কলেজের ‘ছাত্রাবাসে’ আ.লীগের কার্যালয়!
সিলেট: দেশের পূর্বাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী কলেজ এমসি কলেজ। এই কলেজের ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করেছেন বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও। আর ঐতিহ্যকেই মাটিতে মেশানোর মত ঘটনা জন্ম দিলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হিরণ মাহমুদ নিপু।
তিনি কলেজের ছাত্রাবাসের সামনে জায়গা দখল করে নির্মাণ করছেন কার্যালয়! তবে ওই কার্যালয়টি অপসারণের জন্য আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিবির খেদানোর নামে ২০১২ সালের ৮ জুলাই ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে ছাত্রলীগ নামধারীরা। পুড়ে যায় গৌরবের এমসি কলেজ ছাত্রাবাস। বন্ধ হয়ে যায় ছাত্রবাসটি। পরবর্তীতে শিক্ষামন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর ছাত্রাবাসটির সংস্কার শেষে পুনরায় উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে ছাত্রবাসটির কাজ শেষ হলেও এখনো শিক্ষার্থীরা ওই ছাত্রবাসটি ব্যবহার করতে পারছে না।
এই সুবাদে ছাত্রবাসের সামনের কিছু জায়গা দখল করে ছাত্রলীগে নেতা দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করছেন। ইতোধ্যে নির্মানাধীন আধাঁপাকা একটি ঘরের সামনে লাগানো হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। এছাড়াও একটি সাইনবোর্ড সাটানো হয়েছে। ওই সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু; বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কার্যালয়, সিলেট’।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু বলেন, ‘বালুচর এলাকা একসময় বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি ছিল। আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ এই এলাকায় কর্মীসভাও করতে পারতো না। দলীয় নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করে ওই এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে।’ তাই নেতাকর্মীদের বসার জায়গা করে দেয়ার জন্য কার্যালয়টি করা হচ্ছে বলে জানান ছাত্রলীগের ওই নেতা।
তবে কার্যালয়ের জায়গা কলেজের নয় দাবি করে তিনি বলেন- ‘যে জায়গায় তিনি কার্যালয় নির্মাণ করছেন এটি রাস্তার জায়গা।’
এদিকে, ছাত্রলীগ নেতা হিরণ মাহমুদ নিপুর দখলকৃত জায়গাটি কলেজের বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমসি কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ বাংলামেইলকে বলেন, ‘এমসি কলেজের ছাত্রবাসের পশ্চিমের ছড়া ও পার্শ্ববর্তী রাস্তার পাশের জায়গাও কলেজের। ওই জায়গায় রাজনৈতিক দলের সাইনবোর্ড লাগিয়ে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর তিনি সরেজমিনে ওই এলাকা পরিদর্শন করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে এসেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থাপনা না সরালে কলেজের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের জনসভায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। ওই কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন হিরণ মাহমুদ নিপু। অভিযোগ রয়েছে তার নেতৃত্বেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন
সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেঞ্চুগঞ্জে দুটি বগি লাইনচ্যুতবিস্তারিত পড়ুন
সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
গত কয়েকদিনের অবিরত হালকা ও ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি এবং ভারতবিস্তারিত পড়ুন