শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা কামরুল ইসলামকে সিলেটে নিয়ে আসা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে কামরুলকে নিয়ে সড়ক পথে ঢাকা থেকে সিলেটে পৌঁছায় পুলিশ।

কামরুল ইসলামকে সরাসরি নগরীর নাইওরপুলস্থ সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এখানে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কামরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হবে।

তিনি বলেন, রাজন হত্যা মামলার অপর দুই পলাতক আসামি পাভেল ও শামীমকে গ্রেফতার করতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।

এক প্রশ্নের জবাবে কামরুল আহসান জানান, কামরুলের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রুকন উদ্দিন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. রহমত উল্লাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে পুলিশের ৩ সদস্যের একটি দল কামরুল নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। পরে সন্ধ্যার দিকে তাকে সড়ক পথে সিলেটে আনে পুলিশ।

সৌদিতে যাওয়া ওই দলের সদস্যরা হলেন- পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত সুপার মাহাবুবুল করিম, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার এ এফ এফ নেজাম উদ্দিন।

কামরুলকে দেশে আনতে গত সোমবার তারা সৌদি আরবে যান। ইন্টারপোলের মাধ্যমে কামরুলকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন সৌদিতে পালিয়ে যায় কামরুল।