কাউন্সিল অধিবেশনেও শেখ হাসিনার সরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে নেতৃত্ব নির্বাচনে অধিবেশন শুরুতে আবারও দলের সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই অধিবেশন শুরু হয়। শেখ হাসিনার সরে যাওয়ার কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে কাউন্সিলররা সবাই এক যোগে বলতে থাকেন, তারা তা চান না।
তবে শেখ হাসিনা আবার বলেন, ‘আমি ৩৫ বছর দলের সভাপতি, আর চাই না।’
এই পর্যায়ে কাউন্সিলররা সমস্বরে বলে উঠেন, ‘না’।
এর আগে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়, মানুষের উন্নয়ন হয়। আমরা পদ্মাসেতুর কাজ শুরু করেছি। যারা এই প্রকল্পে দুর্নীতি খুঁজেছিল তারা আজ ভুল বুঝতে পেরেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমরা জনগণের সেবক, এটা মনে রাখতে হবে সব সময়। কল্যাণমুখী রাজনীতি করতে হবে। স্কুলে বাচ্চাদের খাবার দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প করেছি, একে বেগবান করতে হবে।’
সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লাগোয়া ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হওয়া এই অধিবেশনেই জাতীয় সম্মেলনের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র সংশোধন ও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে।
দ্বিতীয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর নির্ধারিত সময়ের খানিক আগে সম্মেলন স্থলে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের ছয় হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলররা এর আগেই যেখানে আসেন।
আওয়ামী লীগের অন্যান্য বছরের জাতীয় সম্মেলনগুলোর তুলনায় এবারের সম্মেলনটি অনেক দিক থেকেই আগ্রহোদ্দীপক। সভাপতির পর থেকে শেখ হাসিনার সরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ, কাউন্সিলরদের তা না চাওয়ার কথা জানানো, সাধারণ সম্পাদকের পদে হঠাৎ ওবায়দুল কাদেরের নাম উঠা-এসব কারণে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি আগ্রহ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক সচেতন অন্যদের মধ্যেও।
সম্মেলনের তিন দিন আগে হঠাৎ ওবায়দুল কাদেরের নামে গুঞ্জন তৈরির পর ফেইসবুকে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেন তার সমর্থক ও অনুসারীরা। তবে এই পদে তিনি একক প্রার্থী- এই বিষয়টি নিশ্চিত নয় বলেই জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
এই সম্মেলনকে ঘিরে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কন্যা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাউন্সিলর হিসেবে প্রথমবারের মতো সম্মেলনে যোগ দেয়া, অভিমান করে দীর্ঘদিন দল থেকে দূরে সরে থাকা জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে সোহেল তাজের যোগদানকে কেন্দ্র করেও।
সম্মেলনের প্রথম দিন কাউন্সিলরদের বক্তব্য জয়কে নেতৃত্বে আনার দাবি উঠার পর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্পষ্টতই জানিয়েছেন, আগামী দিনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেবেন জয় এবং তার বন্ধুরাই।
সোহেল তাজের কী হবে-সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু জানা না গেলেন আলোচনা আছে যে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সরকারি হজ প্যাকেজ ‘প্রত্যাখান’ করে পাল্টা প্যাকেজ এজেন্সিগুলোর
সম্প্রতি আগামী বছরের জন্য হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।বিস্তারিত পড়ুন
সমালোচনার মুখে সাদ্দামের সাক্ষাৎকার স্থগিত করলো ‘ঠিকানা’
সমালোচনার মুখে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সাক্ষাৎকারবিস্তারিত পড়ুন
ফের মার্কিন মসনদে ট্রাম্প
ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডন্টে নির্বাচিত হয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন