কর্মস্থলে ‘কটুবাক্য’ আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ায়
কর্মস্থলের পরিবেশ স্বাচ্ছন্দ্যময় না হলে অনেকেরই নানা মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হয় বলে মত দিয়েছেন নরওয়ের এক দল গবেষক। আর এসব সমস্যার অন্যতম হলো আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি। সম্প্রতি ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনটিতে কর্মস্থলে কটুবাক্য বা মৌখিক নির্যাতনের সঙ্গে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধির কথা জানানো হয়। ওই গবেষণায় ১৮৫০ জন কর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের ২০০৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পাঁচ শতাংশের কিছু কম সংখ্যক আত্মহত্যা প্রবণতার কথা জানান। তবে তাদের কর্মস্থলে যখন মৌখিক নির্যাতন বাড়ে তখন তাদের এ আত্মহত্যার প্রবণতাও বেশি দেখা যায়।
ইউনিভার্সিটি অব অফ বেরগেন ও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অকুপেশনাল হেলথের এ গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে, যে গবেষণাপত্রে, তার প্রধান লেখক মর্টেন বির্কেল্যান্ড নেলসন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় কর্মস্থলের কটুবাক্যের সঙ্গে আত্মহত্যা প্রবণতার অনুসন্ধান করা হয়েছে। এটি মূলত একটি প্রভাবক, মোটেই ঘটনা পরম্পরা নয়।’
বিশ্বে প্রতিবছর আট লাখ মানুষ আত্মহত্যার মাধ্যমে তাদের জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে ফেলে। এসব মৃত্যুর পেছনে মানসিক নানা সমস্যার কথা উঠে আসলেও গবেষকরা জানিয়েছেন, মানসিক সমস্যার কারণে অধিকাংশ মানুষ আত্মহত্যা করে না।
এ ক্ষেত্রে আত্মহত্যা প্রবণতা বন্ধ করার জন্য বা সীমিত করার জন্য সুস্থ ও কটুবাক্যহীন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন গবেষকেরা। গবেষণার ফলাফল আমেরিকান জার্নাল অফ পাবলিক হেলথ-এ প্রকাশিত হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন