কালবৈশাখী বাংলাদেশের জন্য হুমকি
সাধারণত গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলে আঘাত হানা অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ কালবৈশাখী বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু অঞ্চলের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।
রোববারের এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় যুক্তরাষ্ট্রের টর্নেডোর সঙ্গে সাদৃশ্যের নানা প্রসঙ্গ টেনে এ হুমকির কথা বলা হয়েছে।
সাধারণ এপ্রিল-মে মাস জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে তীব্র বায়ুপ্রবাহ, বজ্রঝড় বা ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একে কালবৈশাখী নামে অভিহিত করা হয়।
এ সময়টাতে কালবৈশাখী বজ্রপাত, ঝড়ো-হাওয়া, বন্যা এমনকি টর্নেডো পরিস্থিতি তৈরি করে বলে উল্লেখ করেছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদন বলছে, এ সময়টাতে আঘাত হানা কালবৈশাখী ক্রমেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হরহামেশাই আঘাত হানা টর্নেডোর মতো হয় উঠছে। এতে করে ভারতের পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশে কালবৈশাখী হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বড় টর্নেডোগুলো এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের রাজ্যগুলোর সমার্থক হয়ে গেছে। এখন ছোট টর্নেডোগুলোই বড় আকারে বিস্তৃতি লাভ করছে দক্ষিণের টেক্সাস থেকে উত্তরের মিনেইসিটোর মতো রাজ্যগুলোতে। এছাড়াও রয়েছে ক্যানসাস, টর্নেডোর সাথে এই মার্কিন রাজ্যের গাঁটছাড়া যেন চিরকালের।
কিন্তু মার্কিন মুল্লুক ছাড়াও পৃথিবীর আরও এক অঞ্চল, ভারতের পূর্বাংশের রাজ্য ও বাংলাদেশেও টর্নেডোর মতো দ্রুতগতির ও ধ্বংসাত্মক দুর্যোগের দেখা মেলে। এ অঞ্চলের ভারী ঝড়বৃষ্টিকে ও তীব্র বায়ুপ্রবাহকে কালবৈশাখী বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন কালবৈশাখীতে টর্নেডোর আশঙ্কা বাড়ছে রাজধানী ঢাকা থেকে যশোর, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও চাঁদপুরে অঞ্চলে। বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবহুল জনসংখ্যার দেশ। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিবহন সুবিধা অপ্রতুল। ফলে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসব মানুষের ভোগান্তি বাড়ে।
এ অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে আবহাওয়ার ধরন টর্নেডো তৈরি করতে পারে। মার্চের শেষ ও এপ্রিলের শুরুর দিকে ইরান ও তুর্কেমেনিস্তানের ওপর দিয়ে আসা ঠাণ্ডা, শুষ্ক ও অধিক উচ্চতার বাতাস প্রবাহিত হয় দক্ষিণ হিমালয়ের চারপাশে। এটা ভূমিতে গভীর প্রভাব তৈরি করে। আবহাওয়ার এই ঠাণ্ডা ও শুষ্ক ভাব এবং উষ্ণ ও বৃষ্টিময় তাপমাত্রা ঝড়ের পরিস্থিতি তৈরি করে।
সিলেটের বৃষ্টিপাতের প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়, গত কয়েকদিন ধরে এমন ঝড়ের প্রকোপ দেখা দিলছে দেশের উত্তর-পূর্ব্ অংশের সিলেট অঞ্চলে। গত কয়েকদিনে যেখানে ২৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যদিও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বৃষ্টিপাতের তেমন কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে চলতি মাসের ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ঝড়ের মাত্রা মারাত্মক আকার ধারণের ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্কতা জানানো হয় প্রতিবেদনটিতে।
এ অঞ্চলে ১৯৮৯ সালে প্রাণঘাতী আকারের টর্নেডো আঘাত হানে। এটি মানিকগঞ্জে প্রায় দেড় কিলোমিটার প্রস্ত ও ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় তাণ্ডবলীলা চালায়। ওই টর্নেডোতে দেশে অন্তত ১৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয় ১২ হাজার মানুষ। এছাড়া ঘরবাড়ি হারায় আরও ৮০ হাজার মানুষ।
তবে আগামী মে ও জুন নাগাদ মৌসুমী বৃষ্টিপাত বাড়লে এই টর্নেডোর প্রকোপের মাত্রা কমে আসবে বলেও বলা হয় ওই প্রতিবেদনে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন