কর্মজীবী দম্পতির সাংসারিক ঝামেলা? কি করবেন ? জেনে নিন..
রিণা-সায়েমের সংসারের বয়স প্রায় বছর পেরিয়ে। প্রথমে ভালোই ছিল। কিন্তু ইদানিং তাদের প্রায়ই খুঁটিনাটি তর্ক লেগে যায়। মাস খানেক হলো রিণাও একটা চাকরিতে ঢুকেছে। যে কারণে তার সংসার আর অফিস একসাথে সামলানো অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। কখনো দেখা যাচ্ছে অফিসে দেরীতে পৌঁছাচ্ছে। আবার কখনো সকালের নাস্তা বানানো সম্ভব হচ্ছে না। রিণা-সায়েমের সংসারের মতো এমন সমস্যা অহরহই দেখা যায় ওর্য়াকিং কাপলদের সংসারে।
যেসব জুঁটি ঘর এবং বাহির একসাথে সামলাতে গিয়ে অনেকটাই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন তারা মেনে চলুন কিছু নিয়মিত রুটিন—
কাজের প্ল্যানিং করুন:
যেকোনো কাজ করতে গেলেই প্রথমে প্রয়োজন প্ল্যানিং’র। আর সেটা যদি আপনার সংসার এবং অফিস হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই। এই ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই কোন কাজের পরে কোনটা করবেন তার একটা প্ল্যানিং করে ফেলতে হবে আগে থেকেই। যদি আপনার মনে না থাকে তাহলে প্রয়োজনে আপনি খাতায় লিখে রাখতে পারেন।
প্রতিটি কাজের জন্য সময় নির্দিষ্ট করুন:
প্রতিটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে নিলে কাজ সহজ হয়। এতে অফিস এবং বাসার কাজ দুটোই ঠিক মতো করা যায়। কাজের সময় নির্ধারণসহ অফিসের মিটিং থেকে শুরু করে বাসার আসবাবপত্র মোছার মতো ছোটছোট কাজের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
কাজ ফেলে রাখবেন না:
অনেক সময়ই দেখা যায় রাতে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর শরীর বেশ ক্লান্ত হয়ে পরে। খাওয়া শেষ করে জিনিস পত্র সব এলোমেলো ভাবে ফেলে রেখেই ঘুমাতে চলে যান। এতেই বাঁধে বিপত্তি। কেননা সকালে উঠেই আবার লেগে যায় দৌড়ঝাপ। রাতে ফেলে রাখা কাজ শেষ করতে করতে সকালটাও মাটি হয়ে যায়। অফিস পৌঁছাতে দেরী। তার সাথে যুক্ত হয় বসের ঝাড়িটিও। তাই কাজ ফেলে না রেখে যখনকার কাজ তখনই করা উচিত।
কাজ ভাগ করে নিন:
ঘরের কাজগুলো সব নিজের মাথায় ফেলে না রেখে ভাগ করে নিন। যদি ঘরের কাজগুলো আপনি করেন তাহলে সংসারের প্রয়োজনীয় বাহিরের কাজগুলো আপনার স্বামীকে করতে বলুন। প্রয়োজনে খাবার টেবিল মোছার মতো হালকা কাজগুলো আপনার বাচ্চাদের দায়িত্ব দিয়ে দেন। এতে কাজের ঝক্কিটাও খানিকটা কমে। পাশাপাশি আপনার বাচ্চারাও আত্মর্নিভরশীল হয়ে উঠবে।
কিছু কাজ ছুটির দিনে করুন:
কিছু কিছু কাজ আপনি ছুটির দিনে করে রাখতে পারেন। এতে অন্যান্য দিনগুলোতে আপনার কাজের চাপ কিছুটা হলেও কম পড়বে। ঘরের ঝুলঝাড়া অথবা কিছু তরকারি রান্না বা সেদ্ধ করে রাখতে পারেন। এতে করে অন্য দিনগুলোতে কিছুটা হলেও সুবিধা হবে।
নিজেদের মধ্যে ভালো বোঝাপোড়া থাকা দরকার:
কোনো ঝামেলাই আসলে ঝামেলা নয় যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালো বোঝাপোড়া থাকে। অফিস এবং বাসা এই দুটি একসাথে ম্যানেজ করার জন্য আসলে সবার আগে প্রয়োজন এই বোঝাপোড়াটাই। নিজেদের মধ্যে ভালো সমঝোতা থাকলে সহজেই সামলে নেওয়া যায় ঘর-বাহিরের কাজগুলো।
নিজেদের জন্য সময় রাখুন:
বিয়ের পরে আপনাদের দায়িত্বের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় দুইগুনে। সাথে যুক্ত হয় নিজেদের সংসার এবং অফিসের কাজ। এতো ঝামেলায় নিজেরা ভুলেই যায় নিজেদের সময় দেয়ার কথা। আর তখনই মূল বিরোধটা শুরু হয়। তাই প্রথমেই দিনের কিছু সময় শুধু নিজেদের জন্য রাখুন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন