কালকিনিতে ২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ; জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল করছে কোমলমতি শিশুরা
অজয় কুন্ডু, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় ২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ। বছরের পর বছর এসব বিদ্যালয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল করছে কোমলমতি শিশুরা।
বিদ্যালয়গুলোর পূর্ণনির্মান নিয়ে একাধিকবার শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হলেও কোন সুরাহা পায়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। আর জনপ্রতিনিধিদের দাবী, বিদ্যালয়গুলো ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় দিন দিন কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের ১৭৫নং নয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরের মাথায় ২০১৩ সালে এমপিভুক্ত হয় এটি। গত ২ বছর ধরে বিদ্যালয় ভবনটির বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। খুলে পড়েছে দেয়ালের প্লাষ্টার। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত ক্লাস করছেন শিক্ষর্থীরা। এদিকে একই অবস্থা পাশের ১১৮নং একতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে পাশের একটি টিনের ঘরে পাঠদান চলায় ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
অভিযোগ সূত্রে সরেজমিনে ওই সকল বিদ্যালয়ে যাওয়া হলে দেখা যায়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত ক্লাস করছেন শিক্ষর্থীরা। তবে গ্রামের স্কুল বলে কথা তাই নেই কোন উপায়! গ্রামের হতদরিদ্রদের শিক্ষার জন্য একমাত্র উপায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তাই সুন্দর হোক আর ভাঙ্গা উপায় এই ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়ের অবোকাঠামো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিবানী, তিথিসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা অনেক দূর হতে বিদ্যালয়ে আসি। বৃষ্টি এলে স্কুলের টিনের চাল দিয়ে বৃষ্টি পড়ে, এতে আমাদের বই খাতা ভিজে যায়। স্কুলের আসার রাস্তা কাঁচা হওয়াতে ওই সময় বিদ্যালয়ে আসাটাও খুবই কষ্ট হয়ে যায় আমাদের। অবোকাঠামো নিয়ে তারা আরও বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন ফাটল ও ভাঙ্গা থাকায় কখন যে দেওয়াল ভেঙ্গে মাথায় পড়ে তা নিয়ে আমরা সর্বক্ষণ ভয়ে ভয়ে ক্লাস করি।
বিদ্যালয়ের এই করুণ অবস্থা নিয়ে নয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান যাতে উন্নতি হয় সেই জন্য দেওয়ালের ভাঙ্গা-চুরা ও ফাটলের ছবি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে জানিয়েও আজ পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে মুখ খোলেন নবগ্রাম ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের সদস্য অটল বিশ^াস তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মেরামত না করায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর ফলে এই গ্রামে শিক্ষার হার প্রতি বছরেই ক্রমসই কমতে থাকবে। ভবনের বেহাল দশা থাকায় ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষকরা ক্লাস নিতে ভয়ে পাচ্ছেন।
এ বিষয় কালকিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলতে গেলে দীর্ঘ সময় প্রতিক্ষায় থাকার পর তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এসব বিদ্যালয়ের নাম তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার পাঠানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করতেছি অতি জরুরী এ সকল ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পূর্ণনির্মান করার।
উল্লেখ্য, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় ১৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন