কুমিল্লায় ভাইস চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার: থানা ঘেরাও, আগামীকাল হরতাল ঘোষণা
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ইউএনও’র সাথে খারাপ আচরণ ও সরকারী কাজ বাধা দেওয়ায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেলে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের পর সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে তাঁর গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার নারী-পুরুষ বিক্ষোভ মিছিল শেষে থানা ঘেরাও করে। এ ঘটনায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার মেঘনায় হরতাল ঘোষণা করা হয়েছে।
মেঘনা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলার করিমাবাদ গ্রামের একটি খালের ওপর একটি সেতুর নির্মাণ কাজ চলছিল। সেই সেতুর ঢালাই কাজ চলার সময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজ নিজে গিয়ে তার দলবল নিয়ে বাধা দেয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা আক্তার সুমি খবর পেয়ে তাকে এ কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করে।
তার অনুরোধ রক্ষা না করে ভাইস চেয়ারম্যান সেতু নির্মাণধীন মালামাল ছুড়ে ফেলে এবং ইউএনওকে অকৈথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এ বিষয়টি মেঘনা থানার ওসিকে জানানো হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে সন্ধ্যায় তাকে ছিনাইয়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে তাঁর গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে পড়ে এবং মেঘনা থানাকে ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ বিষয়ে মেঘনা থানা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ লিটন আব্বাসী জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে অথচ তাকে না জানিয়ে ওই সেতুর কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সেতুর কাজ উদ্বোধনের সময় তখন ভাইস চেয়ারম্যান ইউএনওকে বলেন আমি জনপ্রতিনিধি হয়ে আমার বাড়ির সামনে কাজের উদ্বোধন করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এ নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে একজন প্রিয় উপজেলা ভাইস চেয়াম্যান তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করায় হাজার হাজার নারী পুরুষ থানা ঘেরাও করে।
তিনি আরো জানান, ভাইস চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ পক্ষ থেকে মেঘনায় হরতাল ঘোষণা করেন এবং ইউএনও’কে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার সুমী বলেন, সরকারী কাজে বাধা এবং আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার কারণে তার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে।
মেঘনা থানার ওসি একে এম সামছুদ্দিন বলেন, ইউএনও’র সাথে খারাপ আচরণ এবং সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করার কারণে ভাইস চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের কারণে এলাকার কিছু বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করার চেষ্ট করেছে। পুলিশের হস্তক্ষেপের কারণে কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন
চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ৫
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশেরবিস্তারিত পড়ুন
টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দেন স্বামী, অতঃপর…
কুমিল্লায় ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে তিন ধর্ষকের হাতে তুলেবিস্তারিত পড়ুন