কিংবদন্তি অভিনেতা ফরীদিকে নিয়ে বিএফডিসিতে নেই কোনো আয়োজন, কিন্তু কেন?
কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি। নান্দনিক অভিনয় নৈপুণ্যে হয়ে উঠেছিলেন ভার্সেটাইল এক অভিনয়শিল্পী। অভিনয়গুণে কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি। ২০১২ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যান দাপুটে এই অভিনেতা। আজ তার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী। হুমায়ুন ফরীদি চলে গেলেও ভক্তকুলের হৃদয়ে তিনি চির অমলিন।
হুমায়ুন ফরীদির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, ব্লগ, ফেসবুকে তার ভক্তরা তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন। কিন্তু বিএফডিসিতে ফরীদি স্মরণে কোনো আয়োজন নেই। অল্প সময়েই যেন তাকে ভুলে বসেছে তার কাজের অন্যতম এই ক্ষেত্রটি।
যেসব সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ঢাকাই চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন, বিএফডিসির শিল্পী সমিতির অফিসে বসে যাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন, তারাও আজ কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শিল্পী সমিতিও চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তিকে নিয়ে কোনো স্মরণ সভার আয়োজন করেননি। তা হলে কি মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানেই বিএফডিসি প্রাঙ্গণে ম্লান হয়ে গেলেন হুমায়ুন ফরীদি?
বর্তমান শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান দেশের বাইরে। এদিকে বর্তমানে সভাপতি শাকিব খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও অতীতের মতো এবারও তার সাড়া মেলেনি।
তবে শিল্পী সমিতির প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শুটিংয়ে আমি এখন ঢাকার বাইরে। আর ফরিদী ভাইকে নিয়ে আমরা কোনো আয়োজন করিনি। যেসব শিল্পীদের আমরা হারিয়েছি তাদের নিয়ে প্রতি মাসের যে কোনো শুক্রবার একটি মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আলাদা করে কারো মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয় না।’
এ বিষয়ে কথা হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শিল্পীদের নিয়ে স্মরণ সভা শিল্পী সমিতি করে থাকে। আমরা পরিচালকদের নিয়ে স্মরণ সভা করে থাকি। এটা আমরা নিয়মিত করছি।’
মঞ্চ থেকে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু হুমায়ুন ফরীদির। এরপর টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে ছড়িয়েছেন মুঠো মুঠো সোনা। ‘৯০-এর দশকে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- সন্ত্রাস, দহন, লড়াকু, দিনমজুর, বীর পুরুষ, বিশ্বপ্রেমিক, আজকের হিটলার, দুর্জয়, শাসন, আনন্দ অশ্রু, মায়ের অধিকার, আসামী বধূ, একাত্তরের যীশু, প্রাণের চেয়ে প্রিয়, কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি, প্রবেশ নিষেধ, ভণ্ড, অধিকার চাই, মিথ্যার মৃত্যু, ব্যাচেলর, শ্যামল ছায়া ও মেহেরজান প্রভৃতি।
সৃজনশীল কর্মযজ্ঞের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মাতৃত্ব’সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা শাখায় ২০০৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন হুমায়ুন ফরীদি। নাট্যাঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন