বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

পিতা হারানো অসহায় কলেজ ছাত্রীর ইজ্জতের মুল্য তিন লাখ টাকা, চেয়ারম্যানের যোগসাজসে রফাদফা!!

মহিনুল ইসলাম সুজন, ক্রাইমরিপোর্টার নীলফামারীঃ

নীলফামারীর ডিমলায় কলেজ ছাত্রীর ও প্রভাষকের গোপন বিয়ের ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলেও অবশেষে উক্ত ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের যোগসাজসে বিষয়টি প্রায় তিন লাখ টাকার বিনিময়ে রফাদফার অভিযোগ উঠেছে।

যার অর্থের ভাগ পেয়ে বেশ সন্তোষ্ঠ ডিমলা থানা পুলিশও! ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সাফ প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিয়েেছন তিনি শুধুমাত্র টাকায় বিশ্বাসী অন্য কোনো কিছুতে নয়!

পিতা হারানো অসহায় কলেজ ছাত্রী মেয়েটি অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি বিবেচনা না করবার অনুরোধ জানালেও অবশেষে মঙ্গলবার স্হানীয় চেয়ারম্যান-আব্দুল লতিফ খানের চাপে আপোষ-মিমাংসায় বাধ্য হয়েছেন মেয়ের পরিবারের লোকেরা।যা নিয়ে গোটা জেলা জুড়েই শুরু হয়েছে সমলোচনার ঝড়।

ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের গহরপুর বিএমআই কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক ও পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ছাতনাই ফুলছড়ি গ্রামের আরফান আলীর পুত্র আহসান হাবীব(৩৮), একই এলাকার গোপন স্ত্রী ও মৃত্য ফজলুল হকের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ফেরদৌস জান্নাত রুমা(২০)এর বাড়ীতে গোপনে প্রায় দিনের মত দেখা করতে গেলে এলাকাবাসীসহ ওই ছাত্রী মেয়েটি নিজের স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে প্রভাষক হাবীবকে আটেিকয় রাখেন।পরে ছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক আব্দুল লতিফ খান, ছাতনাই কলোনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ, জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মতিন খান মতি সহ স্হানীয়রা ঘটনাস্হলে ছুটে যান।

এক পর্যায়ে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,প্রভাষক আব্দুল লতিফ খান অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করলে অসহায় কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী তাতে অসীকৃতি জানান।

পরে সেই রাতেই প্রভাষক স্বামী হাবীবকে পাচ লাখ টাকা মুক্তিপনের দাবিতে আটকিয়ে রেখেছে মর্মে উদ্ধারের দাবীতে অপর স্ত্রী খাদিজা খাতুন(২২) ডিমলা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ রাতেই প্রভাষক আহসান হাবীবকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।এর অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই অসহায় কলেজ ছাত্রীর পক্ষ হতে প্রভাষক হাবীবের বিরুদ্ধে অপর একটি ধর্ষনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে ডিমলা থানা পুলিশ হাবীবকে গ্রেফতার দেখিয়ে ছেড়ে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
শুরু হয় ড্রামা!

পরের দিন মঙ্গলবার(২৮শে মার্চ) সকালে উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান-লতিফ খান কলেজ ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধেই তার পরিবারের লোকেদের হুমকি-ধামকি দিয়ে দুই লাখ পচাত্তর হাজার(২,৭৫০০০)টাকার বিনিময়ে আপোষ-মিমাংসার জন্য নাটকীয় ডিভোর্সের মাধ্যমে বিষয়টি রফাদফা করতে উভয় পক্ষকে একমত হতে বাধ্য করেন।
যার মধ্যে ডিমলা থানা পুলিশ নগদে পেয়েছেন পনের হাজার (১৫০০০)টাকা এবং সম্ভ্রম হারানো কলেজ ছাত্রী উপস্হিত আংশিক কিছু টাকা পেলেও বাকী পুরো টাকা সে পাবার কথা রয়েছে!

অবশ্য অনেকেই বলছেন পুরো টাকার শিংহ ভাগই চলে যাবে প্রভাবশালীদের পকেটেই!

এ ঘটনায় উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খানের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারই স্ব-এলাকার সাধারন মানুষজন।

মঙ্গলবার গনমাধ্যমকর্মীরা সরেজমিনে ঘটনাস্হলে গেলে একাধিক স্হানীরা অভিযোগ করে বলেন,চেয়ারম্যান সাহেব আব্দুল লতিফ খান কোনো ভাবেই পিতা হারানো অসহায় কলেজ ছাত্রী মেয়েটির স্ত্রী’র স্বীকৃতির দাবিটি গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো বিষয়টি আপোষ-মিমাংসা করাটি কোনো ভাবেই ঠিক করেননি।

তারা অভিযোগ করে বলেন,আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-আব্দুল লতিফ খান নিজেই তো ব্যক্তিগত জীবনে দুটি বিবাহ করে সামাজিক ভাবে জীবন-যাপন করে আসলেও অভিযুক্ত প্রভাষক হাবীবকে বাচাতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন।তিনি(চেয়ারম্যান) প্রভাষক হয়ে দুটি স্ত্রী নিয়ে যদি সামাজিক ভাবেই সমাজে বসবাস করতে পারেন,তবে অভিযুক্ত আর এক প্রভাষক হাবীবের বেলায় তা কেনো বেমানান ও অপরাধ হবে?আর দুটি বিবাহ যদি সত্যি বেমানান ও অপরাধ হয়ে থাকে তবে চেয়ারম্যান সাহেব নিজেই কেনো তা করেছেন?

আমরা সাধারন জনগন এখন আর এত বোকা নেই-আমরা সবই বুঝি, সবই জানি।
আসলে এত সব নাটকের পিছনে একমাত্র চেয়ারম্যানেই দায়ি!
তিনি সর্প হয়ে দংশন করছেন আবার ওঝা হয়েও ঝাড়ছেন!
আর এতকিছুর মুল হল টাকা——-ই!
স্হানীয় অনেকেই উক্ত চেয়ারম্যান লতিফ খানের বিরংদ্ধে আরো অভিযোগ তুলে বলেন,চেয়ারম্যান লতিফ খান তিনমাস আগে বিএনপি নেতা থাকলেও এখন আওয়ামীলীগে যোগদান করে হয়ে গেছেন রাতা-রাতি আওয়ামীলীগের খুব বড় হাইব্রীড নেতা।
এর আগে তিনি এরশাদ সরকারের আমলে ছিলেন জাতীয় পার্টির নেতা!
তিনি যখন যে দল ক্ষমতায় আসেন সে দলে যোগদান করে নিজের যত অপকর্ম বহাল-তবিয়তে চালিয়ে যেতেই!

তাই আজ তিনি(চেয়ারম্যান) অসহায় কলেজ ছাত্রীর বিষয়ে যা করলেন তা আমরা এলাকাবাসী খুব যতœ করেই মনে রাখব।এবং এর সঠিক জবাবও সময় সাপেক্ষে তিনি পাবেন।এ সময়ে তারা অসহায় মেয়টির স্ত্রী স্বীকৃতির জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খানের সাথে কথা বলতে তার ব্যবহৃত-(০১৭১৩৭২৭৯৫৫/০১৭১২২৩৬০০১)দুটি ফোন নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি।

এদিকে ডিমলা থানার ওসি-মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,উভয় পক্ষ স্হানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করেছেন।

এবং অভিযোগ পত্র তুলে নিয়েছেন।থানা পুলিশ মিমাংসার জরিমানা করা টাকা বাবদ পনের হাজার টাকা কেনো নিলেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, আমাকে কোনো টাকা দেয়া হয়নি ও আমরা(পুলিশ) কোনো টাকা নেইনি।তারা কত টাকায় আপোষ করেছেন আমরা সেটিও বলতে পারবোনা।

তবে ওসি’র রুমে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এবং ওসি এ ঘটনা সংক্রান্ত আলোচনা সহ এক পর্যায়ে টাকা লেনদেনের সময় উপস্হিত স্হানীয় বেশকিছু গনমাধ্যমকর্মীরা ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে এত বড় ঘটনা ধামা-চাপা দিতে প্রকাশ্যে টাকা নেয়ার ব্যাপারটি কেমন হয়ে যাচ্ছে প্রশ্ন করলে-তিনি সাফ জানিয়ে দেন,আপনারা (গনমাধ্যমকর্মীরা)যত পারেন আমার বিরুদ্ধে লেখেন, আমার কিছুই করতে পারবেননা।

এ সময় তিনি আঙ্গুল দিয়ে তিনি ঈসারায় দেখিয়ে দিয়ে বলেন,আমি শুধুমাত্র টাকায় বিশ্বাসী টাকায়!

গহরপুর বিএমআই কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান আহম্মেদকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। উক্ত প্রভাষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

অভিযুক্ত আহসান হাবীব বলেন, রুমার সাথে আমার দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল তবে বিয়ের বিষয়টি সত্য নয়।

স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়া কলেজ ছাত্রী ফেরদৌস জান্নাত রুমা এই প্রতিবেদককে বলেন, ২০১২সালে গহরপুর বিএমআই কলেজে পড়ার সময় ইংরেজি বিষয়ক শিক্ষক আহসান হাবীব প্রেমের প্রস্তাব দেয়। পরবতীতে ২০১৩ সালে রুমাকে আহসান হাবীব বিয়ে করেন। ২০১৪ সালে রুমা উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করে নীলফামারীর নার্সিং কলেজ ভর্তি হয়। তারা দীর্ঘদিন দুইজনে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে নীলফামারী শহরে বাসা ভাড়া নিয়েও ছিলেন।গত ২০১৫ সালে তার স্বামী আহসান হাবীব রাজশাহীতে মোবাইল প্রেমের সুত্রে গোপনে হাফিজা খাতুন নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেন। খাদিজাকে বিয়ের পর আহসান হাবীব রুমাকে এক সময় অস্বীকার করে এড়িয়ে চলেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দাদা আটক নীলফামারীতে

নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ৬০ বছর বয়সীবিস্তারিত পড়ুন

নীলফামারীর জলঢাকায় ট্রাক চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু !

এম ইসলাম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ- নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ডোমার সড়কের দুন্দিবাড়িবিস্তারিত পড়ুন

নীলফামারীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ইটবোঝাই ট্রলির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে নিহতবিস্তারিত পড়ুন

  • মায়ের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে মেয়ের আত্মহত্যা
  • নীলফামারীতে ধর্ষণের পর গৃহবধূকে হত্যা
  • ডিমলায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে নিহত ১, ও আহত ৪
  • নীলফামারীতে ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী ৫ মাসের অন্ত:সত্বা
  • ডিমলায়-অবৈধ ভাবে বন বিভাগের গাছ ও বাশঁ কাটার ধুম! এলাকা জুড়ে তোলপাড়
  • ডিমলায় ইয়াবা ও হেরোইন সহ গ্রেফতার-২
  • “বোমা ফাটিয়ে পুলিশ মেরেছে, বিদ্যুতের খুটি উপড়ে ফেলেছে, এরা দেশের মানুষের ভালো চায়না”
  • নীলফামারীতে অজ্ঞাত হিজড়ার গলা কাটা লাশ উদ্ধার!!
  • জলঢাকায় অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে ১৫টি ঘর।
  • ডিমলায়-মুক্তিযোদ্ধাদের আমরন অনশন ভাঙ্গালেন এমপি আফতাব
  • ট্রাক্টরের ধাক্কায় মা ও শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু