কারাবন্দিদের অর্থদণ্ড পরিশোধে আদালতের অনুমতি লাগবে না
কারাদণ্ডের সঙ্গে অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাভোগ শেষে অর্থ পরিশোধে এখন থেকে আর আদালতের অনুমতি লাগবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকে সরাসরি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে এই অর্থ পরিশোধ করা যাবে।
সেই চালানের কপি জমা দেওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ চালানটির সঠিকতা ও সাজা পরোয়ানায় উল্লিখিত অর্থের পরিমাণ যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার পর আসামিকে মুক্তি দেবেন।
চলতি বছর ফুলকোর্ট সভায় এই বিষয়টি অনুমোদিত হলেও মঙ্গলবার এই নির্দেশনা জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত কারা ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত কারাবন্দিদের অর্থদণ্ড পরিশোধ সহজীকরণ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও রয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, রায় প্রদানকারী আদালত যে জেলায় অবস্থিত বা যে জেলার কারাগারে আসামি অবস্থান করছেন, সেই জেলার ওই ব্যাংকে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে এই অর্থ জমা দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে দায়রা বা সমপর্যায়ের আদালতের জন্য ১-২১৪১-০০০০-১৯০১, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষেত্রে ১-২১০৭-০০০০-১৯০১ ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষেত্রে ১-২১০৮-০০০০-১৯০১ ট্রেজারি চালানের কোড নম্বর হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
নির্দেশনার শুরুতেই বলা হয়, প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে, সাধারণত অর্থদণ্ডসহ কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিরা সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার কাছাকাছি সময়ে বা শেষ হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে অর্থদণ্ড পরিশোধে আগ্রহী হন। বিদ্যমান কারাবিধি অনুযায়ী, কারা কর্তৃপক্ষ বরাবর অর্থদণ্ড সরাসরি পরিশোধের সুযোগ না থাকায় সাজাপ্রাপ্ত অধিকাংশ কারাবন্দির প্রতিনিধি বা নিকট আত্মীয়দের পক্ষে আদালতে গিয়ে অর্থদণ্ড পরিশোধ করা সহজসাধ্য হয় না।
এতে আরও বলা হয়, অর্থ পরিশোধে অনেক ক্ষেত্রে আইনজীবীর শরণাপন্ন হতে হয়। মামলার নথি তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায় না, ক্ষেত্রভেদে ঊর্ধ্বতন আদালতে নথি পাঠানোর কারণে তা সংশ্লিষ্ট আদালতে সংরক্ষিত থাকে না—এসব কারণে সহজে অর্থদণ্ড পরিশোধ করা সম্ভব হয় না। আবার দণ্ড প্রদানকারী আদালত থেকে কারাবন্দী দূরবর্তী ভিন্ন জেলার কোনো কারাগারে আটক থাকলে বা তাঁর আত্মীয়স্বজন দূরে বসবাস করলে অর্থদণ্ড পরিশোধ কষ্টসাধ্য, সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে।
এসব জটিলতার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কারাবন্দিরা সময়মতো অর্থদণ্ড পরিশোধ করতে না পেরে অতিরিক্ত কারাদণ্ড ভোগ করেন। ফলে বন্দীর কারাবাস দীর্ঘায়িত হয়। সরকারের ব্যয় বাড়ে এবং কারাগারে বন্দীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনার অনুলিপি আইজি প্রিজন, দেশের সব জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ বিভিন্ন আদালতে, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সব কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন