রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ইসির অভয় সত্ত্বেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় শুরু হচ্ছে ভোট

নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে বুধবার সকাল থেকে একযোগে শুরু হচ্ছে ২৩৪ পৌরসভার ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সরকারের পৌরসভায় প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে ভোট হওয়ায় এবার যেনো সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইছে ভোটের মাঠে। তবে দশম সংসদ নির্বাচনের দুই বছরের মাথায় হতে যাওয়া এ ভোট প্রধান রাজনৈতিক দলে লড়াইয়ের মনোভাবও পাল্টে দিয়েছে। তবে নির্বাচন নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মনে রয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

দেশের ইতিহাসে দশম পৌরসভা সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে বুধবার। সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট হবে। ভোটযুদ্ধ শেষে রাতেই নির্ধারিত হবে কে কে হচ্ছেন ২৩৪ পৌরসভার মেয়র। জানা যাবে স্থানীয় সরকারে কার দাপট কতো; আওয়ামী লীগের না বিএনপির পাল্লা ভারি।

অন্যদিকে নির্বোচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে আশঙ্কায় থাকলেও ২৩৪ পৌরসভার প্রায় ৭১ লাখ ভোটার এখন অপেক্ষা করছে পছন্দের প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য।একই সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা, ভোট প্রার্থনা, অনুরোধ, অভিযোগ, গুজব-আতঙ্ক শেষে এখন শুধু প্রতীক্ষা হিসাব নিকাশের।

দশম সংসদ নির্বাচনের দু’বছরের মাথায় দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের পৌর নির্বাচনে ভোট হচ্ছে। এতে ২০টি দলও অংশ নিয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে বিরোধী দলের প্রচারণায় বাধা অভিযোগ এসেছে বেশ কয়েকটি পৌরসভা থেকে।

এমন পরিস্থিতিতে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমত। তিনি বলেছেন, ‘পৌরসভা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।আশা করছি কোনো সমস্যা হবে না। এ জন্য প্রয়োজনের থেকে বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’ একই সঙ্গে ভোটার ও প্রার্থীদের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখারও আহ্বান জানান তিনি।

ভোটের শেষ দিন প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যায়। ভোট সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে শঙ্কার কথা বিএনপি বললেও ক্ষমতাসীনদের দাবি সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ রয়েছে।

প্রথমবার দলীয়ভাবে পৌর নির্বাচন 
দেশে স্থানীয় সরকারে প্রথমবারের মতো দলীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তবে সর্বশেষ পৌর নির্বাচনও দল সমর্থিত প্রার্থী থাকায় এবারও শুধু আইনগতভাবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা হলো দলীয় পৌর নির্বাচনের।

ইসি সচিবালয়ের উপ সচিব সামসুল আলম জানান, এ দেশে  ৯টি পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে। এ নির্বাচনগুলো হয়েছে ১৯৭৩, ১৯৭৭, ১৯৮৪, ১৯৮৯, ১৯৯৩, ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৮, ২০১০-২০১১ সালে। এবারেই প্রথম দশম পৌরসভা সাধারণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে দলীয় প্রতীকে।

২০১১ সালে চার ধাপে আড়াই শতাধিক পৌরসভায় ভোটে প্রার্থীরা দলের সমর্থন নিয়ে ভোট করেছিল। তাতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ‘সমানে সমান’ ফল পেয়েছিল।

দশম সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি এবার দলীয় প্রার্থী দেয়ায় জমে উঠেছে এ ভোট। এক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকার কথাই সোমবার জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

ভোটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা 
সুষ্ঠু পরিবেশের ভোটগ্রহণ করার জন্য আগের ও পরে মিলে মোট ৪ দিনের জন্য লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে রয়েছে । এর মধ্যে পুলিশ প্রায় ৪৫ হাজার, ২২৯ পৌরসভায় বিজিবি ৯ হাজার ৪১৫, র‌্যাব ৮ হাজার ৪২৪জন, কোস্টগার্ড ২২৫ আনসার ভিডিপি ৪৯ হাজার ৭২৮ এবং ব্যাটালিযন আনসার ৪ হাজার ৫১২ সব মিলিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ১ লাখ ১৭ হাজার ৩০৪ সদস্য মাঠে রয়েছে।

এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেতৃত্বে ও অপরাধ দেখভালে মাঠে থাকছে ১ হাজার ২০৪ জন নির্বার্হী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

ভোটের দিন ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্বে রয়েছে।একই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এছাড়া উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে গোয়েন্দা সংস্থার জঙ্গি হামলার আশঙ্কার ভিত্তিতে নির্বাচনে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বিরোধী দলের প্রার্থীদের শঙ্কা 
নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলের শঙ্কা প্রকাশ করেছে অধিকাংশ বিএনপি,জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এছাড়া স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। একাধিক মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের আগেই বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা চলছে। বিএনপি প্রার্থীর মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের না যাওয়ার জন্য হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে।

রিটার্নিং অফিসারদের দ্রুত ফলাফল পাঠানোর নির্দেশ 
পৌর নির্বাচন ভোটগ্রহণ ও গণণা শেষে দ্রুত ফলাফল পাঠাতে রিটার্নিং অফিসারদের বিশেষ নির্দেশনা পাঠিয়েছে ইসি।এ বিশেষ নির্দেশনা সকল রিটার্নিং অফিসারকে পাঠানো হয়েছে।পাশাপাশি ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা ও পরবর্তী সময়ে যাতে সহিংসতার সৃষ্টি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।

১০ সহস্রাধিক সাংবাদিক-পর্যবেক্ষক 
ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারি পরিচালক আরাফাত আরা জানান, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ১০টি করে সংস্থার বিরুদ্ধে পর‌্যবেক্ষণে আপত্তি জানালেও শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে সাড়া দেয়নি ইসি।

এসব সংস্থার ভোট পর্যবেক্ষণে কোনো বাধা নেই। কাউকে বিরত রাখার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেন তিনি।

পৌর ভোটে এ পর্যন্ত ২৯টি সংস্থার চার সহস্রাধিক পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে ঢাকার গণমাধ্যমের জন্য দুই হাজার সাংবাদিক পরিচয়পত্রও দেয়া হয়েছে।

ইসির জনসংযোগ শাখা জানায়, স্থানীয় পর্যায়ের অন্তত চার হাজার সাংবাদিককে ভোটের সংবাদ সংগ্রহে কার্ড করাবরাহ করা হয়েছে।

নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি 
নির্বাচনের কারণে ২৩৪টি পৌরসভায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়। ফলে নির্বাচনী এলাকায় সকল অফিস,স্কুল কলেজ রয়েছে।

মেয়র পদে সাড়ে ৯‘শসহ  লড়ছেন ১২১৬৯ প্রার্থী, ২৩৪ পৌরসভা নির্বাচনে ২০টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মেয়র পদে ৯৪৫ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে। সাধারণ কাউন্সিলর ৮ হাজার ৭৪৬ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২হাজার ৪৮০ জন।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ২৩৪ জন, বিএনপির ২২৩ জন, জাতীয় পার্টির ৭৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রয়েছে।

দলীয় প্রার্থী ৬৬০ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে ২৮৫ জন। এতে অর্ধশতাধিক আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র বিদ্রোহীরা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৪১ 
মেয়র পদে সাত জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪০ জন প্রতিদ্বন্দ্বি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ভোটার ও ভোটকেন্দ্র 
এ নির্বাচনে ৩ হাজার ৫৫৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোট হবে। এসব ভোট কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা ২১ হাজার ৭১। এ হিসাবে প্রতি কেন্দ্রে ১ জন করে ৩ হাজার ৫৫৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, প্রতি বুথে ১ জন করে ২১ হাজার ৭১ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং প্রতি বুথে ২ জন করে ৪২ হাজার ১৪২ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।  মোট ভোটার রয়েছে প্রায় ৭১ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৫ লাখ ৫২ হাজার ২৮৪ জন এবং নারী ভোটার ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৮৬০ জন। ভোট গ্রহণ করবেন ৬৬ হাজার ৭৬৮ জন কর্মকর্তা।

একশ’ কোটি টাকার পৌর ভোট
এবার পৌর নির্বাচন পরিচালনা ও আইন শৃঙ্খলায় নির্বাচন কমিশনের বাজেট রয়েছে ১০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে পরিচালনা খাতে ৪৫ কোটি টাকা এবং আইন শৃঙ্খলা খাতে ৫৫ টাকা বরাদ্দ রেখেছে। ইতোমধ্যে এ বরাদ্দের সিংহভাগ অর্থ ছাড়ও দিয়েছে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ৭ সদস্যের মনিটরিং সেল 
পৌর নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলাসহ সামগ্রিক নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবক্ষণের জন্য একটি বিশেষ মনিটরিং কমিটি গঠন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।এ জন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনু বিভাগের মহাপরিচালক (এনআইডি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মোহাম্মদ আবু সালেহকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি মিনিটরিং সেল গঠিত হয়েছে।

৭ সদস্যের ওই মনিটরিং কমিটির মধ্যে আছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, পুলিশের এসপি পর্যায়ের এক জন কর্মকর্তা, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর মেজর পর্যায়ের একজন করে প্রতিনিধি এবং আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ানের এসপি পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন

জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে ‍সুবিধা পাওয়া যাবে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন

ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন

  • শাকিব: আমার ক্যারিয়ারের সব বিগ হিট সিনেমা ঈদ ছাড়াই এসেছে
  • এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান ৬১.১% মানুষ, সংস্কার শেষে ৬৫.৯%
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের সংঘর্ষ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ১০ মৃত্যু
  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার পরামর্শ কমিশনের
  • দেশের সংকটে যে সমাধান দেখছেন তারেক রহমান
  • যে কারণে প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ‘হেফাজতের আপত্তির মুখে’ নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা বন্ধ
  • স্বর্ণের দামে ফের বড় লাফ, এগোচ্ছে নতুন রেকর্ডের দিকে
  • টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
  • রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
  • যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা