কীভাবে নিজেকে ভালোবাসবেন?
নিজেকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা করা জীবনে সুখী হওয়ার সবচেয়ে বড় সূত্র। আত্মবিশ্বাস অনেক অসম্ভবকেই সম্ভব করতে পারে। অনেক লোকই নিজেকে সম্মান করতে জানেন না। অথবা সম্মান করা আর স্বার্থপরতার বিষয়টিকে গুলিয়ে ফেলেন।
তাঁদের আচরণ হয়তো হয়ে ওঠে স্বার্থপরের মতো। নিজেকে ভালোবাসা মানে স্বার্থপরতা নয়। নিজেকে ভালোবাসার মধ্যে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়টিও থাকে। আসলে যখন একজন মানুষ নিজেকে ভালোবাসতে পারে, তখনই অন্যকে ভালোবাসতে পারে।
যদি নিজেকে সব সময় দুঃখী ভাবেন, তাহলে সুখী হবেন কীভাবে? তাই এই দুঃখবোধ থেকে বেরিয়ে আসতে নিজেকে ভালোবাসুন। তবে নিজেকে ভালোবাসাও কিন্তু খুব সহজ বিষয় নয়। এর জন্যও কিছু বিষয় জানা জরুরি। বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের স্বাস্থ্য বিভাগে জানানো হয়েছে নিজেকে ভালোবাসার কিছু উপায় :
১. ইতিবাচক চিন্তা
ইতিবাচকতা নিজেকে ভালোবাসার অন্যতম শর্ত। অবসরে নিজের ভালো গুণগুলো নিয়ে ভাবুন, দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। ইতিবাচক চিন্তা আপনার খুব বড় সমস্যাকেও সহজে সমাধান করতে সাহায্য করবে। আর নিজেকে ভালোবাসার পথ সুগম করবে।
২. তুলনা করবেন না
কী নেই, তার হিসাব না করে আগে দেখুন, কী আছে আপনার জীবনে। শুরু করুন ছেলেবেলা থেকে। আমাদের সমাজে সাধারণত একজনের সঙ্গে আরেকজনের তুলনার বিষয়টি বেশ প্রচলিত। নিজেকে এই পথ থেকে সরিয়ে আনুন। অন্যদের সঙ্গে নিজের তুলনা করা বন্ধ করুন। নেতিবাচক বিষয়গুলো কম সামনে এনে ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে আসুন।
৩. নিজের গুণগুলোকে স্বীকৃতি দিন
নিজেকে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা করার একটি বড় উপায় হলো নিজের গুণগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া বা সামনে আনা। ভাবুন, আপনার মধ্যে কী কী গুণ রয়েছে। এগুলোকে নিজের শক্তি ভাবুন।
৪. ভুলকে স্বীকার করুন
যখন কোনো ভুল করবেন, হতাশ হবেন না। বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করুন এবং ভুলগুলোকে ঠিক করার চেষ্টা করুন। ভুল নিয়ে তর্ক করবেন না। তর্ক করার থেকে ভুল শুধরে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
৫. আনন্দ করুন
আপনি যা করতে ভালোবাসেন তা-ই করুন! সেটা হতে পারে গান শোনা, বই পড়া, ঘুরে বেড়ানো, সিনেমা দেখা ইত্যাদি। তবে এটা যেন পূর্ণ আনন্দের সঙ্গে হয়। এটিও নিজেকে ভালোবাসার একটি ধাপ। আপনার পারিবারিক জীবনেও এটি পালনের চেষ্টা করুন। জীবনকে উদযাপন করুন। জীবনের ছোট-বড় সব উৎসবকে ভালোভাবে উদযাপন করুন। প্রয়োজনে উদযাপনের উপলক্ষ তৈরি করুন।
৬. নেতিবাচক মনোভাবাপন্ন মানুষের সঙ্গে মিশবেন না
নেতিবাচক মন-মানসিকতার মানুষদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। ইতিবাচক এবং ভালো গুণসম্পন্ন মানুষের সঙ্গে মিশুন। কেননা জানেন তো, সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস! তাই বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হোন। বিশেষ করে জীবনসঙ্গী নির্বাচনে সতর্ক হোন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন