শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

কপাল পুড়ছে মায়া-কামরুলের

রোববার যখন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দুই অংশের নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ঠিক তখনই সদ্য সাবেক হয়ে যাওয়া মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার দুর্নীতির মামলায় রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যায়।

মহানগর কমিটির নাম ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন না মায়া। উপস্থিত ছিলেন না মহানগর আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামও। ঘোষিত মহানগর দুই কমিটির কোনোটিতেই আপাতত ঠাঁই হয়নি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নেতার।

নতুন নগর কমিটির পাশাপাশি আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছেন মোফাজ্জল হোসেন মায়া এবং কামরুল ইসলামের ভাগ্য। নগর নেতাদের অনেকেই মনে করছেন, দলে এই দুই নেতার ভাগ্য ফেরা অনেকটাই কঠিন। দলের সভানেত্রীর ‘গুড বুকে’ নাম হারিয়েছেন অনেক আগেই। এই দুই নেতা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে আছেন সরকারের কৌশলগত অবস্থানের কারণে।

গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ১৩ বছরের সাজা দেন আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মায়া। আপিলের ওপর শুনানি করে ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট তাকে খালাস দেন। ২০১৫ সালের ১৪ জুন মন্ত্রী মায়াকে খালাস দিয়ে দেয়া হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনর্বিচারের আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন মায়া। এ নিয়ে দল এবং সরকারের মধ্যে চাপের মুখে পড়েছেন ত্রাণমন্ত্রী মায়া।

গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও বিতর্কিত ভূমিকার কারণে নগরের অনেক নেতাই সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে নালিশ করেছিলেন মায়ার বিরুদ্ধে। মায়ার কর্মকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরাগভাজনও ছিলেন বলে সূত্রে প্রকাশ।

এরে আগে মায়ার মেয়ের জামাই র‌্যাব কমান্ডার তারেক সাঈদ নারায়ণগঞ্জের সাত খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলে দলের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় মায়াকে নিয়ে।

এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামও নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে দলের মধ্যে প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। গম কেলেঙ্কারির সমালোচনা ধামাচাপা পড়তে না পড়তেই আদালত অবমাননা করে ইতোমধ্যেই সাজা পেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

সূত্র জানায়, গত সিটি নির্বাচনে নেতিবাচক ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কামরুলের বিরুদ্ধে জোরালো নালিশ করেছিলেন নেতাকর্মীরা।

নানা সময়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করলেও সম্প্রতি কামরুল ইসলাম অনেকটাই মিডিয়াকে আড়াল করে রেখেছেন এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে।

সূত্র জানায়, সরকার এবং দলের মধ্যে বিশেষ চাপে থাকার কারণেই এই দুই নেতার ঢাকা মহানগর কমিটিতে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ঠাঁই হয়নি। এমনকি এদের কোনো সুপারিশও আমলে নেয়নি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

একই কারণে মহানগরের মতো দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও গুরুত্বহীন হতে পারেন এই দুই নেতা।

নাম প্রকাশ না করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সসদ্য বলেন, ‘সরকারের বিশেষ অনুগ্রহে এই দুই নেতার (মায়া এবং কামরুল) আপাতত মন্ত্রিত্ব থাকলেও দলে জায়গা পাওয়ার সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চাইছেন, দল বিতর্কমুক্ত হোক।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক

রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন

  • হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু
  • বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
  • ১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল