শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

কারখানার শ্রমিকের সঙ্গে প্রেম করায় মেয়ের লাশ গুম!

নরসিংদীতে অষ্টম শ্রেণি পাস টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিকের সঙ্গে প্রেম করত কলেজপড়ুয়া মেয়ে মনিরা বেগম (১৮)। বিষয়টি মানতে পারেননি বাবা। এ কারণে ছেলেকে নিয়ে মেয়ের লাশ গুম করেন তিনি।

মনিরার মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বাবা ও ভাই বুধবার জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তারা দাবি করেন, মনিরাকে হত্যা করেননি। মারধর করার পর মনিরা আত্মহত্যা করে। তারা মানসম্মান হারানোর ভয়ে মনিরার লাশ গুম করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. বশির।

গত রোববার রাতে পুলিশ শিবপুর উপজেলার শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে নরসিংদী ইমপেরিয়াল কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মনিরার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। মনিরা শেরপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের চতুর্থ মেয়ে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শেরপুর গ্রামের অষ্টম শ্রেণি পাস নোবেল মিয়ার সঙ্গে মনিরার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নোবেল মিয়া একটি টেক্সটাইল মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। দেড় বছর ধরে তাঁরা গোপনে প্রেম করে আসছিলেন। কিছুদিন আগে এলাকায় তা প্রকাশ পায়। কয়েকদিন পর পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেন। কিন্তু তাঁরা বিষয়টি সহজে মেনে নিতে পারেননি। এক সপ্তাহ আগে মনিরার বাবা খোরশেদ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি কোনোভাবেই এই সম্পর্ক মেনে নেবেন না। মনিরাও বেঁকে বসেন। একপর্যায়ে মনিরার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালান বাবা।

মনিরার বাবা খোরশেদ আলম জবানবন্দিতে বলেন, গত ২৪ অক্টোবর মনিরার সঙ্গে তাঁদের বাকবিতণ্ডা হয়। ওই দিনই মনিরাকে মারধর করেন তিনি। এজন্য তাঁর মেয়ে ক্ষোভে দুঃখে আত্মহত্যা করেন। পরদিন সকালে তারা ঘরে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। মানসম্মান হারানোর ভয়ে ওই দিন রাতে তিনি ছেলেকে নিয়ে বাড়ির পাশের নির্জন স্থানে মনিরার মৃতদেহ মাটিচাপা দেন। বাড়ির অন্য সদস্যরা কান্নাকাটি করতে চাইলেও তিনি করতে দেননি।

এদিকে সাতদিন পর ধীরে ধীরে শেরপুর স্কুলের পাশে লাশ পচা দুর্গন্ধ বের হলে লোকজন পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে পরিবারের সব সদস্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। এতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ আরো বাড়ে। পরে পুলিশ এসে রোববার রাত ৯টার দিকে মাটি খুঁড়ে মনিরার লাশ উদ্ধার করে।

পরে ‘হত্যাকাণ্ডে’ জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার জেলার শিবপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া থেকে মনিরার বাবা খোরশেদ আলম ও ভাই সোহেল মিয়াকে আটক করে শিবপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা করে।

এএসপি বশির জানান, আপাতত আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও লাশ গুম করার অভিযোগে মামলা দিয়ে মনিরার বাবা ও ভাইকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে হত্যার প্রমাণ পেলে তা হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

নরসিংদীর লটকন দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় এ বছর ১৬ শতক হেক্টরে লটকন চাষবিস্তারিত পড়ুন

নরসিংদীতে ট্রাক-প্রাইভেট কার সংঘর্ষ, ওসিসহ নিহত ২

নরসিংদীতে ট্রাক ও প্রাইভেট কার মুখোমুখি সংঘর্ষে হাইওয়ে থানার ওসিসহবিস্তারিত পড়ুন

ছাগল নিয়ে ঝগড়ায় ঘুষিতে প্রতিবেশীর মৃত্যু

ছাগল নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ঘুষিতে এক প্রতিবেশীর মৃত্যু হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন

  • নরসিংদীতে মাএ দেড়শ’ টাকার জন্য বন্ধুকে হত্যা!
  • নরসিংদীতে ‘জঙ্গি আস্তানা’ ঘিরে রেখেছে র‍্যাব
  • কবির ওপর হামলা, আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
  • “স্বপ্নের পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন মডেল অভিনেত্রী মিহি আহসান”
  • আ’লীগের দুপক্ষের টেঁটা-বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ২
  • নরসিংদীতে ছাত্রদল নেতার জন্মদিন পালন
  • টাঙ্গাইলে ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে খুন হলেন ভাসুর
  • নরসিংদীতে মাইক্রো-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নিহত ৩
  • নরসিংদীতে শীতলক্ষ্যার পাড়ে ১৪ বছর বয়সী অজ্ঞাত কিশোরীর লাশ
  • নরসিংদীতে দুটি কোয়েল পাখির ডিমের জন্য মেয়েকে হত্যা করলো সৎ মা!
  • নরসিংদীর কৃতি সন্তান: স্বপ্ন ছিলো সেনাবাহিনী হলেন অভিনেতা
  • মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শেষ রক্ষা হলো না আগুনে পুড়ে যাওয়া উত্তম দাসের