কলকাতা ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় দিবস পালিত
একাত্তরের ঘাতকদের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট এবং সেদেশের রাজনৈতিক দলগুলি যেভাবে তার বিষেদাগার করেছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা (বাংলাদেশ সরকার) যখন একাত্তরের ঘাতকদের বিচার করছি, তাদের রায় কার্যকর করছি সেখানে পাকিস্তানের উদ্ধত্যপূর্ণ কথা শুনছি। যেটা বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ের হস্তক্ষেপের সামিল। পাকিস্তান পার্লামেন্টে পাকিস্তান সরকার এবং সেদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও একইরকম বক্তব্য রাখছে’।
বুধবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় শাখার উদ্যোগে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সিমলা চুক্তির শর্তও পাকিস্তান সরকার মানছে বলে অভিযোগ করে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সিমলা চুক্তির অধীনে ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনাকে ফেরত দেওয়া হয়েছিল এবং শর্ত ছিল পাকিস্তান তাদের বিচারের ব্যবস্থা করবে কিন্তু সেই শর্ত পাকিস্তান পূরণ করেনি। আজকেও পাকিস্তান তাদের পশুবৃত্তি মনোভাব বজায় রেখেছে। সেদিন তারা যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছিল, বাঙালির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছিল তার জন্য তারা বিন্দুমাত্র ক্ষমা না চেয়ে বরং উদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা বলছে। আমি চাই সিমলা চুক্তি অনুযায়ী সেই ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনার বিচারের ব্যবস্থা করা। এই চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিশ্বের সহযোগিতাও চেয়েছেন বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবদানের কথা স্মরণ করে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘একাত্তরের সময় যেমন ভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা পরম বন্ধুরা লড়াই করেছিলাম, তেমনি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতে সন্ত্রাসববাদীরা যে তৎপরতা সৃষ্টি করতে চাইছে তার বিরুদ্ধে আমরা একসাথে লড়াই করতে হবে’। তার মতে ‘একাত্তরের মতোই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশ যদি একসাথে লড়াই করে তবে কোন জঙ্গি গোষ্ঠীই এই অঞ্চলে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না’।
এর আগে সকালে ফোর্ট উইলিয়ামের মূল ফটকের কাছে অবস্থিত বিজয় স্মারক শহিদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান হয় ভারতের তিন বাহিনী (স্থলবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী)-এর তরফে। বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকেও উপস্থিত হন মুক্তিযোদ্ধা, সেনাবাহিনীর সদস্যসহ ৩৬ জনের এক প্রতিনিধি দল। ফোর্ট উইলিয়ামের শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশের মাননীয় মন্ত্রীসহ আগত মুক্তিযোদ্ধার প্রতিনিধি দলটির একাংশ।
এরপর সেনাবাহিনীর মাঠে আয়োজিত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত একটি প্রদর্শনীও ঘুরে দেখে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি দলটি। এসময় সেদিনকার সেই স্মৃতি বিজড়িত দৃশ্য দেখে দলের অনেকেই আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন।
৪৪তম বিজয় বার্ষির্কী উদযাপন উপলক্ষ্যে কলকাতা বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের তরফে এদিন বিকেলে কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এদিন সন্ধ্যায় কলকাতার পার্ক স্ট্রিট থেকে ফোর্ট উইলিয়াম পর্যন্ত একটি মোমবাতি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির তরফে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
প্রকাশ্যে জানালেনঃ দুই পরিচালকের সঙ্গে ‘প্রেম’ ছিল পায়েলের
টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্বনামধন্য দুজন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও আবিরবিস্তারিত পড়ুন
প্রথম ‘সন্তানের’ জন্মলগ্নে কেঁদেছিলেন দেব ! দায়িত্ব অনেকটাই একা সামলাচ্ছেন তিনি
শিরোনাম পড়ে ভাবছেন, নায়ক দেব তো বিয়েই করেননি, তাহলে সন্তানবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত বাবা রাম রহিমের আয় কত, অনেকেই জানেনা?
ভারতের বিতর্কীত ধর্মগুরু বাবা রাম রহিমের পঞ্জাব, হরিয়ানায় স্থাবর সম্পত্তিরবিস্তারিত পড়ুন