কুমিল্লার কেন এমন হাল?
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। অথচ তারাই পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। তিন ম্যাচের একটিতেও জয় নেই। বাকি দলগুলোর মধ্যে সবাই কমপক্ষে একটি করে জয় পেয়েছে। দলের নেতা মাশরাফি বলেই এখনো কেউ কেউ আশা দেখছেন। আজ সন্ধ্যার ম্যাচে ‘বিপর্যস্ত’ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামবে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে। তার আগে খুঁজে দেখা যাক কুমিল্লার ‘দুর্বল’ জায়গা।
-ফর্মে নেই ওপেনাররা। তিন ম্যাচে ইমরুল সর্বসাকুল্যে করেছেন ২৭ (৬+০+২১)। প্রথম দুটিতে তিনিই প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরেছেন। উদ্বোধনী দিনে আরেক ওপেনার লিটন করেছিলেন ১৩। দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে মিডলঅর্ডারে পাঠানো হয়। ওপেনে আনা হয় খালিদ লতিফকে। তিনি সেদিন করতে পারেন ১২। আর লিটন মিডলঅর্ডার থেকে ফেরেন ৪ রানে। তৃতীয় ম্যাচে আবার লিটনকে উঠিয়ে আনা হয়। এদিন ফেরেন মাত্র ৮ রানে।
-ব্যাটসম্যানদের এমন দুরবস্থা সব জায়গায়। শুধু মাত্র নাজমুল হোসেন শান্ত একবার ৫০ স্পর্শ করেন। ৩০’র উপর রান আছে আর তিনজনের!
-তৃতীয় ম্যাচে শেষ চার ওভারে জয়ের জন্য মাশরাফিদের দরকার ছিল ৪৬। ১৭তম ওভারে বল করতে আসেন রিয়াদ। ডেথ ‘ওভারের নায়ক’কের কাছ থেকে ১৭ রান তুলে নেন রশিদ খান আর সোহেল তানভীর। মনে হচ্ছিল রশিদ-তানভীর ক্লিক করে যাবেন। কিন্তু কুমিল্লাকে হতাশ করে ঠিক পরের ওভারে রশিদ ফিরে যান। দলও হেরে যায়। তার আগে কুমিল্লার ওপর চাপ বেড়ে যায় চতুর্থ উইকেট জুটির কারণে। জাইদি-স্যামুয়েলস ৩২ বলে ঠুকতে ঠুকতে ৩৩ করলে রশিদ-তানভীরের স্থির হয়ে খেলার উপায় ছিল না। রানরেট ছিল ১০’র উপর।
আরো পড়ুনঃ– তিন ম্যাচ হারের পর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দলে আরও তিন বিদেশী ক্রিকেটার
-বোলাররা খুব একটা খারাপ করছেন না। কিন্তু সময়মতো ব্রেক থ্রু আসছে না। প্রথম ম্যাচে চিটাগাংয়ের শোয়েব মালিক-জহুরুল ইসলাম চতুর্থ উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন। মাশরাফি বেশ চেষ্টা করেও দ্রুত এই জুটি ভাঙতে পারেননি। এই জুটি প্রতি ওভারে রান তোলে ৮.৭৮ হারে। দ্বিতীয় জুটি ছিল আরো ভয়ঙ্কর। তামিম-এনামুল ওভারপ্রতি ৮.৮০ রান তুলে ৪৪ করেন। ওই ম্যাচে চট্টগ্রাম ৩০’র উপরে জুটি গড়ে চারটি। কুমিল্লার সেখানে ৩০ রানের জুটি একটি। তাও সপ্তম উইকেটে।
-দ্বিতীয় ম্যাচেও একই কাহিনী। জুটি বলতে ওই সপ্তম উইকেটে। ৪.৪ ওভার স্থায়ী ওই জুটিতে রান আসে ৩৮। করেন স্যামুয়েলস আর সোহেল তানভীর। বরিশাল বুলসও এদিন মাত্র একটি বড় জুটি গড়ে। তবে জুটি গড়ার দরকারও পড়েনি। কুমিল্লা আগে ব্যাটে করে মাত্র ১২৯ রান সংগ্রহ করলে ৯ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় মুশফিকরা। চতুর্থ উইকেটে মুশফিক আর পেরেরার ৪৯ রানের জুটি ভাঙতেই খাবি খেতে হয়েছে ভিক্টোরিয়ন্স বোলারদের।
-কুমিল্লার তৃতীয় ম্যাচ ছিল গতকাল। খুলনার বিপক্ষে। খুলনার ১৪৪ রানের জবাব দিতে নেমে ১৩১ রানে থেমে যায় ম্যাশের ছেলেরা। এই ম্যাচে কুমিল্লার দুটি জুটি ৩০ পার করে। দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল-স্যামুয়েলস ২৩ বলে করেন ৩০। চতুর্থ উইকেটে জাইদি-স্যামুয়েলসের ওই খরুচে জুটির (৩২ বলে ৩৩) পর ম্যাচ হাতে থাকার কথা নয়।
থাকেওনি!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন