উপর যে এমন একটা মানুষকে আমি ভালোবাসি। আমি কোন কথা না বলে চলে আসলাম। দুইদিন পর ও আমাকে কল দিয়ে বলল, ও আমাকে বিয়ে করতে পারতো না কারণ আমি যাদের কাছের মানুষ বলি তারা নাকি আমার আসল মা বাবা না। এটা নাকি অনেকেই জানে। শুনে অবাক হলাম, শুধু এতোটুকুর জন্য ঠকানোর কী দরকার ছিলো। আমার জীবনটা নষ্ট করার কী দরকার ছিলো। খুব কষ্ট হচ্ছিলো।
ও আমাকে বলল এভাবেই ওর সাথে সম্পর্ক রাখতে, আমি রাজী হলাম না। তখন ও আমাকে বলল যে আমাকে ও ভালো থাকতে দিবেনা। আমি যেখানেই যাই না কেন, যেখানেই বিয়ে করিনা কেন ও আমাকে শান্তিতে থাকতে দিবেনা। শুনে খুব ভয় হল। তখন ভাবলাম যে তাহলে দেখি কী করা যায়। আমি আমার সেই বান্ধবীকে ফোন দিলাম। বললাম ওর সাথে সম্পর্ক না রাখতে কিন্তু বান্ধবী বলল পারলে তোমার ভালোবাসা দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাও। বান্ধবীর বড় ভাই ছিলো একটা। একদিন তাকে ফোন দিলাম, ভাবলাম হয়ত উনাকে বললে উনি উনার বোনকে বুঝাবেন। বললাম উনাকে যে আপনার বোন যার সাথে সম্পর্ক করছে তার সাথে আমার সম্পর্ক আছে, আমার তাকে ছাড়া অন্য কোথাও বিয়ে করা সম্ভব না। তখন সে শুনে বলল যে সে তার বোনের সাথে কথা বলবে। এক সপ্তাহ পর সে ফোন দিয়ে বলে যে তার বোন সম্পর্ক ভাঙবে না। আমার প্রেমিক আমার সাথে সেক্স ছাড়া কোন কথাই বলতো না, কোন টেক কেয়ার করতো না। তারপরও আমার যাওয়ার জায়গা ছিলো এটা ভেবে সব মেনে নিয়েছি। আমার ফ্রেন্ডের ভাই যখন স্যরি বলল আমি খুব কাদলাম। তখন উনি আমার কান্না শুনে বলল, আমার বোনের জন্য তোমার সম্পর্কটা ভেঙে গেল, স্যরি। তখন আমি বললাম যে এখন আর আমাকে কেউ বিয়ে করবেনা। আর যদি কেউ করে তবে তাকে ঠকানো হবে। শুনে সে বলল এখানে তোমার একার কোন দোষ নেই। ঐ ছেলেটার তো দোষ বেশি। তুমি যদি চাও, আমি তোমাকে বিয়ে করবো। আমার এমনিতেই ছেলেদের উপর বিশ্বাস ভেঙে গিয়েছিলো। কারণ আমার প্রেমিক সেই বান্ধবীকে বলেছিলো যে আমার সাথে ওর সম্পর্ক নাই কিন্তু তখনও আমাদের সম্পর্ক ছিলো। এটা মনে পড়তে আমি ভাবলাম যদি বান্ধবীর ভাইয়ের সাথে আমার বিয়ে হয় তো বান্ধবী আর ওকে বিয়ে করবেনা, এমন ছেলের হাত থেকে মেয়েটা বেঁচে যাবে। কারণ আজ ও আমাকে ঠকাচ্ছে, কাল বান্ধবীকেও ঠকাবে। এই ভেবে রাজী হলাম। ওর ভাইয়ের সাথে বিয়ে হল, কিন্তু সব হল উলটো।
আমার স্বামী আমাকে অনেক বিশ্বাস করে। অনেক ভালোও বাসে। কিন্তু বান্ধবী আমাকে ভাবী হিসেবে মানে না। কারণ আমার প্রাক্তন প্রেমিক ওকে ভুল বুঝায়। আর ও যা বলে বান্ধবী (এখন ননদ) তাই মেনে চলে। আমার শাশুড়িও আমাকে দেখতে পারেনা। এমনকি নিজের ছেলেকেও দেখতে পারেনা। এতটাই অপছন্দ করে যে আমার সন্তান জন্ম নেওয়ার সময় আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো। তারপর আমি ওদের অনেক ভালোবাসি। আমি ননদকে সব বলি যে আমার প্রাক্তন প্রেমিক আমার সাথে কী কী অন্যায় করেছে, যাতে ও বুঝতে পারে। কিন্তু ও কিছুই বুঝেনা। এখন ওরা বিয়ে করবে। আর আমার প্রাক্তন প্রেমিক আমাকে সেদিন বলল যে ও আমাকে ভালো থাকতে দেবেনা, এইজন্যই আমার ননদকে বিয়ে করবে, নয়ত অনেক আগেই ওকে ছেড়ে দিতো। ওকে ছাড়লে আমার কাছে পৌছানোর রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। এখন শিওর যে ওদের বিয়ে হবে।
কিন্তু আমি এখন কী করবো? আমার কী করা উচিৎ এখন? ভয় হয় আমার সন্তান যদি বড় হয়ে ওর মাধ্যমে এসব কথা জানে তখন তো মাকে খারাপ জানবে। ও তো বুঝবেনা যে ওর মা ঠকেছে, চরম ভাবে ঠকেছে। আমার ননদ আর শাশুড়ি আমাকে দেখতে পারেনা, আমার আব্বু আম্মুর সাথেও খুব খারাপ আচরণ করে। এই পরিস্থিতিতে আমার কী করা উচিৎ আপু? আমার ননদ যে নিজের সর্বনাশ করছে ও তো বুঝতেও পারছেও না। দয়া করে একটু পরামর্শ দিন।”
পরামর্শ:
আপনার চিঠি পড়ে আমার আসলে প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে আপু। মেয়েরা এত বোকা কেন, এত স্বল্প মাত্রার চিন্তা কেন আমাদের? একটি ছেলে যেমনই হোক তাঁকে ভালবাসতে হবে, তাঁর সব কু-ইচ্ছা ও অন্যায় মেনে নিতে হবে, সব কিছু সহ্য করতে হবে… এই ফালতু ধারণা মেয়েরা পায় কথা থেকে? জীবন কি কোন হিন্দি সিনেমা?
আমাকে অনেকেই জিজ্ঞাসা করে, বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়া নিয়ে আমি এত কঠোর আচরণ কেন দেখাই। ঠিক এই কারণেই দেখাই আপু, যে বিপদে আপনি জড়িয়ে গেছেন। বিয়ের আগে এই শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টা এড়িয়ে চললে অন্তত অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ এড়িয়ে যাওয়া যায়। আপনি দিনের পর দিন একটি ছেলের লালসার শিকার হয়েছেন, তাও স্বেচ্ছায়। কোন মানে আছে এটার? আপনার কপাল অসম্ভব ভালো যে এমন একজন স্বামী পেয়েছেন, যিনি সব সত্য জেনেও আপনার পাশে দাঁড়িয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমনটা হয় না। তবে তারপরও বলবো, বান্ধবীর ভাইকে বিয়ে করাটাও ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। যে বান্ধবীর জীবন বাঁচাতে চেয়েছিলেন, সে তো তখনই আপনাকে পছন্দ করতো না আর এখনো করে না। তাহলে অহেতুক তাঁর কথা চিন্তা করে লাভ কী? বরং অন্য কোথাও বিয়ে হলে আপনার শহর বদলে যেত, ওই ছেলের সাথে আর দেখা হতো না। এত সহজ না একটা মানুষকে খুঁজে বের করে যন্ত্রণা করা।
যাই হোক, সন্তান বড় হয়ে কী শুনবে, এইসব আবোল তাবোল চিন্তা করবেন না। একটা জিনিস বুঝতে পারছি যে আপনি সবকিছু নিয়েই অনেক বেশী চিন্তা করেন। এত চিন্তা করার কিছু নেই, যেহেতু আপনার স্বামী সব জানেন। আপনি স্বামীকে ওই প্রেমিকের হুমকির ব্যাপারে সব বিস্তারিত জানিয়ে রাখবেন আর সাথে এটাও বলবেন যে আপ্নিয়ার এই পরিবেশ সহ্য করতে পারছেন না। আপনি অন্য কোথাও গিয়ে নিজের সংসার পাততে চান। বিয়ে যেহেতু ঠেকানোর উপায় নেই, হতে দিন। বিয়ের পর আপনার ননদ নিজেই টের পাবে স্বামী কী জিনিস। কিছু কিছু শান্তি মানুষকে পেতেই হয়। আপনার ননদকেও নিজের ভাগের শাস্তিটা পেতে হবে।
শাশুড়ি যখন স্বামীকেও দেখতে পারেন না, সেক্ষেত্রে ছোলে বলে কৌশলে সেই পরিবার থেকে পৃথক হয়ে যাওয়াটাই আপনাদের জন্য ভালো হবে। কেননা ওই শয়তান না হলে আপনার ও স্বামীর মাঝে সমস্যা তৈরি করবে। যেভাবেই হোক স্বামীকে বুঝিয়ে রাজি করান আর নিজেদেরকে ননদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিন। আর হ্যাঁ আপু, ওই লোকের সাথে বা ননদের সাথে কোন কথা বাড়াবেন না। একেবারেই না। এমন একটা ভাব করবেন যে অতীতে কিছুই হয়নি। কথা বাড়ালেই কিন্তু কথা বাড়ে।
আপনার প্রশ্ন, বিশেষজ্ঞের উত্তর। আপনার জন্যই অপেক্ষায় আছি আমরা!
ছবিটি রূপক, ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন