কাজী আরেফের তিন খুনীর ফাঁসি কার্যকর আজ
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফ আহমেদ হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির রায় আজ বৃহস্পতিবার রাতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর হবে। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কেন্দ্রীয় এই নেতাকে ১৯৯৯ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়।
যাদের দণ্ড কার্যকর হবে তারা হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার রাজনগর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাফায়েত হোসেন হাবিব, মিরপুর উপজেলার কুর্শা গ্রামের উম্মতের ছেলে আনোয়ার হোসেন এবং আবুল হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম ঝন্টু।
যশোরের পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান জানান, তিনিসহ জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনসহ কারা কর্তৃপক্ষের চিঠি পেয়েছেন। ফাঁসির রায় কার্যকরকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, ইতোমধ্যে তিনজনের ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
১৯৯৯ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় জাসদের একটি সমাবেশে দুর্বৃত্তরা ব্রাশফায়ার করলে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফসহ পাঁচজন নিহত হন। ঘটনার পরদিন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইসহাক আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার বিচার শেষে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট ১০ আসামিকে ফাঁসি ও ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। পরে একজনকে খালাস দিয়ে অপর নয়জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনের সবাইকে হাইকোর্ট খালাস দেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের মধ্যে তিনজনের আপিল আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনের সবাইকে হাইকোর্ট খালাস দিয়ে যে রায় দেন, সে রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন