কম সময়ে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে চাইলে মানতে হবে এই টিপসগুলো!

খুব কম নারীকেই দেখা যায় নিজের চুল নিয়ে সন্তুষ্ট। বেশিরভাগ নারীর দুঃখের মূলেই হল চুলের কম ঘনত্ব। কম সময়ে চুল ঘন করতে চাইলে আপনাকে মানতে হবে কিছু টিপস। যেগুলো অনুসরণ করে আপনি ভালো ফলাফল পেতে পারেন।
স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণঃ চুল ঘন করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। সবুজ শাক সবজি, বিন, সামুদ্রিক মাছ, মুরগীর মাংস ইত্যাদি হল নিউট্রিশনে ভরপুর খাদ্য।
মাথার ত্বকে তেল ম্যাসেজ করুনঃ চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধির জন্য এটি খুবই প্রয়োজনীয় একটি কাজ। আঙুলের তালু দিয়ে ধীরে ধীরে মাথার ত্বক ম্যাসেজ করুন। একটি টেবিল চামচ নারকেল তেল গরম করুন। তেল আঙুলে লাগিয়ে আবারও মাথার ত্বকে চক্রাকারে ম্যাসেজ করুন।
এভাবে তেল ম্যাসেজ করার ফলে আপনার মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে। চুলের গোড়া শক্ত হবে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়ক হবে।
চুল কাটুনঃ অবাক হবার কিছু নেই। চুলের ঘনত্ব যদি বৃদ্ধি করতে চান, তাহলে আপনার উচিত হবে ৩ মাস অন্তর অন্তর চুল কাটানো। পার্লার বা স্যালুনে গিয়ে ৩ মাস পর পর চুল ট্রিম করুন। চুলের আগা ফাটা সমস্যা, ফ্যাঁকাসে হয়ে যাওয়া সমস্যা থাকলে কেটে ফেলুন। চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে।
বার বার শ্যাম্পু করা থেকে বিরত থাকুনঃ অনেকে ভাবেন, প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুল পরিষ্কার থাকবে এবং চুল তাড়াতাড়ি ঘন হবে। অথচ দুঃখের বিষয় হচ্ছে তারা চুলের লাভের চেয়ে ক্ষতিটাই বেশি করছে। চুলে শ্যাম্পু করার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় মেনে চলুন। সপ্তাহে ৪ থেকে ৫বারের বেশি কখনোই শ্যাম্পু করা উচিত নয়।
বার বার চুল আচড়াবেন নাঃ আবারো সেই আগের পয়েন্টের মতই বলতে হয় যে অনেক নারীই ভাবেন বারবার চুল আঁচড়ালে চুল পরিষ্কার থাকবে, ফলে তাড়াতাড়ি বাড়বে। কিন্তু সত্য হল বারবার চুল আঁচড়ালে চুলের ক্ষতি হয় এবং চুল পড়ার হার বৃদ্ধি পায়।
বদলে ফেলুন বালিশের কভারঃ আপনার যদি অতিরিক্ত চুল পড়া সমস্যা থাকে তবে আপনার সুতি বালিশের কভারটি বদলে সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহার করুন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে সিল্কের বালিশের কভার আপনার চুলকে নমনীয় করে তুলবে এবং চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
তোয়ালে প্যাঁচানো ভুলে যানঃ গোসল শেষে চুল তোয়ালেতে প্যাচিয়ে রাখার অভ্যাস রয়েছে আমাদের সবার। কিন্তু, ভেজা চুল প্যাচিয়ে রাখলে তা ভেঙে যাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে। তাই, ভেজা চুল প্যেচিয়ে না রেখে তোয়ালে দিয়ে ধীরে ধীরে পানি শুকাতে চেষ্টা করুন।
পানি পান করুনঃ চুলের যতই যত্ন নেন না কেন পরিমিত পানি পান না করলে কোন লাভই হবেনা। আর তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। নিজেকে টেনশনমুক্ত রাখুন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন