কিউইদের দ্বিতীয় জয়, হারে শুরু অস্ট্রেলিয়ার
ছয় বছর আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচ উপহার দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম খেলেছিলেন ৫৬ বলে ১১৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। টাই হওয়া ম্যাচটি শেষপর্যন্ত কিউইরা জিতে নিয়েছিল সুপার ওভারে। তারপর আবার টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়ে আরও একটি জমজমাট ম্যাচ উপহার দিলেন দুই দলের খেলোয়াড়েরা। ২০১০ সালের মতো এবারও শেষ হাসি হেসেছে নিউজিল্যান্ড। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ৮ রানের জয় পেয়েছে কিউইরা।
ধর্মশালায় পুরো সময়ই ম্যাচের ভাগ্য দুলেছে পেন্ডুলামের মতো। যখনই মনে হয়েছে একটি দল সহজেই জিতে যাবে, তখনই দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে খেলায় ফিরেছে আরেক দল। দারুণ লড়াই শেষে কিউইরাই হেসেছে জয়ের হাসি। ১৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানে থেমেছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দুইটি জয় দিয়ে সেমিফাইনালের পথেও অনেকখানি এগিয়ে গেছে কেইন উইলিয়ামসনের দল।
প্রথম পাঁচ ওভারে ৪২ রান জমা করে শুরুটা ভালোভাবেই করেছিলেন দুই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার খাজা ও ওয়াটসন। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে ওয়াটসনকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ১৩ রান করে ফিরেছিলেন ওয়াটসন। পরের ওভারে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন মিচেল সান্টনার। ২৭ বলে ৩৮ রান করে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন খাজা। কিন্তু নবম ওভারের শেষ বলে তড়িঘড়ি করে দুই রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে গেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। এক ওভার পরে অস্ট্রেলিয়াকে আরও একটি বড় ধাক্কা দিয়েছেন সান্টনার। তুলে নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট। পঞ্চম উইকেটে ৩৪ রানের জুটি গড়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মিচেল মার্শ। কিন্তু ১৬তম ওভারের প্রথম বলে ২২ রান করা ম্যাক্সওয়েলকে আউট করে আবারও ম্যাচে মোড় ঘুরিয়ে দেন ইস সোধি। শেষ ২৯ বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ৪৩ রান। কিউই স্পিনাররা যেভাবে চেপে ধরেছিলেন, তাতে মনে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হবে। কিন্তু ১৭তম ওভারের শেষ দুই বলে দারুণ দুইটি ছয় মেরে আবারও অস্ট্রেলিয়া শিবিরে আশা জাগান মার্শ ও অ্যাশটন অ্যাগার। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে মার্শ আউট হয়ে যাওয়ার পরেই প্রায় শেষ হয়ে যায় অসিদের জয়ের আশা।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দারুণ বোলিং করে তিনটি উইকেট নিয়েছেন মিচেল ম্যাকক্লেগান। দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন মিচেল সান্টনার ও কোরি অ্যান্ডারসন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মার্টিন গাপটিলের ৩৯, কেইন উইলিয়ামসনের ২৪, কলিন মুনরোর ২৩ ও গ্রান্ট এলিয়টের ২৭ রানের ইনিংসগুলোতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৪২ রান জমা করেছিল নিউজিল্যান্ড। শুরুর তুলনায় অবশ্য শেষটা ভালো হয়নি কিউইদের। প্রথম দশ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৭৫ রান। শেষ দশ ওভারে ৬৭ রান জমা করতেই কিউইরা হারিয়েছিল ছয়টি উইকেট।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন