শনিবার, অক্টোবর ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

কান্না যখন রক্তধারা! (ভিডিও সহ)

সময়টা ২০০৯ সালের নভেম্বর মাস। একদিন হঠাৎ করেই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লেন দিল্লির মেয়ে প্রীতি। তার বয়স তখন মাত্র ১০। সেবার প্রীতি সুস্থ তো হয়ে গেল, কিন্তু দেখা দিল আরেক বিপদ!

এরপর থেকে প্রীতি যখনই কাঁদত বা কোনো কারণে কান্না পেত, তখনই তার চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ দিয়ে রক্ত বের হওয়া শুরু হলো। অনেকটা চোখ ফেটে জল বেরনোর মতো, চোখ ফেটে রক্ত।

প্রীতির বাবা-মা পড়লেন মহাচিন্তায়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো। ডাক্তাররাও এ অদ্ভুত রোগের কারণ ও চিকিৎসার কোনো উপায়ান্তর বের করতে পারছেন না। এদিকে মেয়ের অবস্থাও দিনকে দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।

চিকিৎসকদের ধারণা ছিল, এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা থেকে এমনটা হচ্ছে। হয়ত অপ্রকাশিত কোনো মানসিক আঘাত তার ভেতরে বসে গিয়ে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করেছে।

কিন্তু এসবই ছিল কেবলমাত্র ধারণা। তাতে প্রীতির কোনো উপশম হয়নি। এভাবে কেটে গেল পাঁচ বছর। তার অবস্থা আগের মতোই। এর মধ্যে বড় বড় ডাক্তার-বৈদ্য, যে যেভাবে বলছেন সেভাবে চেষ্টা করছেন বাবা-মা। কিন্তু অসুখ সারবার কোনো লক্ষণ নেই।

শোনা যাক বাবা মনোজ গুপ্তের মুখে, আমরা ভেবেছিলাম ইনফেকশনের কারণে এমনটা হচ্ছে, ডাক্তার দেখালেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু পুরো ব্যাপারটিই ছিল আমাদের ধারণার উল্টো। কেউই ধরতে পারছিল না সমস্যা আসলে কোথায়।

একই কথা মাধ্যমিকের ছাত্রী প্রীতিরও, যখন চোখ দিয়ে রক্ত বের হতো, তখন এত কষ্ট হতো যে আমি সহ্যই করতে পারতাম না! পরে শরীরের অন্যান্য জায়গা, যেমন হাত-পায়ের নখ, হাঁটু দিয়েও রক্ত বের হতো। আমি শুধু ভাবতাম, আমার সঙ্গে এমন কেনো হচ্ছে!

এই ‘এমন কেনো হচ্ছে’ জানতেই এর মধ্যে প্রীতির বাবার খরচ হয়ে গেছে প্রায় লাখ দশেক টাকা। এদিকে সরকারী চাকরিজীবী বাবার মাসিক বেতন সর্বসাকুল্যে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৫ হাজার টাকা।

অবশেষে মুশকিলে আসান করলেন ড. শশীধর। তিনি একজন পেডিয়াট্রিক ইএনটি কনসালট্যান্ট। অনেক হাত ঘুরে প্রীতির কেস গিয়ে পড়ে তার হাতে। এরকম অদ্ভুত রকমের কিছু রোগ নিয়ে পত্রিকায় ড. শশীধরের একটি লেখা পড়ে, মেয়েকে নিয়ে সোজা তার কাছেই চলে যান মনোজ।

শোনা যাক ডাক্তারের মুখেই, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় প্রীতির রোগটির নাম হ্যামোল্যাক্রিয়া। এ রোগে সাধারণত শরীরের যে কোনো ‍অংশ দিয়ে রক্ত বের হয়। নাক দিয়ে বের হওয়া পর্যন্ত আমরা স্বাভাবিক ধরে নিই। কিন্তু অন্য অংশ দিয়ে বের হওয়া শুরু হলে অস্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায়।

সময়ের কারণে প্রীতির ব্যাপারটি একটু জটিলই ছিল। আপাতত তার রোগটি বের করা গেছে, চিকিৎসাও চলছে। সামান্য উন্নতিও লক্ষ্য করছি, যোগ করেন তিনি।

ড. শশীধরের আশা, মেয়েতুল্য প্রীতির দুঃস্বপ্ন শিগগিরই কেটে যাবে। জেদ চেপে গেছে তারও, এর শেষ না দেখে ছাড়বেন না তিনি!
https://youtu.be/W09g-7MROk8

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

প্রকাশ্যে জানালেনঃ দুই পরিচালকের সঙ্গে ‘প্রেম’ ছিল পায়েলের

টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্বনামধন্য দুজন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও আবিরবিস্তারিত পড়ুন

আলোচিত বাবা রাম রহিমের আয় কত, অনেকেই জানেনা?

ভারতের বিতর্কীত ধর্মগুরু বাবা রাম রহিমের পঞ্জাব, হরিয়ানায় স্থাবর সম্পত্তিরবিস্তারিত পড়ুন

  • বিকিনি ছবি পোস্ট করে আলোচনায় আসার চেষ্টা!
  • অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাতে কঠোর হচ্ছে ভারত
  • ফাঁকা ঘরে একা পেয়েছিলেন নিজের বউদিকে, অতঃপর যা ঘটল তা কল্পনার বাহিরে ….
  • মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে নগ্ন করে পিটিয়ে হত্যা
  • দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান, যে ৫ কারণে ‘চ্যাম্প’ দেখবেন
  • নিজের ছেলের সঙ্গে ছবি তুলে মিডিয়ার ‘ট্রোল’ হচ্ছেন শ্রাবন্তী
  • বিয়ের পরেই শ্বশুরবাড়িতে এমন কাজ করলেন নববধূ যে, লজ্জায় পড়লেন পরিবারের সকলে
  • দুই সন্তানের জীবন বাঁচাতে পুলিশের দ্বারস্থ মা
  • বন্ধক রাখা ছেলেকে ছাড়ানোর টাকা জোগাড় করতে গিয়ে নিখোঁজ মা
  • স্ত্রী’কে বের করে দিয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ করল শিক্ষক
  • আবুল খায়ের গ্রুপে আকর্ষণীয় পদে চাকরির সুযোগ
  • ঘুম থেকে ডেকে না দেওয়ার ‘অপরাধে’ রেলকে ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ