কাল কি জিতবে মাশরাফির কুমিল্লা?
ভাগ্যদেবী হঠাৎ করেই যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন মাশরাফির উপর থেকে। না হলে কি টানা চার ম্যাচে হার দেখতে হয় তার? অথচ ভাঙা ঢাল তলোয়ার নিয়েই বাঘের মতো লড়াই করেছেন বড় বড় যোদ্ধার বিরুদ্ধে। টানা চার ম্যাচে হেরে মাশরাফি আজ আহত। কিন্তু কথায় আছে আহত বাঘ যে আরো বেশি ভয়ঙ্কর। ঢাকার প্রথম পর্বে যা পারেননি এবার তা পূরণ করবেন চট্টগ্রামে! সত্যিই কাল কি পারবেন দলকে জয় এনে দিতে?
উত্তরটা পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরো ২৪ ঘণ্টা। কাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবারের আসরের চমক দেখানো দল রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। পরের রাউন্ডে উঠতে হলে এখন তাদের ধারাবাহিকভাবে প্রায় সব ম্যাচেই জিততে তাদের। তবে এবার আর চাপ নিয়ে খেলছেন না মাশরাফিরা। কারণ হারানোর আর কিছুই নেই তাদের। যা হারানোর ইতোমধ্যেই হারিয়ে ফেলেছেন তারা!
মাশরাফির ভাষায়, ‘এখন এমন একটা পজিশনে যেখানে হারানোর কিছু নেই। এখন চেষ্টা করতে হবে সেরাটা খেলার। অনেক সময় এমন হয়, যখন প্রত্যাশা থাকে তখন চাপ থাকে, আর যখন প্রত্যাশা থাকে না তখন চাপও থাকে না। এখন হয়তো চাপটাও অনেক কম থাকবে। ওই জায়গা থেকে যদি আমরা পারফরম্যান্স করতে পারি তাহলে হয়তো ভালো হতে পারে।’
এবারের আসরে প্রথম তিন ম্যাচে ১৩০ এর কোটা পারতে পারেনি কুমিল্লা। তিন ম্যাচে তাদের রান ছিল ১৩২, ১৩০ ও ১৩১। মূলত ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তাদের ভরাডুবি। মাশরাফি নিজেও বলছেন এটা। তাই চতুর্থ ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের দেখিয়ে দিতেই হয়তো খেলেছিলেন এক বিধ্বংসী ইনিংস। ৩৫ বলে ২টি চার ও ৫টি ছয়ে করেছেন ৪৭ রান।
আর ব্যাটসম্যানদের উপর মনের ক্ষোভটা ঝাড়তে গিয়ে বেছে নিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের সেরা বোলারটিকেই। সাকিবের এক ওভারে মেরেছেন চারটি চার। তার ব্যাটে হার না এড়াতে পারলেও ১৩০-এর কোঠা পার করে করেন ১৬১ রান। সবচেয়ে বড় কোঠা ব্যাটসম্যানদের দেখিয়ে দিয়েছেন দায়িত্ব নিয়ে খেললে এ উইকেটে রান করা সম্ভব।
চার ম্যাচে কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন একটি। তা-ও তরুণ নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে। অথচ দলে আছেন ইমরুল কায়েস, লিটন কুমার দাস, মারলন স্যামুয়েলস, আহমেদ শেহজাদ, খালিদ লতিফ, ইমাদ ওয়াসিম, রায়ান টেন ডেসকাটের মতো খেলোয়াড়রা। তবে বল হাতে ভালোই করছেন তারা। আফগান লেগস্পিনার রশিদ খান হতে পারেন তাদের তুরুপের তাস। সঙ্গে ইমাদ ওয়াসিম, সোহেল তানভীরের সঙ্গে মাশরাফি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেন।
আগামীকাল নিজেদের সাদামাটা পারফরম্যান্সের পাশাপাশি বিবেচনায় থাকবে প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তাও। কারণ রংপুর এবার শুরু থেকেই দারুণ গোছানো ক্রিকেট খেলছে। বিশেষ করে স্পিন আক্রমণে রীতিমতো ভয়ঙ্কর তারা। দারুণ ফর্মে আছেন দেশের দুই স্পিনার সোহাগ গাজী ও আরাফাত সানি। তার সঙ্গে পাকিস্তানী শহীদ আফ্রিদি তো এ সংস্করণে বরাবরই দুর্বার। আর ব্যাটিংয়ে দারুণ ফর্মে আছেন মোহাম্মদ শাহজাদ, মোহাম্মদ মিথুন ও লিয়াম ডউসনরা।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে রংপুর ও কুমিল্লা। বরাবরের মতো এ ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে টস। তবে অন্তত এই একটি ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে কুমিল্লা। কারণ আগের চার ম্যাচ হারলেও চার ম্যাচের সবগুলোতেই টস জিতেছেন অধিনায়ক মাশরাফি। তাই আগামীকালও এমন কিছুর প্রত্যাশায়ই মাঠে নামবে দলটি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন