কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গির লাশ নিতে পুলিশকে চিঠি
জঙ্গিদের মরদেহ রাখতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) কর্তৃপক্ষ। মর্গের ভেতর এ পর্যন্ত রাখা হয়েছে ১৩ জঙ্গির মরদেহ। এর মধ্যে ৯ জঙ্গির মরদেহ পড়ে আছে ৪০ দিন ধরে। এদিকে প্রতিদিনই ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে আসছে কমপক্ষে ৫ থেকে ৭টি মৃতদেহ। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গির মরদেহ সরিয়ে নেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ।
কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গির মরদেহ ঢামেক মর্গ থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগস্টের শেষ সপ্তাহে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে কোনও সুরাহা না হওয়াতে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ মর্গে মরদেহ সংরক্ষণ নিয়ে বিপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
গত ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন স্টর্ম-২৬ নামে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। এ ঘটনায় ৯ জন জঙ্গি নিহত হয়। এসব জঙ্গির ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ মর্গের মরচুয়ারিকুলারে রাখা হয়েছে।এরপর গত ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে পৃথক একটি জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭ নামে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর আরেক অভিযানে নিহত হয় গুলশান শোলাকিয়া হামলার মাস্টার মাইন্ড জঙ্গি তামিম চৌধুরী ও তার দুই সহযোগী মানিক এবং ইকবাল এবং গত ২ সেপ্টেম্বর মিরপুরে আরেকটি অভিযানে মেজর মুরাদ ওরফে জাহিদ নামে আরেক জঙ্গি নিহত হয়। এদের সবার মরদেহ রাখা হয়েছে ঢামেক মর্গে।এদিকে প্রতিদিন স্বাভাবিক নিয়মেই মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য আসছে ৫ থেকে ৭টি করে মরদেহ। এগুলোও অনেক সময় মর্গে রাখার দরকার পড়ে। ফলে ঢামেক মর্গে মরদেহ রাখার জন্য স্থান সংকট এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘স্থান সংকুলান না হওয়াতে তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষকে তারা চিঠি দিয়েছেন। আর অধ্যক্ষ মো. ইসমাইল খান এই বিষয়টি অবগত করে চিঠি দিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে।ওই চিঠিতে কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গির মরদেহ সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইসমাইল খান বলেন,‘বিষয়টি নিয়ে মহাবিপদে আছি।’ তিনি আরও জানান, ‘আমি প্রথমে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি।কিন্তু এখনও তাদের কাছ থেকে কোনও জবাব পাইনি।’
অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন আরও বলেন, ‘এই মরদেহগুলো হস্তান্তর হলে আমাদের অনেক জায়গা বেড়ে যাবে। জরুরি প্রয়োজনে আমরা মরদেহ রাখতে পারবো কিন্তু এখন সেই ব্যবস্থাও নেই। আমরা পুলিশ কমিশনারকে এবং শাহবাগ থানাকেও জানিয়েছি মরদেহগুলো ডিসপোজ করার জন্য সরকারী নিয়ম অনুযায়ী।’
এদিকে, ঢামেক থেকে চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন,‘আমরা চিঠি পেয়েছি। লাশগুলোর ডিসপোজাল কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ করেছেন। কিন্তু, যেহেতু এখনও এ বিষয়ে মামলা চলছে তাই বিষয়টি তদন্তকারী সংস্থার এখতিয়ারে। তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন