কারা হচ্ছেন ফেনী বিএনপির কাণ্ডারি
আগামী ১৯ মার্চ বিএনপির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণার পর সারাদেশের ন্যায় নড়েচড়ে বসেছেন ফেনী জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরাও। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিজ জেলায় দলের কাণ্ডারি কে হবেন তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শীর্ষ নেতৃত্বে জায়গা পেতে পদ-প্রত্যাশীরাও গুলশান কার্যালয়ে নানাভাবে চেষ্টা-তদবির চালাচ্ছেন। মাঠপর্যায়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা না হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পছন্দের নেতাদের পক্ষে জোরালো প্রচারণা চালাচ্ছেন অনুসারীরা।
দলের বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই মেজর (অব:) সাঈদ এস্কান্দারকে সভাপতি ও জিয়াউদ্দিন মিষ্টারকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সাঈদ এস্কান্দার মারা যাওয়ার পর সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহেরকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। দুই বছর মেয়াদের ওই কমিটি চলছে সাত বছর। ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণার পর থেকে ফেনী বিএনপির পদপ্রত্যাশীরা নানাভাবে চেষ্টা-তদবির শুরু করেছেন।
নতুন কমিটির সভাপতি পদে সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি, বর্তমান জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের নাম আলোচনায় রয়েছে। এ পদে স্থান পেতে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনির আগ্রহ থাকলেও দলের অবস্থান ‘এক নেতার এক পদ’ নীতিতে থাকায় তিনি দোটানায় রয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে কোনো নেতা দুই পদে থাকতে পারবেন না।
এদিকে দলের একটি শক্তিশালী গ্রুপ সাবেক মহিলা এমপি রেহানা আক্তার রানুকে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে দেখতে চান। তাকে সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক যে কোনো পদে আনার ইচ্ছা ওই গ্রুপের।
একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্ভরযোগ্য সভাপতি পেলে রানু সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন। তবে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম-সম্পাদকের পদ নিয়ে রানু থাকতে আগ্রহী বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে।
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমদ মিষ্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মিজানুর রহমানের নাম আলোচনায় রয়েছে। এ পদে জেলার তরুণ নেতাকর্মীদের পছন্দের তালিকায় বর্তমান প্রচার সম্পাদক ও যুবদল সভাপতি গাজী হাবিব উল্লাহ মানিকের নামও আলোচনায় এসেছে।
কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুর পছন্দও ফ্যাক্টর হতে পারে বলে দলের একটি অংশ মনে করছেন। কারণ সাবেক দুই সভাপতি মেজর (অব:) সাঈদ এস্কান্দার ও মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের ইন্তেকালের পর তিনি জেলা বিএনপির দেখভাল করেন। এক্ষেত্রে বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের বলেন, কমিটি পুনর্গঠনের বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমি অবগত নই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুনর্গঠনের চিঠির আলোকে আমরা কাজও অনেক দূর এগিয়েছি।
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমদ মিষ্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি অসুস্থ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি বলেন, কমিটি পুনর্গঠনের ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-মহাসচিব মো. শাহজাহান চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। আগামী সপ্তাহে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তখন আলাপ-আলোচনা করে বলা যাবে।
দল পুনর্গঠনের লক্ষ্যে গত ১০ আগস্ট দলীয় চেয়ারপারসনের নির্দেশে যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মদ শাহাজাহান ফেনী জেলা বিএনপির কাছে চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিল করতে বলা হয়েছিল। ওই চিঠির আলোকে সবকটি উপজেলা ও পৌর নেতাদের সঙ্গে জেলা নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট শাখার নেতাদের কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করার নির্দেশ দেয়া হলেও সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার ইশারা না পাওয়ায় কোনো শাখায় কাউন্সিল করতে আগ্রহ দেখায়নি স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা। এছাড়া সদর ও সোনাগাজীতে অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে মতবিনিময় সভাতেও বিশৃঙ্খলা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন