কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক অজ্ঞাত (২৪) যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোবাবর বিকালে উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের শাহজানপুর জমির পাশে ক্ষতবিক্ষত ও অর্ধ উলঙ্গা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানান- চৌদ্দগ্রাম কনকাপৈত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন শাজানপুর জমির উপর একটি আইলের সাথে দক্ষিন শিয়রী হাত-পা বাকা, ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত ও অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় একটি অজ্ঞাতনামা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

পরে কনকাপৈত পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ এসআই মোঃ আনোয়ার হোসেন খান পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে। অজ্ঞাত লাশের পেটের ভুড়ি বের হওয়া এবং গলায়, বুকে ও পিঠে একাধিক ধারালো অস্ত্রের রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। অজ্ঞাতানামা মুসলিম ধর্মালম্বী বলেও জানা গেছে। তার গায়ে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পেটের নাড়ী ভুড়ি বেড় হওয়া। লাশের গায়ের রং শ্যামলা, মাথার চুল কালো, লম্বা অনুমান ০৪ ইঞ্চি, মুখমন্ডল -লম্বাটে। লাশের পাশে একটি জিন্সের প্যান্ট পড়ে ছিল এবং লাশের গায়ে বুতাম খোলা অবস্থায় ছাপা রংয়ের ফুলহাত শার্ট পরিহিত ছিল।

পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, চৌকিদার সহ স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত (মুসলিম) লাশটির কোন পরিচয় পাওয়া যায় নাই বিধায় লাশের ছবি উত্তোলন, আগুলের ছাপ ও মাথার চুল সংরক্ষন করেন এবং আলামত জব্দ করা হয়।

পুলিশের এসআই আনোয়ার হোসেন জানান- রাতের যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা কনকাপৈত ইউনিয়নের শাজানপুর গ্রামের জনৈক আবুল খায়ের মোল্লার মালিকানাধীন চাষ করা জমির মধ্যে অজ্ঞাতনামা গলায়, পেঠ, পিঠ সহ বিভিন্নস্থানে এলোপাথারী ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে হত্যা করে ওই জমিতে ফেলে ফেলে যায়। অজ্ঞাতনামা লাশটির ময়না তদন্তের জন্য ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরন করা হয়েছে। এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম থানার মামলা নং-২৭।