কঠিন সিদ্ধান্তে বিএনপি: জানুয়ারিতেই চুড়ান্ত আন্দোলন!
সরকার বিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে এবার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গত কয়েকটি আন্দোলনে ব্যর্থ হলেও এবার ভিন্ন কৌশল নিয়ে মাঠে নামবে তারা। আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই সরকার পতনের চুড়ান্ত আন্দোলনে যাবে দলটি। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।
এসব নেতারা জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয়। বিএনপি এই সরকারকে সমঝোতার জন্য অনেক সময় দিয়েছে। সরকার এই সমঝোতার বিষটিকে বিএনপির দুর্বলতা ভাবছে। আসলে সরকার যা ভাবছে, তা ঠিক নয়। বিএনপির জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কমিটি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলে ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিও পুনর্গঠন করা হবে। এরপরই আগামী জানুয়ারিতেই এই অবৈধ সরকারকে বিরুদ্ধে চুড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের প্রতিটি ইউনিট নতুন করে সাজানো হবে। বিগত দিনে দল ঘোষিত আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে না নেমে যারা আত্মগোপনে ছিল। তারা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও এবার আর কাউকেই ছাড় দিবেন না বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া।
লন্ডনের কিংস্টোনে স্থানীয় সময় গত ৪ অক্টোবর (রবিবার) বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেই বলেছেন, দলে চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা এবং একটি সুপরিকল্পিত আন্দোলনের কাঠামো তৈরিতে মনোযোগী হতে হবে। বিগত আন্দোলনে ভূমিকা বিবেচনায় নতুনভাবে সব ইউনিটকে সাজানোর পরিকল্পনার কথা আমরা ভাবছি।
লন্ডন বিএনপির একটি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরে দলীয় বিভিন্ন বিষয়ে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা উভয়ে মিলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাছাড়া আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রাম নিয়েও তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের বিষয়ে ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে থাকা সবাইকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতেই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামা হবে।
এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব) মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের আন্দোলন থেমে নেই। আমরা এখন বড় বড় সমাবেশ করছি। বর্তমানে দল পুনর্গঠনের কাজ চলছে। এগুলো আন্দোলনেই অংশ।
জানুয়ারিতে বিএনপি আন্দোলনে নামেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন দল পুনর্গঠন হচ্ছে। এরপর পর্যায়ক্রমে সবই হবে। এ বিষয়ে বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে দেশে ফিরলে জোট নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে গত শুক্রবার জেহাদ দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে রক্ষা এবং তাকে বিকশিত করতে আমাদের আরও সংগ্রাম করতে হবে। মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে জনগণের ক্ষমতায়নের লক্ষে রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে অগণতান্ত্রিক অপশক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন