রবিবার, এপ্রিল ১৩, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

কন্যাসন্তান জম্ম দেয়ার দায়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুপথযাত্রী ফাতেমা

কন্যাসন্তান জম্ম দেয়ার দায়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এক নারী। শ্বশুরবাড়ির লোকদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় পাষণ্ড স্বামীর এলোপাতাড়ি দা’য়ের কোপে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে ৭ দিনের কন্যা সন্তান নিয়ে তার ঠাই হয়েছে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হলেও আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ার এখনো রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

অলোয়া ইউনিয়নের চান আমুলা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে ছয় বছর আগে একই উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে ফাতেমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় অনেক যৌতুক দেয়া হলও কিছুদিন ভালভাবে সংসার করার পরে ফাতেমার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার।

বছর দুই পরে তাদের ঘরে জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তান। স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে নানা অজুহাতে তার উপরে অত্যাচার চালাতো বলে অভিযোগ রয়েছে। আবারও নানা অজুহাতে মোটা অঙ্কের টাকার যৌতুক দাবি আসতে থাকে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ফাতেমার বাবা আবারও টাকা দিলেও দাবি বাড়তে থাকে। প্রতিনিয়তই চলতে থাকে নির্যাতন। এর মাঝেই আরেকটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় ফাতেমা।

ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার রাতে স্বামী শফিকুল ইসলাম, শাশুড়ি মোছা. রোকেয়া বেগম ও শ্বশুর মো. আব্দুল হামিদ ফাতেমার ঘরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। পরে শ্বশুর-শাশুড়ি হাত-পা ধরে রাখে আর স্বামী শফিকুল ইসলাম দা এনে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় ফাতেমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় ফাতেমার পিতা তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে স্বামী শফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে শাশুড়ি মোছা. রোকেয়া বেগম ও শ্বশুর মো.আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

গত শনিবার টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাত নম্বর ওয়ার্ডের তের নম্বর বেডে গিয়ে দেখা যায়, মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে বাকরুদ্ধ ফাতেমা। মাথা ও ঘাড়ে বেশ কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে ফাতেমার। আর তার পাশে শুয়ে হাত-পা নাড়াচ্ছে ৭ দিনের কন্যা সন্তান অহনা।

ফাতেমার মা হালিমা বেগম জানান, আমার মেয়ের কোনো দোষ ছিল না। তারা নির্মমভাবে অত্যাচার করেছে আমার মেয়েকে। আমি তাদের কঠিন শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম কাওছার চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। -চ্যানেল আই।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

প্রতীকী ছবি

সিলেটের জঙ্গি নেতা আব্দুল বারি ও শামসু জামিনে মুক্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা: শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিবাদী সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এরবিস্তারিত পড়ুন

  • শামীম ওসমান থাকার গুজবে রিসোর্টের সামনে মানুষের ভিড়, সেনাবাহিনীর তল্লাশি
  • নরসিংদীতে সন্ত্রাসী হামলায় হার্ট এ্যাটাক হয়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
  • ধানমন্ডি ৩২-এ প্রদীপ প্রজ্বলন, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীর ওপর হামলা
  • ঢাকায় এক দিনে ৪ জনকে পিটিয়ে হত্যা
  • নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা