বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘কত সুন্দর করে বুকে জড়িয়ে বিদায় দিয়ে এলাম তাকে! ভাবতেই পারিনি এটাই শেষ বিদায় ছিল!’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের জ্যেষ্ঠ অ‌ভি‌নেতা মিজু আহ‌মেদ আর নেই। আজ সোমবার ঢাকা থে‌কে দিনাজপুর যাওয়ার প‌থে ট্রে‌নে হৃদ‌রো‌গে আক্রান্ত হ‌য়ে মৃত্যুবরণ ক‌রেন তি‌নি (ইন্না‌লিল্লা‌হি…. রা‌জিউন)।

না ফেরার দেশে চলে গেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের শক্তিমান খল অভিনেতা মিজু আহমেদ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। আজ সোমবার রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে হঠাৎ তিনি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন।

শক্তিশালী খল অভিনেতা মিজু আহমেদের প্রকৃত নাম মিজানুর রহমান। স্ত্রী পারভীন আহমেদ, দুই মেয়ে কেয়া ও মৌ এবং একমাত্র ছোট সন্তান হারসাতকে নিয়েই ছিল তার সুখি পরিবার। অবসরে ক্রিকেট খেলা দেখতে পছন্দ করতেন তিনি। নিয়মিত পাঁচওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন এই অভিনেতা। সারাক্ষন সবাইকে হাঁসি ঠাট্টায় মাতিয়ে রাখতেন মিজু আহমেদ ।

মিজু আহমেদের আকস্মিক মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গন সহ প্রায় সবখানেই নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া । ফেসবুকের দেয়াল জুড়ে তারকাসহ হাজারো ভক্তের শোকের স্ট্যাটাস আর স্মৃতিচারন ।

মিজু আহমেদ একজন প্রযোজক হিসেবেও ঢালিউড পাড়ায় পরিচিত। মূলত, আহমেদ তার খলনায়ক চরিত্রের সুবাদে বাংলা চলচ্চিত্রে সুপরিচিত। কয়েক বছর পরে তিনি ঢালিউড চলচ্চিত্র শিল্পে অন্যতম সেরা একজন খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এছাড়াও তিনি তার নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস মুভিজ এর ব্যানারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন।

প্রয়াত চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক মিজু আহমেদের প্রথম জানাজা আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় পান্থপথ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তি দ্বিতীয় দফায় সকাল সাড়ে ১০টায় বিএফডিসিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ওমর সানি। জানাজা শেষে লাশ কুষ্টিয়ার কোটবাড়ী উনাদের পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ওমর সানিবলেন, ‘ পান্থপথ জামে মসজিদে মিজু আহমেদের প্রথম জানাজার পর ১০টায় এফডিসিতে আনা হবে। সহকর্মীরা প্রিয় মানুষটিকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন, সাড়ে ১০টায় আমরা জানাজা পড়ব।’

মিজু আহমেদের নাতি তানভীর বলেন, জানাজা শেষে নানাকে (মিজু আহমেদ) মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার কোটবাড়িতে তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হবে।

মিজু আহমেদের গাড়ির চালক বলেন, ‘একটি ছবির শুটিংয়ের জন্য আজ দিনাজপুর যাচ্ছিলেন মিজু আহমেদ চাচা। আমিই তাকে কমলাপুরে রেখে আসি। দিব্যি সুস্থ ভালো মানুষটিকে রেখে আসলাম। আধা ঘণ্টার মধ্যে খবর পাই মিজু চাচা আর নেই। বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছে আমার। কত সুন্দর করে বুকে জড়িয়ে বিদায় দিয়ে এলাম তাকে। ভাবতেই পারিনি এটাই শেষ বিদায় ছিল!’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ দিনভর তিনি এফডিসিতে শাহাদাৎ হোসেন লিটনের ‘অহংকার’ ছবির শুটিং করেন। বিকেল বেলায় আমাকে বললেন দিনাজপুরে একটা ছবির শুটিং আছে। তাকে কমলাপুরে নামিয়ে দিয়ে আসতে হবে। এর বেশি আমি বলতে পারছি না।’

চিত্রনির্মাতা শাহীন সুমন জানান, ট্রেনে ওঠার কিছুক্ষণ পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সেখান থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ৮ টা ৩৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভিনেতা মিশা সওদাগরের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমিও শুনেছি মিজু ভাই আর নেই। আমি কুর্মিটোলা হাসপাতালে যাচ্ছি।’ স্ত্রী পারভীন আহমেদ, দুই মেয়ে কেয়া ও মৌ এবং ছেলে হারশাতকে নিয়ে ছিল তার পরিবার।

চলচ্চিত্র পরিচালক ইলিয়াস ভূইয়া জানান, গতমাসে শুরু হওয়া মানুষ কেন অমানুষ ছবির শ্যুটিংয়ে অংশ নিতে ঢাকার কমলাপুর থেকে সপ্নপুরী যাচ্ছিলেন মিজু আহমেদ। আহমেদ ইলিয়াস ভূইয়া নিজেই ওই ছবি পরিচালনা করছেন।

ট্রেনে পরিচালক কাজী হায়াৎ ও অভিনেত্রী রেহানা জলিও ছিলেন। তাদের উধৃতি দিয়ে ভুইয়া জানান, আগে থেকে মোটেও অসুস্থ্য ছিলেননা। হাঁসি খুশি মেজাজেই উঠেছিলেন ট্রেনে । রাত ৮টার পরে ট্রেনটি বিমানবন্দর রেলস্টেশনে পৌঁছলে আকস্মিক মিজু আহমেদ বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। পরে ট্রেন থামার পর কাছের একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মিজু আহমেদ মারা গেছেন।

১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন মিজু আহমেদ। জন্মের সময় তাঁর নাম রাখা হয় মিজানুর রহমান। শৈশবকাল থেকে তিনি থিয়েটারের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। পরে তিনি কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন।

১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে মিজু আহমেদ অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কয়েক বছর পর তিনি ঢালিউড চলচ্চিত্র শিল্পে অন্যতম সেরা একজন খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস মুভিজের ব্যানারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন।

মিজু আহমেদ অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো—তৃষ্ণা (১৯৭৮), মহানগর (১৯৮১), সারেন্ডার (১৯৮৭), চাকর (১৯৯২), সোলেমান ডাঙ্গা (১৯৯২), ত্যাগ (১৯৯৩), বশিরা (১৯৯৬), আজকের সন্ত্রাসী (১৯৯৬), হাঙ্গর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭), কুলি (১৯৯৭), লাঠি (১৯৯৯), লাল বাদশা (১৯৯৯), গুণ্ডা নাম্বার ওয়ান (২০০০), ঝড় (২০০০), কষ্ট (২০০০), ওদের ধর (২০০২), ইতিহাস (২০০২), ভাইয়া (২০০২), হিংসা প্রতিহিংসা (২০০৩), বিগ বস (২০০৩), আজকের সমাজ (২০০৪), মহিলা হোস্টেল (২০০৪), ভণ্ড ওঝা ২ (২০০৬) প্রভৃতি।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা

শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন

শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে

আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন

আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?

গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন

  • বাবা দিবসে কাজলের মেয়ে শৈশবের ছবি পোস্ট করলেন
  • চলে গেলেন অভিনেত্রী সীমানা
  • শাকিবের সঙ্গে আমার বিয়ের সম্ভাবনা থাকতেই পারে: মিষ্টি জান্নাত
  • এবার পরিবারের পছন্দে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন শাকিব খান
  • বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, সেখানে একটি মেয়েও আছে: সুরুজ বাঙালি
  • এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা
  • অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন
  • এক রোমাঞ্চকর অসমাপ্ত ভ্রমণ গল্প
  • পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন
  • শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষের জায়গা নেই: বুবলী
  • সিনেমা মুক্তি দিতে হল না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নায়ক
  • বিশাখাপত্তনমে কয়েকদিন