কুচকাওয়াজে বাংলাদেশের এই শক্তি দেখলে যে কোনও শত্রু হামলা করতে ভয় পাবে!

বিজয় দিবসের সকালে সামরিক কুচকাওয়াজে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করল বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই কুচকাওয়াজে প্রথমবারের মতো আনা ডুবোজাহাজ সাবমেরিন প্রদর্শন করা হল এই কুচকাওয়াজে। আজ শুক্রবার সকালে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে শুরু হয় এই কুচকাওয়াজ। তিন বাহিনীর পাশাপাশি, মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দলও কসরত তুলে ধরে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাফল্যও তুলে ধরা হয় কুচকাওয়াজে। মেজর জেনারেল ওয়াকার উজ জামান এই কুচকাওয়াজের অধিনায়ক ছিলেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্যারেড স্কোয়ারে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে স্যালুট জানানো হয়। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা তাকে স্বাগত জানান।
প্যারেড ময়দানের পাঁচ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন গর্বিত অংশীদার-বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী আর বিমানবাহিনী তাদের স্ব স্ব সক্ষমতার নিদর্শন স্বরূপ সব অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র আর অসম সাহসী সেনাদের সমন্বয়ে তুলে ধরে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে। এবারের কুচকাওয়াজের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হওয়া যুদ্ধাস্ত্র ‘সাবমেরিন’। প্রথমবারের মতো কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে যুক্ত হয়েছে সাবমেরিন। সমুদ্রসীমা পাহারা দিতে, প্রয়োজনে অনুপ্রবেশকারী শত্রুকে অব্যর্থ আক্রমণ করতে সাগরে ভাসা জাহাজের পাশাপাশি কাজ করবে সামরিক পরাশক্তি, বন্ধুরাষ্ট্র চিন থেকে সংগ্রহ করা এই সাবমেরিন। কুচকাওয়াজে তুলে ধরা হয় ট্যাংক, ৩৯ কিলোমিটার দূরে গোলা বর্ষণে সক্ষম কামানসহ নানা যুদ্ধাস্ত্রও।
প্রতিবারের মত এবারও বিজয় দিবস প্যারেডের অন্যতম আকর্ষণ ছিল আকাশ ভেদ করে উড়ে চলা বাংলাদেশ বিমান, সেনা, নৌ এবং পুলিশের তত্ত্বাবধানে থাকা ৪৪টি বিমান ও হেলিকপ্টার। ২০০ ফুট দীর্ঘ ও ১২০ ফুট প্রস্থের একটি লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা নিয়ে কুচকাওয়াজে দৃপ্ত ভঙ্গিতে অংশ নেয় কমান্ডোদের দল। ওয়ার ডগ ও সম্মিলিত অশ্বারোহী কন্টিনজেন্ট রাষ্ট্রপতিকে অভিবাদন জানায় বিশেষ ভঙ্গিমায়।
ময়দানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধান, সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা মন্ত্রীবর্গ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক-বেসামরিক অতিথি, আর কূটনীতিকদের মুগ্ধ করে উড়ে যায় অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান মিগ-টোয়েন্টি নাইন।
যুদ্ধবিমানের অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে দেখে সবার মত মুগ্ধতায় সিক্ত হয় দেশের আপামর জনসাধারণ।সমরশক্তির পাশাপাশি সবগুলো মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড প্রদর্শন করা হয় কুচকাওয়াজে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় আকর্ষণীয় সাজে গাড়ি সাজিয়ে তাদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন